Скачать или смотреть গোপাল ভাঁড় মারা যাওয়ার আগে কি বলে গেলেন?গোপাল ভাঁড় এর শেষ পরিণতি,gopalbhar cartoon,krishnachandra

গোপাল ভাঁড় ! নামটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে রসিকতা সহ নানান বুদ্ধির ভান্ডার । বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাইএর পছন্দের চরিত্র গোপাল ভাঁড় ! কিন্তু কে ছিলেন এই গোপাল ভাঁড় ? কিংবা আদেও কি অস্তিত্ত ছিলো মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সভার এই ভাঁড়ের ? আর যদি থেকেও থাকে , তবে কোথায় এখন এই গোপাল ভাঁড় ? কতকিছুই যে জানতে ইচ্ছা করে সবার মন !। ইতিহাস এর পাতায় গোপাল ভাঁড় নিয়ে অনেক তথ্য রয়েছে আর সেসব তথ্য নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি ! আজকেও আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি গোপাল ভাঁড় এর অজানা কিছু ইতিহাস ! দেখতে থাকুন শেষ পর্যন্ত !

মধ্যযুগ
স্থান : নদীয়া
নাম : গোপাল চন্দ্র প্রামানিক

অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদীয়া জেলার প্রখ্যাত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজ সভায় নিযুক্ত ছিলেন গোপাল ভাঁড় । রাজা তাকে সভাসদদের মধ্যে একজন মনোরঞ্জনকারী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ।কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভা ও জনগণের যাবতীয় বিনোদনের আস্ত এক ভাণ্ডার ছিলেন বুদ্ধিমান গোপাল। কিন্তু এত প্রিয় মানুষ হয়েও বাংলাতে তার ঠাঁই হয়নি; বরং দেয়া হয়েছিল ফাঁসির আদেশ!

সালটা ছিলো ১৭৫৭ !
তরুণ সিরাজ-উদ-দৌলা ওই সময়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব ছিলেন। মীর জাফর, ঘষেটি বেগম, জগৎ শেঠ, রায় দূর্লভ, উমিচাঁদসহ অনেকেই নবাবকে সিংহাসন থেকে বঞ্চিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ।
তারা প্রত্যেকেই তাদের স্বার্থ এর জন্য শর্তসাপেক্ষে ইংরেজ বণিকদের সঙ্গে চুক্তি করেন।
ঠিক ওই সময় কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাব বিরোধী এই ভয়ংকর বলয়ে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেন। কৃষ্ণচন্দ্রের এই পরিকল্পনায় রাজসভার সবাই সমর্থন করলেও শুধু একজন ব্যক্তি মহারাজ কে মানা করলেন। আর তিনি হলেন "গোপাল ভাঁড়"।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে গোপাল বললেন, ইংরেজরা গায়ে সুচ হয়ে ঢুকে কুড়াল হয়ে বের হবে। তাদের স্বার্থ অনুযায়ী কাজ না করলে আপনার সব উপকারের কথা ভুলে আপনাকে শূলে চড়াতে একটুও দ্বিধা বোধ করবে না ।
সর্বোপরি বাংলার এমন সর্বনাশ না করতে গোপাল বারবার অনুরোধ করলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে। কিন্তু রাজা তার কথায় কান দিলেন না বরং তার সভাসদদের নিয়ে গোপালকে বিদ্রুপ করতে লাগলেন। অনেক অনুরোধ এর পর কৃষ্ণচন্দ্র গোপালকে শর্ত দিলেন, গোপাল যদি নবাবকে মুখ ভেংচি দিয়ে আসতে পারে তবেই তিনি নবাবের বিরুদ্ধে যাবেন না।

তৎক্ষণাৎ, কৃষ্ণচন্দ্রের শর্ত শুনেই গোপাল হাঁটা শুরু করলেন মুর্শিদাবাদের দিকে। কিন্তু তাকে ভাগিরথী নদীর তীরে গড়ে ওঠা হীরাঝিল প্রাসাদে ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না কিছুতেই। গোপাল বুদ্ধি করেই এক প্রহরীর হাতে কামড় বসিয়ে দিলেন। হই হই পরে গেল গোটা প্রাসাদ এ, শেষমেশ ঢুকতে দেওয়া হলো গোপাল কে !
পুরো ঘটনা শুনে নবাব বললেন, ‘তুমি কে, কেন এসেছো?’ গোপাল কোনো কথা না বলে নবাবকে মুখ ভেংচি দিলেন। ব্যাস ! নবাব রেগে গোপালকে আটক করলেন। বললেন, আগামীকাল তোমার বিচার হবে।

এরইমধ্যে গোপাল মীরজাফরকে চুপি চুপি বললেন, ‘আমি এসেছিলাম তোমাদের ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিতে। কিন্তু কিছু বলবো না। কারণ এসব কথা ফাঁস করে দিলে কৃষ্ণচন্দ্রও ফেঁসে যাবে। নবাব তাকে সরিয়ে অন্য জনকে ক্ষমতায় বসাবেন। আমি চাই না কৃষ্ণচন্দ্র তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলুক। তিনি যে আমার অন্নদাতা।’

মীরজাফর তার এমন কথা শুনে রীতিমতো ঘাবড়ে গেলেন। মীরজাফর চক্রান্ত করে গোপালের ফাঁসির ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু গোপালের মাঝে কোনো পরিবর্ত
ন দেখা গেল না। নবাব গোপালের মুখের দিকে তাকাতেই গোপাল আবারো ভেংচি দিলেন। এবার নবাব রীতিমতো ভাবনায় পড়ে গেলেন। ভাবলেন হয়তো পাগল টাগল হবে, একে ফাঁসি দেওয়া ঠিক হবেনা, এভাবে নবাব গোপাল কে মুক্ত করে দিলেন !
সাথে সাথেই গোপাল ফিরে গেলেন কৃষ্ণনগর এ। মহারাজ কে সবকিছু জানাতে মহারাজ তাও মেনে নিলেন না , তার সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন ! মানসিক কষ্ট পেলেন গোপাল । দু চোখের কোনে অশ্রু বিন্দু নিয়ে মহারাজ কে বললেন , " বিদায় মহারাজ "
রাজসভা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় গোপাল সিধান্ত নিলেন মহারাজের সভায় আর যাবেন না এমনকি এ রাজ্যেও আর থাকবেন না ! অত্যন্ত ব্যথিত মন নিয়ে কাউকে কিছু না বলে রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে রাজ্য ত্যাগ করলেন গোপাল ভাঁড়। এরপর থেকে সদা হাস্যময় গোপাল ভাঁড়কে বাংলায় আর দেখা মেলেনি ।।

#gopalbhar​
#gopalbharhistory​
#gopalbharmaharaj​
#krishnachandra​
#krishnanagar​ ......................................................
#গোপালভাঁড় #GopalBhar #BengaliHistory #বাংলাঐতিহাসিকগল্প
#Unknown fact by proson#
#Unknownfactbyproson#
For any copy right metter please contact us:[email protected]

Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statutes that might otherwise be infringing. Non-profit, educational, or personal use tips the balance in favor of fair use