বন্ধ্যাত্ব। বাচ্চা না হওয়া।
Infertility. হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।
আজ একটি জটিল ধরনের দীর্ঘ ১২ বছরের বন্ধ্যাত্বের কেস এবং তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আমার এই পোস্টগুলো সাধারণ মানুষকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্বন্ধে অবহিত করার উদ্যেশ্যে।
একটি বন্ধ্যাত্ব দম্পতির কেস বিবরণী :-
দীর্ঘ ১২ বছরের বিবাহিত জীবন।
এই দম্পত্তির কোন সন্তান নেই।
আগে বহু চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছেন। পরে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী I.V.F ও করিয়েছেন, কিন্তু তাতেও সফলতা আসেনি। ডাক্তার মহাশয় আবারও IVF করাতে বলেন। কিন্তু সামর্থ্যও তো থাকতে হবে। তার উপর উনারা কোন নিশ্চয়তাও দেন না। শুধু চেষ্টা করে যাও, আর টাকা দিয়ে যাও। তাই স্বামী আর পেরে ওঠেননি। ছেড়ে দিয়েছিলেন। নাহ: আর কিছু করব না। স্বামীরা তো সারাদিন বাইরে বাইরেই থাকেন। তাদের মাথার মধ্যে এসব অতটা ঘোরে না। কিন্তু মহিলারা? তারা সারাদিন ঘরের মধ্যে থাকেন, তাই সবসময় এটাই চিন্তা করেন। কারও কোন বাচ্চা দেখলে, তাদের খেলাধুলা, তাদের বাবা মার সঙ্গে ঘোরা এসব দেখলেই মন খারাপ, মনে মনে কান্না পায়। এই মহিলার ক্ষেত্রেও তাই। প্রায় সময়ই একটা চিন্তা, তাহলে আর কি কোন আশা নেই। এদিকে স্বামীও বলে দিয়েছে, আর কিছু করবে না!
এই সময় আমাদের ক্লিনিকের একটা বন্ধ্যাত্বের সফলতার কেস ফেসবুকে দেখতে পায়, এবং স্বামীকে ঘটনাটি বলে। কিন্তু স্বামী ফেডআপ, আর চিকিৎসা করাতে রাজি নয়। তার মনে হয়েছে যেখানে এত বড় বড় ডাক্তার দেখানো হল, IVF পর্যন্ত ফেলিওর, সেখানে হোমিওপ্যাথিতে কি হবে। তাই না করে দেয়, কিন্তু তাঁর স্ত্রী ছাড়ে না, বলে আর একবার শেষবারের মতো চেষ্টা করে দেখা যাক। তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্ত্রীর বারে বারে বলার জন্য শেষবারের মত চিকিৎসাতে রাজি হয়।
তারপর আমার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে আমি স্বামী স্ত্রী উভয়কেই ক্লিনিকে আসতে বলি।
যথারীতি নির্দিষ্ট দিনে উভয়েই ক্লিনিকে এলে আমি দীর্ঘ সময় ধরে পূর্নাঙ্গ কেস টেকিং করে চিকিৎসা শুরু করি। স্বামীর সিমেন এনালাইসিসে কিছু সমষ্যা ছিল।
যাই হোক বিগত ৬ মাস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পর খুশীর খবর
মহিলার প্রেগ্ন্যাসি রিপোর্ট পজিটিভ।
এটাই হল প্রপার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ম্যাজিক। যেখানে অন্য প্যাথি ফেলিওর, সেখানে হোমিওপ্যাথি মিরাক্কেল ঘটিয়ে দেয়।
হাজার হাজার কেসের মত এই কেসটাও সেরকমই একটা উদাহরণ।
তাই সকলের উদ্দেশ্যেই বলব, হতাশ না হয়ে শেষবারের মত একবার ধৈর্য্য ধরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন।
হয়ত এই দম্পতির মত আপনাদেরও হতাশা মুছে যেতে পারে।
কেসের বিস্তারিত বিবরণ ভিডিওতে।
সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন।
আমার চিকিৎসায় যে সকল দম্পত্তি বন্ধ্যাত্বের সমষ্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে কিছু সফল কেসের বিবরণীয় লিনক আমি কমেন্ট বক্সে দিয়ে দেব, আপনারা চাইলে পোষ্টটি শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন। এবং পরবর্তীতে আমি যখন এ ধরনের কোনো লিনক কমেন্টে দেব, তখন কমেন্টের লিনকে ক্লিক করে আপনারা সেটা দেখতে পাবেন।
*বন্ধ্যাত্বের সম্বন্ধে কিছু আলোচনা:-
