Скачать или смотреть পুষ্করা - একটি বিস্ময়কর অধ্যায়। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।। বাংলা অডিও গল্প।। Bangla Audio Story

এখানে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা 'পুষ্করা' গল্পের সারসংক্ষেপ দেওয়া হল:
কালীপূজার প্রস্তুতি [01:00]: গল্পটি শুরু হয় শুক্লা চতুর্দশীর রাতে কালীপূজার আয়োজনের মধ্য দিয়ে। গ্রামের মানুষের মধ্যে এই পূজা ঘিরে উৎসবের পরিবর্তে এক ধরণের গভীর দুঃখ ও ভয়ের আবহ লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের মানুষরা বিশ্বাস করে, দেবী এই বছর গ্রামের উপর রুষ্ট হয়েছেন, কারণ রোগ-ব্যাধি, মৃত্যু এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ গ্রামের সমস্ত সম্পদ শুষে নিচ্ছে। তাই দেবীর ক্রোধ শান্ত করার জন্য শ্মশানকালীর পুজো আয়োজন করা হয়।
গ্রামের অবস্থা [04:10]: গত তিন মাস ধরে গ্রামটি শোষণ, রোগ ও মৃত্যু দ্বারা আক্রান্ত। গ্রামের নদী শুকিয়ে গেছে এবং শ্মশান ভরে উঠেছে নতুন মৃতদেহে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা ভয় ও অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
বিশেষ পূজা ও বলি [05:33]: শ্মশানে একটি বিশেষ কালীপূজার আয়োজন করা হয়। পুরোহিত প্রথমে দেবীর মন্ত্র জপ করেন, তারপর খড়্গ দিয়ে ছাগ বলি দেন। এই বলির রক্ত দেবীর পায়ে উৎসর্গ করা হয়, যা গ্রামবাসীদের আশা জাগিয়ে তোলে। তারা বিশ্বাস করে যে এই বলির মাধ্যমে দেবী তুষ্ট হবেন এবং শোষণ ও মৃত্যু থেকে গ্রামকে রক্ষা করবেন।
দেবী দর্শন [06:45]: বলির পর, পুরোহিত কাশির কুমারকে দেবীর চরণ স্পর্শ করতে বলেন। কাশির কুমার যখন চোখ বন্ধ করে দেবীর দিকে তাকান, তখন তিনি একটি অদ্ভুত অনুভূতি লাভ করেন এবং শুনতে পান গ্রামবাসীর আর্তনাদ। তিনি উপলব্ধি করেন যে, দেবী এই গ্রামকে শোষণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করবেন।
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন [13:00]: পুরোহিত এবং গ্রামবাসীরা ধীরে ধীরে উপলব্ধি করেন যে, দেবী তাদের পাশে আছেন এবং তাদের শোষণকারীদের বিরুদ্ধে রক্ষা করবেন। এই উপলব্ধি তাদের মধ্যে নতুন আশা ও আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। তারা বিশ্বাস করে, শোষণ এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে তাদের এই লড়াইয়ে দেবী তাদের পাশে থাকবেন।
গ্রামের মুক্তি [19:00]: অবশেষে, গ্রামের মানুষজন শোষণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পায়। এই ঘটনার পর, গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং তারা নতুন করে বাঁচতে শুরু করে।
এই গল্পটি শোষণ, মৃত্যু এবং মানুষের অসহায়তার মাঝেও আশা ও প্রতিরোঐঐধের এক অসাধারণ চিত্র ফুটিয়ে তোলে। আপনি যদি গল্পের অন্য কোনো অংশের বিশদ বিবরণ জানতে চান, তবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।