আইবিএস ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম এর কারণ লক্ষণ সমাধান
খিটখিটে অন্ত্র সিন্ড্রোম কি
হজম সমস্যা
আইবিএস কী
সাধারণত কিডনির সমস্যা, হৃদ্যন্ত্র বিকল কিংবা পেটের ক্রনিক কোনও সমস্যা থাকলে তার ফিজ়িক্যাল বা শারীরবৃত্তীয় বদল ঘটে। কিন্তু আইবিএসের ক্ষেত্রে তেমন কোনও বদল হয় না। অর্থাৎ ইনটেস্টাইন বা অন্ত্রের দেওয়ালে কোনও ক্ষত বা পেটের কোথাও কোনও শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন হয় না। টিউমর বা গ্রোথের মতো সমস্যাও নেই। আইবিএসে তাই গঠনগত সমস্যা নয়, ফাংশনাল ডিজ়অর্ডার হয়। তার জন্যই কোনও ডাক্তারি পরীক্ষা করে ধরা পড়ে না আইবিএস। রক্ত পরীক্ষা, পেটের আলট্রাসোনোগ্রাফি, কোলোনোস্কোপি, সিটি স্ক্যান সবেতেই রিপোর্ট আসবে স্বাভাবিক।
খাদ্যনালী, নার্ভ-সহ সার্বিক ভাবে গোটা শরীরের সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। সেখান থেকেই সিগনাল আসে ও তার ফলে বাওয়েল মুভমেন্ট হয় দ্রুত। তার পরেই আসে মলত্যাগের বেগ। কিন্তু এই সিগনালিংয়েই ফাংশনাল সমস্যা থাকলে তৈরি হয় আইবিএস।’’
যেহেতু নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি মস্তিষ্কের হাতে, ফলে দিনে কত বার বাথরুমে যেতে হবে, সেই সিগনালিংয়েও ভূমিকা মস্তিষ্কেরই। কিন্তু মস্তিষ্ক আবার চালিত হয় দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস, ভয়, আতঙ্ক ইত্যাদি অনুভূতি দ্বারা। তাই প্রায়শই দেখা যায় পরীক্ষার আগে টেনশনে বারবার বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
অনিয়মিত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান, ব্যায়ামের ঠিক পরেই খাবার খাওয়া, এমনকি অতিরিক্ত ব্যায়ামও কখনও কখনও আইবিএসের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। আসলে জীবনযাপনের অভ্যেস প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ছাপ ফেলে মস্তিষ্কে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে আইবিএস জুড়ে যায় মস্তিষ্কের সিগনালিংয়ের সঙ্গে।
বাওয়েল বা খাদ্যনালীর ইরিটেশনকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায় । কখনও খুব বেশি র্যাপিড সিগনালিং হয়। অর্থাৎ কোনও সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ যদি দিনে এক বা দু’বার মলত্যাগ করেন, আইবিএস আক্রান্তকে তখন যেতে হয় দিনে আট-দশ বার, কখনও বা তারও বেশি। ডায়রিয়ার ধরনের কথা মাথায় রেখে একে বলা হয় আইবিএস ডি।
অাবার কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা থাকে, তা হলে তিনি সাধারণত তিন-চার দিনে এক বার যান। কনস্টিপেশনের ধারণা থেকে এই রোগকে বলা হয় আইবিএস সি।
এমন মানুষও আছেন, যাঁরা মাসের ১৫ দিন আইবিএস সি ও বাকি ১৫ দিন আইবিএস ডি-এর সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা চিকিৎসকদের ভাষায় মিক্সড ভ্যারাইটি।
লক্ষণ
আইবিএসে সাধারণত পেটে ব্যথা থাকবেই। সারা পেট জুড়ে কামড়ে ধরা ও মোচড় মারা ব্যথাই এর প্রধান লক্ষণ। নাভির নীচ থেকে বাঁ দিক চেপে কুঁকড়ে যাওয়া ব্যথাও এর আওতায় পড়ে। বেগ বাড়লে সিগনালিংয়ের চোটে নার্ভ পর্যন্ত ফেলিয়োর হয়। হাত-পা ঠান্ডাও হয়ে যেতে পারে। আবার মলত্যাগ করলেই ব্যথার নিরসন হলে বুঝতে হবে আইবিএস। তবে বারবার বাথরুমে গেলেও প্রত্যেক বার যে মলের পরিমাণ বেশি হবে, তা কিন্তু নয়। আবার মলের ধরন সাধারণত সান্দ্র্য, ঘোলাটে বা তরল হতে পারে। তবে মলের সঙ্গে রক্ত বেরোয় না এবং শরীরে জ্বরভাবও থাকে না। অন্য দিকে আইবিএস সি-র রোগীদের ক্ষেত্রে গ্যাস, পেটের উপরে চাপ, অস্বস্তি, বারবার ঢেঁকুর তোলার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
