Скачать или смотреть Crpc 144 ধারা হলে কি কি হতে পারে?

একশোচুয়াল্লিশ ধারা র কথা আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু এটা সন্মন্ধে বিস্তারিত অনেকেই জানিনা। আজ আমি Advocate Sudhankar Ghosh একশোচুয়াল্লিশ ধারা নিয়ে আলোচনা করবো।


সিয়ারপিসি হান্ড্রেড ফরটিফোর বা একশোচুয়াল্লিশ ধারা কী?

সিয়ারপিসি হান্ড্রেড ফরটিফোর একটি সতর্কতামূলক আদেশ, যা ম্যাজিস্ট্রেট জারি করতে পারেন জনশান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকলে দুই পক্ষকে সংঘর্ষ বা জমিতে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে এই ধারা প্রয়োগ করা হয়।


---

একশোচুয়াল্লিশ ধারা কোন কোন পরিস্থিতিতে জমিজমা নিয়ে প্রয়োগ হয়?

জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ

জমিতে জবরদখল বা মারামারির আশঙ্কা

জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ বা চাষাবাদ

জমিতে শান্তিভঙ্গের সম্ভাবনা

জমির মালিকানা মামলা চলাকালীন উত্তেজনা

নির্মাণ কাজ বা স্থাপনা নিয়ে ঝামেলা
----------
জমি নিয়ে বিরোধ হলে একশোচুয়াল্লিশ ধারা কারা জারি করতে পারে?

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিএম অথবা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা এসডিও বা বিডিও জনস্বার্থে একশোচুয়াল্লিশ ধারা জারি করতে পারেন।


---

একশোচুয়াল্লিশ ধারা কতদিনের জন্য কার্যকর থাকে?

প্রথম অবস্থায় দুই মাস বা ষাট দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে। বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে ছ মাস পর্যন্ত বাড়ানো যায়।


---

জমিজমা মামলায় একশোচুয়াল্লিশ ধারা জারি হলে কী কী নিষেধাজ্ঞা থাকে?

জমিজমা মামলায় একশোচুয়াল্লিশ ধারা জারি থাকলে
জমিতে প্রবেশ নিষেধ থাকতে পারে।

জমি চাষ বা ব্যবহার নিষেধ থাকতে পারে।

গন্ডগোল, জমায়েত, মারামারি নিষেধ থাকতে পারে।

নতুন স্থাপনা তৈরি নিষেধ ও থাকতে পারে। সব কিছু ম্যাজিস্ট্রেটের অর্ডারের ওপর নির্ভর করে।



---

একশোচুয়াল্লিশ ধারা উঠানোর উপায় কী?


যে ম্যাজিস্ট্রেট জারি করেছে তার কাছে কাছে লিখিত আবেদন করুন।

প্রমাণ দিয়ে দেখাতে হবে জমিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা আছে

প্রয়োজনে আদালতে রিভিশন বা আপিল



---

জমি মামলা চলাকালীন একশোচুয়াল্লিশ ধারা থাকলে কি মালিক জমি বিক্রি বা দলিল করতে পারে?

হ্যাঁ, মালিকানা থাকলে দলিল বা বিক্রি করা যায়। তবে জমির দখল বা ব্যবহার আদালতের নির্দেশ ছাড়া করা যাবে না।


------


জমির দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হলে একশোচুয়াল্লিশ ধারা কার স্বার্থে জারি হয়?


একশোচুয়াল্লিশ ধারা জনস্বার্থে জারি হয়, কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়। মূল উদ্দেশ্য — আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সংঘর্ষ বন্ধ করা।




একশোচুয়াল্লিশ ধারা জারি থাকলে পুলিশ জমি থেকে উভয় পক্ষকে বের করে দিতে পারে কি?

হ্যাঁ, যদি ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ থাকে, পুলিশ জমিতে কারও প্রবেশ বন্ধ করতে পারে। জমি ফাঁকা রাখা হয় শান্তির স্বার্থে।



একশোচুয়াল্লিশ ধারা কি ক্রিমিনাল কেস?


না, সিয়ারপিসি একশোচুয়াল্লিশ ধারা প্রিভেন্টিভ বা প্রতিরোধমূলক আদেশ। এটা সিভিল ও ক্রিমিনাল উভয় বিষয়কে প্রভাবিত করতে পারে। তবে মূল উদ্দেশ্য শান্তি রক্ষা করা।


-------


একশোচুয়াল্লিশ ধারায় কোন কোন নির্দেশ বা অর্ডার পাওয়া যায়?

জমিতে প্রবেশ নিষেধ

জমায়েত নিষেধ

মারামারি বা অশান্তি নিষেধ

নির্মাণ কাজ বন্ধ

জমি থেকে উভয় পক্ষকে সরানো

অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ

জমিতে পুলিশ মোতায়েন


একশোচুয়াল্লিশ ধারা ভঙ্গ করলে শাস্তি কী?

১ মাস পর্যন্ত জেল বা
২০০ টাকা জরিমানা বা
উভয় হতে পারে।


জমিজমা মামলায় একশোচুয়াল্লিশ ধারা কত দ্রুত জারি হয়?

ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী একদিন বা কয়েকদিনের মধ্যেই একশোচুয়াল্লিশ ধারা জারি হতে পারে।


আরো বিস্তারিত জানতে ইনবক্সে মেসেজ বা ফোন করুন।
ভিডিও টা ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাই কে আইন জানার সুযোগ করে দিন।