তথ্যচিত্র নির্মলেন্দু গুণ শেষ পর্ব / Docu on Nirmalendu Goon Last Part
গবেষণা ও পরিচালনা- নুরুন্নবী নুর ও সাইফুর রহমান
সম্পাদনা- মাসুদ ও সাইফুর রহমান
প্রযোজনা- D For Docu Creators Team
নির্মলেন্দু গুণ, বাংলাদেশের কবিদের কবি
নির্মেলেন্দু গুণকে 'বাংলাদেশের কবিদের কবি' বলা হয়। কারণ, তিনি গত শতাব্দীর ষাটের দশকে কবিতা রচনা শুরু করেন।তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'প্রেমাংশুর রক্ত চাই' দিয়েই তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
তাছাড়া অল্পদিনের মধ্যে তিনি তরুণদের মন জয় করেন এবং অগ্রজ কবিদের সমীহ আদায় করেন। এখন পর্যন্ত তিনিই সম্ভবত একমাত্র কবি, যার কবিতা পড়ে অনেকে কবি হবার আকাঙ্ক্ষা বোধ করতেন। বাংলাদেশের আর কোনো কবি অনুজ কবিদের ওপর অতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। সত্তর দশকের অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি নির্মলেন্দু গুণের প্রভাবেই কবি হয়েছেন। পরের দশকগুলোতেও তার প্রভাব অল্প-বিস্তর তরুণ কবিসমাজকে প্রভাবিত করে।
নির্মলেন্দু গুণের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
নির্মলেন্দু গুণের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে কাব্যগ্রন্থ হোল- 'প্রেমাংশুর রক্ত চাই' , 'না প্রেমিক না বিপ্লবী', 'কবিতা অমীমাংসিত রমণী', 'দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী', 'চৈত্রের ভালবাসা', 'ও বন্ধু আমার', 'আনন্দ কুসুম', 'বাংলার মাটি বাংলার জল', 'তার আগে চাই সমাজতন্ত্র', 'চাষাভুষার কাব্য', 'অচল পদাবলী', 'দূর হ দুঃশাসন', 'শান্তির ডিক্রি', 'প্রথম দিনের সূর্য', 'নিরঞ্জনের পৃথিবী', 'চিরকালের বাঁশি', 'ধাবমান হরিণের দ্যুতি', 'অনন্ত বরফবীথি', 'আনন্দ উদ্যান', 'শিয়রে বাংলাদেশ', 'মুঠোফোনের কাব্য', 'নিশিকাব্য' ও 'কামকানন' অন্যতম। তাঁর কবিতায় মূলত নারীপ্রেম, শ্রেণি-সংগ্রাম এবং স্বৈরাচার বিরোধিতা, এ-বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে।
তাঁও আরও উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ- 'আপন দলের মানুষ'। কিশোর উপন্যাস- 'কালো মেঘের ভেলা' ও 'বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন'। ভ্রমণ কাহিনী- 'ভলগার তীরে', 'গীনসবার্গের সঙ্গে' ও 'ভ্রমি দেশে দেশে' । আত্মজীবনী- 'আমার ছেলেবেলা', 'আমার কণ্ঠস্বর' ও 'আত্মকথা ১৯৭১'।
নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় কবিতা
তাঁর কিছু বিখ্যাত কবিতা হোল- 'হুলিয়া', ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত 'হুলিয়া' কবিতাটি নিয়ে একই নামে চিত্রনির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল একটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। 'স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো', কবিতাটি বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্য; 'নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ', কবিতাটিকে ঘিরে একই নামে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত ২০১৪ সালে চলচ্চিত্রনির্মাতা মাসুদ পথিক নির্মাণ করেন একটি বাংলাদেশী নাট্য চলচ্চিত্র।
'আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেই
বলে দেব স্ট্রেটকাটঃ ‘ভালোবাসি’।
এরকম সত্য-ভাষণে যদি কেঁপে ওঠে,
অথবা ঠোঁটের কাছে উচ্চারিত শব্দ থেমে যায়,
আমি নখাগ্রে দেখাবো প্রেম, ভালোবাসা, বক্ষ চিরে
তোমার প্রতিমা। দেয়ালে টাঙ্গানো কোন প্রথাসিদ্ধ
দেবীচিত্র নয়, রক্তের ফ্রেমে বাঁধা হৃদয়ের কাচে
দেখবে নিজের মুখে ভালোবাসা ছায়া ফেলিয়াছে।'
নির্মলেন্দু গুণের আরও কিছু জনপ্রিয়, দেশাত্মবোধক ও প্রেমমূলক কবিতা হোল-
'তোমার চোখ এত লাল কেন?', 'আবার যখনই দেখা হবে', 'আকাশ সিরিজ', 'আসমানী প্রেম', 'শুধু তোমার জন্য', 'ওটা কিছু নয়', 'স্ববিরোধী', 'যাত্রাভঙ্গ', 'আকাশ ও মানুষ', তুলনামূলক হাত, পূর্ণিমার মধ্যে মৃত্যু, মোনালিসা', দু'জনের ভাত, 'আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও', 'টেলিফোনে প্রস্তাব' 'উপেক্ষা', ও 'আশাগুলি' অন্যতম।
নির্মলেন্দু গুণের অর্জিত বিশেষ পুরস্কার
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য নির্মলেন্দু গুণ পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কার। তার মধ্যে অন্যতম হলো ১৯৮২ সালে 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার', ২০০১ সালে 'একুশে পদক' ও ২০১৬ সালে 'স্বাধীনতা পুরস্কার'।
সমাপ্ত
Subscribe to us on
YouTube- / dfordocu
Facebook Id- https://www.facebook.com/profile.php?...
Facebook Page- / d-for-docu-c. .
Facebook Group- / 32734. .
Watch more Nirmalendu Goon related videos-
1)তথ্যচিত্র- নির্মলেন্দু গুণ পর্ব- 0১/ Docu on Nirmalendu Goon Part- 01 • তথ্যচিত্র- নির্মলেন্দু গুণ পর্ব- 0১/ Docu...
Информация по комментариям в разработке