সাধারণত কমবয়সি অর্থাৎ ৪৫ বছরের নীচে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা আইবিএসে ভোগেন। তবে তার মানে এই নয় যে, ষাটোর্ধ্ব কারও এই সমস্যা হবে না। সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই এই সমস্যা ব্যক্তিটির আগে থেকেই ছিল। ষাট পেরোনোর পরে প্রথম বার আইবিএসে ভোগার সমস্যা সাধারণত কম হয়। ষাটোর্ধ্ব কেউ আইবিএসের সমস্যা নিয়ে এলে প্রথমেই অন্য পরীক্ষা করে দেখা হয় তাঁর জ্বর, খাদ্যনালীতে ইনফেকশন, টিউমর বা অন্যান্য সমস্যা আছে কি না।
সমাধান--
বিশেষ কোনও চিকিৎসা আইবিএসের হয় না। বরং স্ট্রেসের গোড়া নির্মূল করা বা রিলিফ করার বন্দোবস্ত করা দরকার। কী কারণে, কখন রোগীর স্ট্রেস বাড়ে, সেটা আগে নির্ণয় করতে হয়। কারণ সাইকোলজিক্যাল সমস্যা দূর করলে আইবিএসকেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং, ওষুধপত্রও দিতে হতে পারে।
অ্যাটাকের সময়ে সহজপাচ্য এবং হালকা খাবার খাওয়া দরকার। ডাল, দুধ, গম একেবারেই বাদ। ভেজিটেবিল সুপ, ভাত, তেল-মশলাহীন খাবার খেলে ভাল। পাশাপাশি নেশার দ্রব্যও ত্যাগ করতে হবে। আবার যে খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে, সেগুলি চিহ্নিত করে তা-ও বাদ দিতে হবে। কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকলে খেতে হবে ফাইবারযুক্ত খাবার। ডায়েট ছাড়াও জীবনযাপনের ধারায় পরিবর্তন আনা দরকার। ব্যায়াম, প্রাণায়াম, হাঁটাহাঁটি ও রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
এই সমস্যাকে একেবারে নির্মূল করতে সার্বিক ভাবে বদল আনা দরকার জীবনযাপনে। শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিক ভাবে ভাল থাকার ইচ্ছেটাও বড্ড জরুরি।
অন্যান্য ভিডিও দেখুন -
গ্যাস অম্বল এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পান ওষুধ ছাড়াই • গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় |গ্যা...
দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়
• শীঘ্রপতন হোমিওপ্যাথি | দ্রুত বীর্যপাতের সম...
গোড়ালির ব্যাথ্যা হোমিও চিকিৎসা
• সকালে ঘুম থেকে উঠলেই পায়ের গোড়ালি ব্যাথ্যা...
গ্যাস অম্বল এসিডিটির হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ।
• গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় হোমিও | গ্য...
শিঘ্রপতন/দ্রুত বীর্যপাতের হোমিও ওষুধ।
• শীঘ্রপতন হোমিওপ্যাথি | দ্রুত বীর্যপাতের সম...
ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণের উপায় । কি খাবেন কি খাবেন না ।
• uric acid | ইউরিক এসিড কমানোর উপায় | ইউরি...
ইউরিক এসিডের সমস্যায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ ।
• Uric Acid | ইউরিক এসিড কমানোর হোমিও ওষুধ |...
হার্নিয়া/অন্ত্রবৃদ্ধি র শ্রেষ্ঠ হোমিও চিকিৎসা
• হার্নিয়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা | হার্নিয়া ...
আঘাত /ইনজুরির হোমিওপ্যাথিক ওষুধ
• আঘাত বা ইনজুরির হোমিওপ্যাথি ওষুধ | চোট আঘা...
DISCLAIMER-
Any information on diseases and treatments available on this video are for educational and informational purposes only, and are not intended as a diagnosis and treatment. Always seek the advice of your physician or health personal with questions you may have regarding your medical condition. This channel shall not be liable for any direct , incidental, consequential, indirect or puntitive damages arising out of access to or use of any content available on this channel.
Thanks - Dr. Jayanta Mahata
#আইবিএস
#IBS
#ইরিটেবলবাওয়েলসিনড্রোম
Информация по комментариям в разработке