Скачать или смотреть আবেগ বনাম যুক্তি | দেশ প্রেম না ভারতপ্রেম না পাকিস্তান প্রেম?

ব্যকগ্রাউন্ডঃ

সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য যোগাযোগে অংশগ্রহন করতে হলে, বিতর্ক করতে হলে, আপনাকে প্রথমে নিজের ব্যক্তিগত আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে জানতে হবে। ধরুন আপনি ফুটবল বেশি ভালোবাসেন, আপনি তর্ক করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ খেলাধুলার মধ্যে ফুটবলকে বেশি ভালোবাসে। এটি আপনি বলতে পারেন তবে বাংলাদেশের মানুষ খুব সম্ভবত এটি সাচ্ছন্দে গ্রহন করবে না কেননা এখানে আপনার আবেগ এবং বিচার দুটুই বস্তুনিষ্ঠ নয়। এখানে, একজন নিরপেক্ষ লোক যদি অংশ গ্রহন করে সে খোজ নিয়ে দেখবে যে ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ পর্যায়ে খেলে কিন্তু, ফুটবলে খেলে না। তখন সে বলবে বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলকে ভালোবাসে ঠিকই, কিন্তু ক্রিকেটে যেহেতু বাংলাদেশ বিশ্বকাপ পর্যায়ে খেলে, তবে খুব সম্ভবত ক্রিকেটকে বাংলাদেশের মানুষ বেশি ভালোবাসে।

আরেকটি উদাহরন দেয়া যায়, ধরেন আমি বাংলাদেশি বলে আমি যদি বলি পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশ বাংলাদেশ, তবে সেটি সাচ্ছন্দে গ্রহন করবে না মানুষ। আমার বিচার বস্তুনিষ্ঠ হলো না। সুতরাং, আমার এই কথার গ্রহনযোগ্যতা থাকবে না।


মূল বক্তব্যঃ

আমার একটি বিস্ময়ের বিষয়, আমি কিছু সূক্ষ পর্যবেক্ষন করে দেখলাম যে আমার অনেক পরিচিত, যারা হিন্দুধর্মে বিশ্বাসী, তাদের আবেগ বাংলাদেশের চেয়ে **অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে** ভারতের প্রতি বেশি। খুব সম্ভব এটি ধর্মিয় কারনে হয় যেহেতু ভারতই হিন্দুস্থান। এখানে হিন্দু মানুষের আবেগ থাকাটা স্বাভাবিক এবং এটি মন্দ কিছু নয় মোটেও এবং এতে আমার কোন আপত্তি ও নেই এবং কারো থাকাটাও ঠিক নয়। তবে ধরুন যখন বিষয়টি দেশের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা জনিত তখন ভারতের ব্যাপারে যুক্তিহীন আবেগ থাকাটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। এটি ব্যক্তিগত আবেগ, আপনি বস্তুনিষ্ঠ বিচার করতে পারছেন না। সুতরাং, বিতর্কে লিপ্ত হওয়ার যোগ্যতা আপনার নেই, এ অবস্থায় বিতর্কে লিপ্ত হয়ে আপনি অশান্তি সৃস্ঠি করবেন।

যখন পরিস্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে ভারত বিভিন্নভাবে গোপন মিশন চালাচ্ছে, যখন পরিস্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এক গোষ্ঠি রাজনিতীবিদরা ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের গুপ্তচর সহ অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের জনগনকে মারতে প্রবেশ করাচ্ছে, কিন্তু তবু আপনি কারো ভারতের সমালোচনা গ্রহন করতে পারছেন না,তা শিকার তো করছেনই না, বরং কেউ সেটি বললে আপনি উত্তেজিত হয়ে যাচ্চছন, তখন আসলে বলার মতো কিছু আর থাকে না।

বরং আপনাকেই প্রশ্ন করতে চাই, আপনাকে কি বলা যায়? ভারতের তবেদারি করাকে কি বলা যায়? অন্ধের অভিনয়?

একজন মুসলমান হিসেবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোনো মুসলিম দেশ বাংলাদেশে এসে নোংরা খেলা খেলবে আর আমি তা না দেখার ভান করে আকারে ইঙ্গিতে সেদেশকে সমর্থন করে যাবো কেবল আমি মুসলমান বলে? কি নুংরাই না আমার ব্যক্তিত্ব হবে তবে।...

মানুষের প্রতিক্রিয়া সাধারণত ব্যক্তিনিষ্ঠ হয়, বস্তুনিষ্ঠ নয়। কিন্তু আপনি যদি সামাজিক ভাবে বিভিন্ন যোগাযোগে অংশগ্রহন করতে চান বা পছন্দ করেন, বিতর্ক করতে চান, তবে আপনাকে যুক্তি উপস্থাপন করা জানতে হবে বস্তুনিষ্ঠ ভাবে। নিজের আবেগ ও বিচারকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে বস্তুনিষ্ঠ ভাবে। তা যদি আপনি না জানেন, সামাজিক ভাবে বিভিন্ন যোগাযোগে অংশগ্রহন কিংবা বিতর্ক থেকে তবে দয়াকরে বিরত থাকেন।


নোটঃ উপরের স্ক্রিপ্ট টি অসম্পূর্ণ, ভিডিওটা করার পূর্বে এই স্ক্রিপ্ট টি আপডেট করা হয়)।


ধন্যবাদ।