Скачать или смотреть কলেরা হওয়ার কারণ, লক্ষন, পরামর্শ Cholera causes, symptoms, advice

কলেরা (Cholera)

ভিব্রিও কলেরি (Vibrio cholerae) নামক 'কমা' আকৃতির ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রদাহজনিত সংক্রামক ব্যাধি অধ্য এটি তীব্র বা হঠাৎ ডায়রিয়া ঘটিত সংক্রমণ। এ ব্যাকটেরিয়া শক্তিশালী ও বিষাক্ত উপাদান উৎপন্ন করে যা অগ্রীয় মন্ত্রিসন্তা উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে পানি, বাইকার্বোনেট ও ক্লোরাইড নিঃসৃত করে। এর ফলে বারবার ডায়রিয়া, এ পানিস্বল্পতা ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় এবং দেহে রক্ত ও ফুইডের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি চল পায়, যা হাইপোভোলেমিক (Hypovolemic) বা হেমোরেজিক শক (Hemorrhagic shock) নামে পরিচিত। এ চার মাঝে মধ্যে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে পিত্তথলীতেও বিস্তার ঘটে। এর পর উক্ত জীবাণু বাইল বা পিত্তরস এবং মলের সাহায্যে বের এ জীবাণু বহণকারীর দেহে সর্বোচ্চ প্রায় ৪ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে এবং উপযুক্ত পরিবেশে সংক্রমণসহ বিস্তার ঘটায়। দূষিত মল, বমি, মাছি, ইত্যাদি দ্বারা সংক্রমিত খাবার এবং সংক্রমিত হাত দ্বারা এ রোগ ছড়ায়।

কারণ (Cause)
১. দূষিত পানি গ্রহণ;
২. দূষিত পানি দ্বারা প্রস্তুতকৃত বরফ ও খাবার;
৩. ফুটপাতে বিক্রিত খোলা খাবার ও পানীয় গ্রহণ;
৪. কাঁচা ফলমূল ও শাকসবজি গ্রহণ;
৫. কাঁচা বা অসিদ্ধ সামুদ্রিক খাদ্য গ্রহণ
৬. নর্দমা বা পয়ঃনিষ্কাশনের দ্বারা দূষিত
৭. অস্বাস্থ্যকর মল নিষ্কাশন:
৮. দারিদ্র ও অজ্ঞতা।

(Symptom)
১. প্রাথমিকভাবে হঠাৎ প্রথমে চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা আরম্ভ হয়। পায়খানা সাথে কোন ব্যাথা থাকে না। কখনও মনের সাথে রক্তও দেখা যায়:
২. বমি আরম্ভ হয়, বমির সাথে ভুক্ত খাদ্যদ্রব্য থাকতে পারে;
৩. রোগী অবসন্ন হয়ে পড়ে
8. তীব্র পানি স্বল্পতা দেখা দেয় এবং মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভূত হবে:
৫. জিহ্বা এবং ঠোঁট শুকিয়ে উঠে, জিহ্বার উপর সাদা প্রলেপ দেখা যায়।
৬. পিপাসা বৃদ্ধি পায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিস্তেজ হয়ে আসে: .
৭. নাড়ির গতি খুবই দ্রুত ও দুর্বল হয়, অনেক সময় নাড়ি হাত দিয়ে অনুভব করা যায় না; ৮. বাচ্চাদের মাথার তালু ডেবে যাবে, চক্ষু অক্ষিকোটরে ঢুকে যাবে, শরীরের চামড়া ঢিলে হয়ে যাবে, শরীর নীলাভ বর্ণ ধারণ করবে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

জটিলতাসমূহ (Complications)
১. রক্তে সুগারের পরিমাণ হ্রাস পায়।
২. পটাসিয়ামের মাত্রা হ্রাস পায়;
৩. কিডনির অকার্যকারিতা দেখা দেয়।

পরামর্শ (Advice)
১. রোগীকে আরামদায়ক শয্যায় এমনভাবে রাখতে হবে যেন তার দেহ উষ্ণ থাকে;
২. রোগকালীন ঘন ঘন শরবত অথবা খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে;
৩. রোগীর মল মূত্র ত্যাগের ব্যবহৃত পাত্র সংক্রমণ নিরোধন ওষুধ দ্বারা জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার করে নিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
৪. রোগীর মল, বমি ইত্যাদি মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে, যাতে কোনভাবে সংক্রামিত না হয়।