Скачать или смотреть জমিদার বাড়ির বর্তমান অবস্থা:

জমিদার প্রথা ভারতবর্ষে মোগল আমলে শুরু হলেও ব্রিটিশ শাসনে এটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়; আর ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়।

এখন চলুন জমিদার প্রথার ইতিহাসটি ধাপে ধাপে দেখি:


🏰 জমিদার প্রথার সূচনা

উৎপত্তি: ‘জমিদার’ শব্দটি এসেছে ফারসি ‘যামিন’ (জমি) ও ‘দাস্তান’ (ধারণ) শব্দ থেকে। অর্থাৎ, জমির মালিক বা ভূস্বামী।
প্রথম প্রচলন: মোগল আমলে জমি কর আদায়ের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ‘জমিদার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হতো। তারা কৃষকদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করে সরকারের কাছে জমা দিতেন।
সুলতানি আমল: ইতিহাসবিদদের মতে, বাংলায় জমিদারি প্রথার গোড়াপত্তন হয় তুর্কি ও আফগান শাসকদের সময়েই (১৪শ–১৫শ শতক)। যেমন, ১৫১০ সালে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে বনগাঁ অঞ্চলে জমিদার ছিলেন রামচন্দ্র খাঁ।

📜 ব্রিটিশ আমলে জমিদারি প্রথার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (Permanent Settlement), ১৭৯৩: লর্ড কর্নওয়ালিস এই ব্যবস্থাটি চালু করেন। এতে জমিদাররা জমির স্থায়ী মালিক হন এবং নির্দিষ্ট হারে খাজনা সরকারকে দিতে বাধ্য থাকেন।
ফলাফল:
জমিদাররা কৃষকদের উপর অধিক শোষণ চালাতে থাকে।
কৃষকেরা জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়।
জমিদারদের হাতে জমি ও ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঘটে।


🧨 জমিদারি প্রথার বিলুপ্তি

বিলুপ্তির কারণ:
কৃষকদের উপর শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে জমিদারি প্রথার বিরোধিতা
স্বাধীনতার পর ভূমি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা

বিলুপ্তি:
ভারত: ১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়।
পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ): ১৯৫০ সালে “East Bengal State Acquisition and Tenancy Act” অনুযায়ী জমিদারি প্রথা বাতিল হয়।

ফলাফল:
জমির মালিকানা কৃষকদের হাতে আসে।
জমিদারদের অধিকাংশই শহরে চলে যান বা তাদের প্রভাব কমে যায়।
অনেক জমিদার বাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে, কিছু সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে।

এই প্রথার বিলুপ্তি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে বড় পরিবর্তন এনেছে।

#jamidarbari
#JamidarItihas
#banglahistory