বিবি বেগনী মসজিদ II বাগেরহাট II Bibi Begni Mosque II Bagerhat

Описание к видео বিবি বেগনী মসজিদ II বাগেরহাট II Bibi Begni Mosque II Bagerhat

#বিবিবেগনী_মসজিদ

রহস্যেঘেরা এক ঐতিহাসিক নিদর্শনের নাম বিবি বেগনী মসজিদ। এই পুরাকীর্তিটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নগরী খলিফাতাবাদের (বর্তমান বাগেরহাট) বিখ্যাত ষাট গম্বুজ মসজিদের অনতিদূরে অবস্থিত। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই ইমারতটি- একটি মসজিদ, নাকি সমাধিসৌধ; সেই রহস্যের জট খোলেনি এখনো।

নিদর্শনটির নাম বিবি বেগনী মসজিদ– কাজেই বিবি বেগনী নামের কোন এক রমণী এর ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছেন। তাই জেনে নেয়া দরকার– কে ছিলেন এই বিবি বেগনী। বিবি বেগনীর আসল পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়না। এ সম্পর্কিত কোন ঐতিহাসিক দলিলও নেই। তবে এই বিবি বেগনীকে নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। স্থানীয় জনশ্রুতি মতে, তিনি ছিলেন হযরত খানজাহান আলী (রহঃ) এর একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। আবার কারো কারো মতে, তিনি ছিলেন হযরত খানজাহান আলী (রহঃ) এর একজন স্ত্রী, যিনি বিষপান করে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন। যেখানে হযরত খানজাহান আলী (রহঃ) এর প্রকৃতনাম নিয়েই রয়েছে সংশয়, সেখানে বিবি বেগনীকে নিয়ে প্রচলিত এই জনশ্রুতি নিতান্তই মনগড়া কাহিনী বলে মনে হয়। বিবি বেগনীর এই কাহিনীতে চমকের আরো রসদ যোগায় এই ঐতিহাসিক ইমারত। অনেকের মতে বিবি বেগনীর মৃত্যুর পর হযরত খানজাহান আলী (রহঃ) তাঁর কবরের উপরেই পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই নিদর্শনটি নির্মাণ করেন। যার অর্থ দাঁড়ায় এই স্থাপনাটি একটি সমাধিসৌধ। যদিও এতে নেই কোন শবাধার, কিংবা শবাধারের কোন চিহ্নও। নিয়মিত নামাজ হচ্ছে এখানে, রয়েছে অন্য আর যেকোন মসজিদের মতোই সাধারন বৈশিষ্ট্য। মোঃ খালেকুজ্জামান, শ্রী সতীশ চন্দ্র মিত্রসহ অনেক ঐতিহাসিকই বিবি বেগনী ও এই স্থাপনা নিয়ে প্রচলিত জনশ্রুতির কথা তাঁদের লেখায় উল্লেখ করেছেন।

তবে এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, সুলতানি আমলের অনেক সমাধিসৌধেও মসজিদের মতো কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। সমাধিসৌধে মসজিদের মতো গম্বুজ, মেহরাব দিয়ে অলংকরণ করা হতো। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লীর কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে অবস্থিত সুলতান শামস উদ্দিন ইলতুৎমিশের সমাধিসৌধের কথা বলা যেতে পারে। ইলতুৎমিশের সমাধিসৌধটি গম্বুজ ও কারুকার্যমন্ডিত মেহরাব দিয়ে অলঙ্কৃত, দেখে জমকালো কোন মসজিদ বলেই মনে হবে। তবে সুলতানের মূল কবরটি রয়েছে মেঝের নিচে, ভূগর্ভস্থ কক্ষে। বিবি বেগনী মসজিদের ভিতরে কখনো প্রত্নতাত্ত্বিক খনন হয়নি, কাজেই এর ভিতরে কোন সমাধি আছে কি নেই -তা প্রশ্নসাপেক্ষ। প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে প্রয়োজন বিস্তর গবেষণার। আকামো জাকারিয়া স্যার এই স্থাপনার উত্তরপূর্ব কোণে কয়েকটি পুরনো পাকা কবরের কথা উল্লেখ করেছিলেন, কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেগুলো এখন আর দেখা যায়না। সেই হারিয়ে যাওয়া কবরগুলোর কোনটিতে বিবি বেগনীর শেষ শয্যা হয়েছিল কিনা তার সম্ভাবনাও কিন্তু উড়িয়ে দেয়া যায়না।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке