Скачать или смотреть হিমুর প্রেমিক উরফিকে মাদক এনে দিতেন মেকআপম্যান মিহির

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফি ওরফে উরফি জিয়ার কাছ থেকে নানা ধরণের তথ্য পেয়েছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিমুর প্রেমিক উরফি জানিয়েছেন, তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন এবং তাকে মাদক এনে দিতেন হিমুর বাসায় থাকা মিহির।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রিফিং করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উরফি জিয়া র্যাবকে যেসব কথা জানিয়েছেন তার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। আল মঈন জানান, উরফি র্যাবকে বলেছেন, ২০১২ সালে তার সঙ্গে পরিচয় হয় হিমুর। সম্পর্কে তিনি ছিলেন হিমুর খালাতো বোনের স্বামী। খালাতো বোনের সঙ্গে উরফির ডিভোর্স হওয়ার পরও যোগাযোগ ছিল উরফি- হিমুর।
তাদের সম্পর্কে সখ্যতা এবং এক পর্যায় গভীরতা তৈরি হলে দুজনেই একে অন্যকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আগেই পারিবারিকভাবে উরফি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। তাদের সংসারে রয়েছে একটি কন্যা সন্তানও।

এমন পরিস্থিতিতে তাদের সম্পর্কে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ জটিলতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে জুয়া খেলার অভ্যাস। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উরফি জানিয়েছেন, জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন হিমু। উরফি নিজেও সে খেলায় আসক্ত। গত ৪ মাসে অনলাইন জুয়া খেলায় ২১ লাখ টাকা খুইয়েছেন উরফি। আর হিমু নষ্ট করেছেন প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

দু-তিন বছর ধরে বিগো লাইভ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন তারা। এসব তথ্যের সঙ্গে উরফি আরও জানিয়েছেন, তিনি মাদক গ্রহণ করেন। আর তাকে মাদক এনে দিতেন মেকআপ আর্টিস্ট এবং হিমুর পালিত ভাই মিহির।

এদিকে র্যাব বলছে, মিহিরের সঙ্গে মাদকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মিহির অন্য অভিনয়শিল্পীদেরও মাদক দেয় কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। হিমুর প্রকৃত মৃত্যুর রহস্য জানতে তাই আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
‪@bbcnews-bd‬