Скачать или смотреть পাহাড়ে দুইশটি বারি -২ কমলা গাছে ঝুলছে পাকা কমলা

পাহাড়ে দুইশটি বারি -২ কমলা গাছে ঝুলছে পাকা কমলা

নীরব চৌধুরী বিটন, প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি । খাগড়াছড়ি শহর থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে আড়াইমাইল এলাকায় খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবষেণাকন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কার্যালয় । কার্যালয় ষের্ষে যাওয়ার পদে টিলা নামার সময় ডানপাশে টিলায় দুইশটি গাছে বারি কমলা -২ গাছের ডালে ডালে পাকা ফল ঝুলে আছে । পাকা ফলের রং যেন গাছের আগুন লেগেছে । ২০১১ সালে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্র দুইশটি চারা রোপন করা পর দুই বছররে মধ্যে ফল আসতে শুরু করে । বাজারে বিদেশি যে কমলা বিক্রি করা হয় তার চেয়ে খেতে মিষ্টি সুস্বাদু ও রসালো ।

বারি কমলা -২ বাগানে গিয়ে দেখা যায়, পাকা ফল খেতে আসা বিভিন্ন পাখি গাছের চারপাশে ঘুরঘুর করে । দুই একটা খেয়ে উড়ে যায় পাখিরা আবার আসে । পাকা ফল খেতে দেখলে বাগান পাহারাদার ইটের টুকরো মেরে তাড়িযে দেয় । বাগান বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এক নজর দেখে যায় ।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবষেণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো আব্দুল্লাহ আল মালেক বলেন, বারি কমলা - ২ মাতৃ বাগান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইানষ্টটিউ কর্তৃক উদ্ভাবাবিত । বারি কমলা -২ একটি জাত । আকারে ছোট হয় । ফলন পরির্যাপ্ত পরিমান হয় । দশ বছরের একটি গাছ । আমাদের এখানে দুইশটি মাতৃগাছ রয়েছে । প্রতিটি গাছে ফলন চারশ থেকে পাঁশ ফল পাই । ঝোপালো আকৃতি। এই জাতটি গাছ ওপরে উঠে না । এটি ঝোপালো আকৃতি । বোটা খুব শক্ত । ছিয়ে আসতে কিন্তু ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা কম । নভেম্বর মাসে রং চলে আসলেও সংগ্রহ করি ডিসেম্বরে শেষ জানুয়ারির শুরুতে। তা হলে আমরা পরিপূর্ণ মিষ্টি পায়। কমলার রং দেখে আমরা দূত সেই ক্ষেত্রে একটু টক হয়। তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে প্রতি বছর পরিযাপ্ত প্ররিমান ফল পাব। বিনা মূলে এবং সল্প মূলে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করি। তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষক ও দেশের অন্যান্য কৃষকগন আগ্রহী হয়ে এই কমলার চারা আমাদের নার্সারী থেকে সংগ্রহ করে। ইতি মধ্যে আমরা বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি নার্সারীগুলোতে চারা সরবারহ করেছি। তিনি আরো বলেন, এই জাতের কোন রোগবালাই হয়ে না বলেই চলে। এটির ডাইবেট সদস্যা নেই। গাছটি ঝোপালো পাহাড়ের অন্যান্য জায়গায় চাষাবাদ করা যায়। অতি সহজে পরিচর্যা করা যায়।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবষেণাকন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক র্কমর্কতা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ বলেন, খাগড়াছড়ি সম্ভাবনাময় জাত। অক্টোবর মাসে ফল হলুদ রং চলে আসে মানুষ যদি মনে করে পাকা তা হলে ভুল করবে। পাকা এবং মিষ্টি রসালো অবস্থায় পেতে হলে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। তিনি বলেন, বারি মাল্টা বারি-১ মতই সারাদেশেরমত চাষযোগ এবং অতান্ত সুন্দর। কৃষকরা বৈজ্ঞানিক পদতিতে চাষ করলে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।