কোনো দম্পতি যদি কোনো ধরনের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া পূর্ণ এক বছর একসঙ্গে বসবাসের পরও সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন, তবে একে বন্ধ্যাত্ব (ইনফার্টিলিটি) সমস্যা বলা হয়ে থাকে।
বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি, অর্থাৎ যাঁদের কখনো সন্তান হয়নি ও সেকেন্ডারি, অর্থাৎ যাঁদের আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ দম্পতি সাধারণত চেষ্টার প্রথম বছরে গর্ভধারণে সমর্থ হন। ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরে গর্ভধারণ হয়। বাকি যে ১০ শতাংশ থাকে, তাঁদের মূলত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। অতএব বিয়ের পর সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক থেকে দুই বছর নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত।
বন্ধ্যাত্বের ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে নারী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের কোনো সমস্যা থাকে।
নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ
পিসিও বা পলিসিস্টিক ওভারি। এ সমস্যায় নারীদের প্রতি মাসে যে ডিম্বাণু ওভারি থেকে নিঃসৃত হওয়ার কথা, তা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
হরমোনজনিত কারণ। যেমন থাইরয়েডের সমস্যা, প্রোল্যাকটিন হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি।
বয়স, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশগত প্রভাব, ক্যানসারসহ নানা কারণে ডিম্বাণুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়া।
বিশেষ কিছু রোগ। যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস ও চকলেট সিস্ট থাকা।
কিছু যৌনবাহিত রোগের কারণেও মেয়েদের প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
কিছু জন্মগত ত্রুটি থাকলে। যেমন জরায়ু না থাকা, অপরিপক্ব থাকা, জন্মগতভাবে ডিম্বাণু না থাকা বা কম থাকা, ডিম্বাশয় ছোট থাকা ইত্যাদি।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ
বীর্যে সমস্যা। এজুস্পার্মিয়া বা শুক্রাণুর অনুপস্থিতি; যা দুই কারণে হতে পারে। যেমন উৎপাদনই হচ্ছে না, বা শুক্রাণু আসার পথে কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ওলিগোস্পার্মিয়া; যাতে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া।
অচল শুক্রাণু ও ত্রুটিযুক্ত শুক্রাণু অধিক থাকা। পুরুষের প্রধান হরমোন (যেমন টেস্টোস্টেরন) সঠিক মাত্রায় না থাকা।
ডায়াবেটিস। ধূমপান। ছোটবেলায় মাম্পস বা মিজেলসের প্রভাব।
প্রজনন অঙ্গে কোনো আঘাত বা অস্ত্রোপচার। যৌনবাহিত অসুখ বা যক্ষ্মা।
নারী ও পুরুষ উভয়েরই কিছু ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। যেমন খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। শর্করা কমিয়ে প্রোটিন ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খেতে হবে। ফাস্টফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে।
স্থূলতা সন্তান ধারণের অন্তরায়। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। রাতে আগে ঘুমানো, সকালে আগে ওঠার অভ্যাস করতে হবে।
বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় স্বামী ও স্ত্রী উভয়েরই পরীক্ষা–নিরীক্ষা প্রয়োজন। এ নিয়ে দ্বিধা থাকলে চলবে না।
Dr Rafikul islam
Homoeopathy Practitioner
Clinic :-
Galsi, Burdwan
East burdwan
For Online treatment
W.A no - 09732027370
প্রয়োজনে যে কোন দিন,
রাত্রি ৯ টায় ফোন করবেন।
9732027370
Информация по комментариям в разработке