Скачать или смотреть কড়ইতলী স্থলবন্দর পার্ক হালুয়াঘাট ময়মনসিংহ

“ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা, সীমান্ত ঘেঁষা এক মনোমুগ্ধকর স্থান – কড়ইতলী পার্ক। এখানে বসে একদিকে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, অন্যদিকে ভারতীয় সীমান্তের গ্রাম, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট আর গাড়ি চলাচল পর্যন্ত চোখে পড়ে। আজকের ভিডিওতে আমরা ঘুরে দেখব এই অনন্য সুন্দর পার্কের প্রতিটি সৌন্দর্যময় কর্নার।”

অবস্থান ও ইতিহাস:
“এই পার্কটি অবস্থিত ভূবনকুড়া ইউনিয়নে, কড়ইতলী স্থলবন্দরের ঠিক পাশে। অর্থাৎ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একদম কাছেই এর অবস্থান। কড়ইতলী পার্কের প্রতিষ্ঠাতা হালুয়াঘাট উপজেলার ১ নং ভূবনকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব সুরুজ সাহেব। তাঁর স্বপ্ন আর প্রচেষ্টার ফলেই গড়ে ওঠে এই পার্ক, যা আজ স্থানীয় ও বাইরের ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
“কড়ইতলী পার্কের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রাকৃতিক পরিবেশ। উঁচু-নিচু টিলা, ছায়াঘেরা গাছ, আর পাখির কিচিরমিচির শব্দ এক ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। এখান থেকে চোখ মেললেই দেখা যায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু গারো পাহাড়। পরিষ্কার দিনে এই পাহাড়ের সৌন্দর্য যেন আরও কাছে টেনে আনে। তাছাড়া এখান থেকেই ভারতের তুরা ও উইলিয়ামনগর শহরের ভ্রমণযোগ্য সৌন্দর্য কল্পনায় ভেসে ওঠে।”

বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতা:

পারিবারিক ভ্রমণের জন্য আদর্শ স্থান

শিশুদের জন্য খেলাধুলার উপযোগী মাঠ

টিলার উপর বসে প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগের সুযোগ

সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দৃশ্য চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে

মেঘালয়ের পাহাড়গুলো স্পষ্ট দেখা যায়

ক্যামেরা ফোকাস:
“কড়ইতলী পার্ক থেকে ভারতের সীমান্ত দেখা যায় খুব সহজেই। সীমান্তের ওপাশে মাঠে কাজ করা মানুষ, গাড়ির চলাচল কিংবা ঘরবাড়ির দৃশ্য যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে। অন্য কোনো পার্কে এ অভিজ্ঞতা মেলে না, কড়ইতলী পার্ককে অনন্য করে তোলে ঠিক এই বৈশিষ্ট্য।”

নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা:
“যে কোনো বয়সী মানুষ এখানে সময় কাটাতে পারেন নির্ভয়ে। পার্কের ভেতরে রয়েছে বসার বেঞ্চ, খোলা জায়গা আর নিরাপদ পরিবেশ। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে বেড়িয়ে আসার জন্য এটি এক অসাধারণ জায়গা। যদি ভবিষ্যতে খাবারের দোকান, শিশুদের খেলার জায়গা বা একটি ভিউ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়, তবে এই পার্ক আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি যেমন উন্নত হবে, তেমনি সীমান্তবর্তী পর্যটনও সমৃদ্ধ হবে।”

কড়ইতলী স্থলবন্দর ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ:
“এই পার্কের পাশে রয়েছে কড়ইতলী স্থলবন্দর। এখান দিয়ে বৈধ উপায়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে পর্যটকরা ভারতে প্রবেশ করতে পারেন। ফলে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য মেঘালয়ের পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগের অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবেও কড়ইতলী পার্ক একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।”

“কড়ইতলী পার্ক শুধু একটি বিনোদন কেন্দ্র নয়, এটি সীমান্তবর্তী অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বৈচিত্র্যের প্রতিচ্ছবি। নিরিবিলি পরিবেশ, সীমান্তের দৃশ্য, মেঘালয়ের পাহাড় আর সবুজের সমারোহ – সব মিলিয়ে কড়ইতলী পার্ক হতে পারে আপনার পরবর্তী ভ্রমণ গন্তব্য। একবার ঘুরে এলে আপনিও মুগ্ধ হবেন এর সৌন্দর্যে।”

কড়ইতলী পার্ক – প্রকৃতির কোলে সীমান্তের সৌন্দর্য
“ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে Ghagra Media এর সাথে থাকুন।”

#ghagramedia
#travel
#nature