অতি পূর্বকালে ময়মনসিংহ কামরুপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। গৌড়ের অধীশ্বর হোসেন শাহ কামরুপ অধিকারের পর এই অংশ পৃথক করে নেয় এবং নিজ পুত্র নছরৎ শাহকে এর আধিপত্য প্রদান করেন। নছরৎ শাহের নামানুসারে এ স্থান নছরৎশাহী নামে অভিহিত হয়। মোঘল শাসন প্রবত্তিত হওয়ার পর দিল্লির আধিশ্বর আকবর শাহের কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে টোডরমল্ল বাংলার রাজস্ব ও ভূমির বন্দোবস্তে মনোযোগী হন। টোডরমল্লের বন্দোবস্ত কাগজে নছরৎশাহী সরকার বাজুহা নামে লিখিত হয়। কথিত আছে দিল্লির অধিশ্বর আকবর শাহের সময়ে মমিন শাহ নামে কোন ব্যক্তি সরকার বাজুহার একাংশের অধিশ্বর ছিলেন। তারই নামানুসারে নিজ অধিকৃত স্থানের নামকরণ করেন মমিনশাহী (মোমেনশাহী) । বিখ্যাত আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে মমিনশাহী মহালের নাম দেখা যায়। এই মমিনশাহীর শাহী শব্দটি লিপি-বিড়ম্বণায় অষ্টাদশ শতাব্দীতে সিংহ রূপ ধারণ করে।মুসলিম শাসনামলে এ অঞ্চলের ৩টি পরগণার নাম পাওয়া যায়। এগুলো হলো আলাপশাহী, মোমেনশাহী ও হোসেনশাহী । ১ম ২টি বিবৃত হয়ে আলাপসিংহ ও মৈমনসিংহে (ময়মনসিংহ) পরিণত হয়েছে।
তথ্যসূত্র : গ্রন্থ {শ্রীকেদারনাথ মজুমদার প্রণীত ময়মনসিংহের ইতিহাস ও ময়মনসিংহের বিবরণ এবং মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান