বিবেক খাটান, হে বন্ধু, চোখ মেলে দেখুন সত্যকে।
২. আবেগের পিছনে ছুটে কেবলই হয় ব্যর্থতা।
৩. সত্যের মাটিতে পা রেখে জীবনকে মাপুন।
৪. কারণ, কিছু বাস্তবতা—শুনতে খারাপ হলেও—তা চিরন্তন।
৫. যা চোখে দেখা যায় না, তাই দিয়ে সাজানো জীবন।
৬. খেয়াল করে দেখুন, কীসের উপর দাঁড়িয়ে আপনার বিশ্বাস।
৭. হুজুরের বাড়িতে কেন মিলাদের আয়োজন দেখা যায় না?
৮. তিনি জানেন, আসল আরাধনা হয় হৃদয়ের গভীরে।
৯. বাইরের লোক দেখানো প্রথা, তার কাছে মূল্যহীন।
১০. তবুও আমরা ছুটি সেই লোক দেখানো আচারের দিকে।
১১. বারবার ভুলে যাই, ধর্মের মর্ম আর প্রদর্শন এক নয়।
১২. বিবেক বলে, এই সরল সত্য কেন মানি না?
১৩. যে ডাক্তার জীবন বাঁচান, তার নিজের ঘরেও নিয়ম।
১৪. তার স্ত্রীর প্রসবের জন্য সব সময় সিজার লাগে না।
১৫. তিনি প্রাকৃতিক নিয়ম আর পদ্ধতির মূল্য জানেন।
১৬. অপ্রয়োজনে ছুরি-কাঁচি ধরা তার কাছে মূর্খতা।
১৭. অথচ আমরা সামান্য অসুস্থতায় ভয় পাই, দৌড়াই।
১৮. আস্থা রাখুন নিজের ক্ষমতায়, বাড়ান মানসিক জোর।
১৯. একজন গণক, যে অন্যের ভাগ্য নিয়ে কথা বলে—
২০. সে কি পারে নিজের জীবনের আঁধার কাটাতে?
২১. তার ভাগ্য কেন পাল্টায় না, কেন কাটে না দৈন্যদশা?
২২. ভবিষ্যৎ জানার ক্ষমতা থাকলে সে তো নিজেই রাজা হতো!
২৩. এর থেকে প্রমাণ হয়, ভাগ্য বদলায় শুধু কঠোর পরিশ্রমে।
২৪. অন্যের কথা নয়, নিজের কর্মে বিশ্বাস করুন।
২৫. আর সেই পীর বা দরবেশ, যাকে আমরা মানি,
২৬. তিনি কেন মাজারে গিয়ে টাকা দেন না কখনও?
২৭. কারণ তিনি জানেন, আত্মিক শান্তির কোনো বিনিময় মূল্য নেই।
২৮. স্রষ্টার কাছে প্রার্থনার জন্য অর্থ লাগে না।
২৯. আমাদের ভক্তি যেন শুধু দানের বাক্সে আবদ্ধ না হয়।
৩০. আবেগকে থামান, বিবেককে প্রশ্ন করার সময় এসেছে।
৩১. এবার তাকান আপনার চারপাশের সম্পর্কের দিকে।
৩২. যেখানে জড়িয়ে আছে ভাই, বোন, আর আত্মীয়-স্বজন।
৩৩. যখন আপনার সময় ভালো, তখন তাদের ভিড় থাকে।
৩৪. হাসি-খুশি মুখে তারা আপনার পাশে দাঁড়ায়।
৩৫. কিন্তু যেদিন আপনার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে,
৩৬. সেদিনই তাদের আসল চেহারাটা পরিষ্কার হয়।
৩৭. বিপদে ভরসা দিতে পাশে কেউ নেই—এই অনুভব।
৩৮. দুঃখের দিনে পাশে দাঁড়ানোর লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
৩৯. সেই ভাই বা বোন, যারা এক বিছানায় বড় হয়েছে,
৪০. তারাও তখন মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন অচেনা পথিক।
৪১. আত্মীয়-স্বজনেরা তখন দূরে থাকার অজুহাত খোঁজে।
৪২. কারণ, ব্যর্থ মানুষকে সমর্থন করা তাদের কাছে বোঝা।
৪৩. যখন সামনে দাঁড়ানোর দরকার, যখন দরকার পথপ্রদর্শক,
৪৪. তখন দেখবেন সব পথ ফাঁকা, সবাই নীরব।
৪৫. আলোর পথে কেউ আপনাকে হাত ধরে টানবে না।
৪৬. সফলতার সিঁড়ি আপনাকে একাই বেয়ে উঠতে হবে।
৪৭. এই দুনিয়া আপনাকে বিনামূল্যে কিছু শেখাবে না।
৪৮. নিজের শক্তিকে বিশ্বাস করাই জীবনের মূলমন্ত্র।
৪৯. কিন্তু... একবার শুধু নিজের পেছনের দিকে তাকান!
৫০. সেখানে ভিড় লেগেই আছে, চলছে গুঞ্জন আর ফিসফিস।
৫১. অসংখ্য লোক সেখানে দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনা করার জন্য।
৫২. আপনার সামান্য ভুলকেও তারা বিশাল করে দেখাবে।
৫৩. আপনার ব্যর্থতাকে তারা উৎসবের মতো পালন করবে।
৫৪. আপনার প্রতিটি পদক্ষেপের ভুল ব্যাখ্যা দেবে।
৫৫. এটিই সত্য, এটিই কঠিন, এটিই আজকের সমাজের চিত্র।
৫৬. যেখানে আলোচনার বিষয় হতে গেলে সফল হতে হয়।
৫৭. কিন্তু সমালোচনার লক্ষ্য হতে গেলেই আপনি যথেষ্ট।
৫৮. আপনার লড়াই একান্তই আপনার ব্যক্তিগত।
৫৯. আপনার ব্যথা কেউ অনুভব করবে না।
৬০. আপনার অশ্রু মোছার দায়িত্বও আপনার নিজের।
৬১. তাই বলি, আবেগের পিছুটান ছেড়ে দিন।
৬২. বিবেককে শাণিত করুন, জ্ঞানকে করুন হাতিয়ার।
৬৩. হুজুরের প্রথা, ডাক্তারের বাস্তবতা মনে রাখুন।
৬৪. গণকের অসহায়তা আর পীরের ঔদাসীন্য বুঝুন।
৬৫. এরা সবাই প্রকৃতির এক একটি কঠোর শিক্ষা।
৬৬. যা বলে দেয়, বাইরের সাহায্যের প্রত্যাশা মূল্যহীন।
৬৭. আপনার ভিতরের শক্তিই আপনার আসল অবলম্বন।
৬৮. সম্পর্কের শীতলতা মেনে নিন, এটাই নিয়ম।
৬৯. ভাই-বোন বা আত্মীয়—কেউই শেষ আশ্রয় নয়।
৭০. তারা এসেছে আপনার জীবনের পাঠ শেখাতে।
৭১. শেখাতে যে, আত্মনির্ভরশীলতা ছাড়া গতি নেই।
৭২. একা চলতে শিখুন, মাথা উঁচু করে বাঁচুন।
৭৩. সমালোচনা তাদের কাজ, তাদের করতে দিন।
৭৪. সেই সমালোচনা আপনাকে আরও শক্তিশালী করবে।
৭৫. প্রতিটি খারাপ কথা আপনার জেদকে বাড়াবে।
৭৬. পিছনের ভিড়কে পাত্তা না দিয়ে সামনে তাকান।
৭৭. মনে রাখবেন, যারা আপনাকে নিয়ে কথা বলছে,
৭৮. তারা নিজেরাই আপনার চেয়ে এক ধাপ পেছনে আছে।
৭৯. কারণ, তারা সমালোচনা করছে, আর আপনি কাজ।
৮০. তারা কথা বলছে, আর আপনি পথ তৈরি করছেন।
৮১. এই কথাগুলো শুনতে খারাপ হলেও সত্য, অত্যন্ত সত্য।
৮২. জীবনের এই কঠিন সত্যকে বরণ করে নিন।
৮৩. তবেই আপনার ভেতরের মানুষটা জেগে উঠবে।
৮৪. জেগে উঠবে সেই বিবেক, যা আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে।
৮৫. তাই, আর কোনো দ্বিধা নয়, কোনো হতাশা নয়।
৮৬. নিজের উপরে বিশ্বাস রাখুন, এটাই পুঁজি।
৮৭. অন্যের দিকে তাকিয়ে থেকে সময় নষ্ট করবেন না।
৮৮. কারণ, আপনার ভাগ্য আপনার হাতেই লেখা।
৮৯. পীর-ফকির, ডাক্তার-গণক—সবাই কেবল উদাহরণ।
৯০. আপনার জীবনে চলার দায়িত্ব কেবল আপনার।
৯১. আপনার স্বপ্ন, আপনার পথ—আপনার হাতে।
৯২. ভরসা ও পথপ্রদর্শক আপনি নিজেই।
৯৩. সমালোচনার ভিড়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলুন।
৯৪. সত্যকে মেনে নিয়ে, মাথা ঠান্ডা করে সিদ্ধান্ত নিন।
৯৫. আবেগ নয়, বিবেককে করুন আপনার সঙ্গী।
৯৬. কারণ, এটাই জীবন—শীতল, কঠিন এবং বাস্তব।
৯৭. যা শুনতে অপ্রিয়, সেটাই শেষ পর্যন্ত কল্যাণকর।
৯৮. এই অকাট্য সত্য আপনাকে একদিন মুক্তি দেবে।
৯৯. নিজেকে জানুন, নিজেকে তৈরি করুন।
১০০. বিবেক খাটান, জীবনের জয় আপনারই হবে।
Информация по комментариям в разработке