Скачать или смотреть #কলমাকান্দা

গত রমজান থেকে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে চেষ্টা করি, ইরেগুলার নামাজ আদায় করার কারণে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো নিম্নে লেখা হলো। অনেকের মনেই এরকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করি। তবে বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ নামাজ আমায় প্রচুর টানে।
‎
‎আপনি যখন প্রথম প্রথম নামাজ ধরবেন তখন দেখবেন নামাজের জন্য ১০ মিনিট সময় বের করা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। মনের মাঝে নানা প্রশ্ন উদয় হবে। নানা কাজের অযুহাত আসবে। নানান বাহানায় আপনি নামাজ মিস করবেন। আপনার শরীর পাক থাকবে না, নয়তো ভাববেন কালকে থেকে পড়বো। এরকম হাজারখানিক প্রশ্ন আপনার মনে উদয় হবে।
‎
‎এরপরও যদি আপনি মন স্থির করেন যে, আপনি নামাজ পড়বেনই তখন আপনার মনে প্রশ্নের ধরনও পাল্টে যাবে;
‎তখন নামাজে দাড়িয়ে দুনিয়ার যত কথা, যত স্মৃতি, যত ইতিহাস সব মনে পড়তে থাকবে। নামাজে দাড়িয়ে আপনি সাত আসমান, সাত জমিনসহ সব ঘুরে ফেলবেন। এক মিনিটে আমিরিকাও ঘুরে আসবেন। ছোট থেকে আজ অবধি যত ঘটনা সব আপনার মনে ভাসতে থাকবে। এগুলো ছাড়াও নামাজে দাড়িয়ে মনে হবে আপনার অনেক কাজ বাকী, কখন যে নামাজ শেষ হবে। কখন কাজটি করবেন। ঈমাম সাহেব এতো লম্বা সূরা বলতেছে কেন? রুক্ক-সেজদায় এতো সময় নেয় কেন? একটু দ্রুত নামাজ পড়ালে ভালো হতো। তারপর ফরজ শেষ হলে সুন্নত না পরেই আপনি চলে যাবেন। আর মনে মনে ভাববেন ইস! কত সময় চলে গেলো। সব কিছুই রয়ে গেছে, কখন যে সব শেষ করব।
‎
‎অতঃপর, এরকম হাজারও সমস্যা যখন আপনাকে পিছু হটাতে পারবে না। আপনি এসব পাত্তাই দেবেন না। নামাজের সময় হয়েছে মানেই সব কাজ বাদ, সাত খু/ন মাফ। নামাজ সবার আগে। মনকে যখন এমন ভাবে স্থীর করবেন ঠিক তখনি আপনার নামাজের প্রতি ভালোলাগা/মহব্বত তৈরি হতে থাকবে।
‎
‎আর সে সময় আপনি যে কাজগুলো করবেন সেগুলো হলো;
‎নামাজের সময় হয়েছে মানে সোজা মসজিদে চলে যাবেন। যদি মসজিদে না যেতে পারেন তখন দেখবেন আপনার খারাপ লাগবে। প্রসাব করতে গেলে মনে হবে টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। সময় পেলেই মসজিদে যেতে মন চাইবে। চায়ের দোকানে আড্ডা না নিয়ে মনে হবে মসজিদে গিয়ে একটু বসি। মসজিদে বসলেই মনে শান্তি লাগবে। শরীর শীতল হয়ে যাবে। নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে মনে হবে আপনাকে কে যেনো পিছু থেকে ধাক্কা দিচ্ছে নামাজে যাওয়ার জন্য, নামাজ পড়ার জন্য। যদি ঘুমিয়ে থাকেন তখন আপনার অবচেতন মন নিজের অজান্তেই আপনাকে জাগিয়ে তুলবে। ফজর পড়ার জন্য শীত বা বৃষ্টির তোয়াক্কা না করেই চলে যাবেন মসজিদে। যদি কোনো ওয়াক্ত নামাজ না পড়তে পারেন বা কোনো ওয়াক্ত কা'যা হয়ে যায় তখন আপনি তার জন্য আফসোস করবেন। আপনি কান্নাও করতে পারেন।
‎
‎এগুলোর কোনো একটি যদি আপনার মনের ভেতর আসে তাহলে বুঝে নিবেন আপনি মু'মিন আছেন। হায়াতের দিন ফুড়ানোর আগেই আপনার মন যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে আপনি হেদায়াতের প্রথম প্রহরে প্রবেশ করলেন। যদি মনের ভেতর আল্লাহর ভয় আসে তাহলে আপনি কামিয়াবীর পথে হাটছেন। আর যদি মনের মাঝে এগুলো উদয় না হয় তাহলে আপনি আল্লাহর নৈকট্য লাভ থেকে যোজন-যোজন দূরে রয়েছেন।