Long Distance Relationship | Writer : Debarati Goswami | Voice : Paromita | পারোমিতার কবিতা

Описание к видео Long Distance Relationship | Writer : Debarati Goswami | Voice : Paromita | পারোমিতার কবিতা

#paromita
#Paromitapramanick
#LongDistanceRelationship
#ParomitarKobita

লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপের নাম শুনেই অবাক হয়ে মুখের দিকে তাকিয়েছিলেন অফিসের এক কলিগ। "শোন প্রথম প্রথম সবটাই ঠিকঠাক থাকবে। তারপর কোনদিন হুট করে দেখবি সব কেটে গিয়েছে। কতই তো দেখলাম ভাই, আউট অফ সাইট আউট অফ মাইন্ড! "
বিশাল বড় বিল্ডিংটার সেকেন্ডফ্লোরে আমার অফিস, দুপুর আর বিকেলের মাঝের ঠিক এই সময়টায় জানালার ধারে এসে দাঁড়াই প্রায় রোজ, কফির কাপটা হাতে নিয়ে। সামনেই একটা কলেজ।মেয়েটা কুর্তি পড়ে, ছেলেটা জিন্স। প্রতিদিন ওদের দেখি হাত ধরে এসে দাঁড়াতে সামনের বকুলগাছটার নীচে। রাগ হয় মাঝেমাঝে ভীষণ! এটা তো আমার সাথেও হতে পারতো? হাঁটা তো দূর, রিলেশিনশিপে থাকলেও দেখা হয় নমাসে ছয়মাসে একবার। সে থাকে বাংলার বাইরে কাজেরসূত্রে আর আমি "দাঁড়াও পথিকবর জন্ম যদি তব বঙ্গে, তিষ্ঠ ক্ষণকাল। "
প্রথম প্রথম সব রিলেশনটাগুলোই সিনেমার মত হয়, রোমান্টিকতা, আবেগ, স্বপ্ন। যত দিন এগোয় আর সাথে বয়সের পারদটা চড়ে বাস্তব আর দায়িত্ব ততবেশী করে কড়া নাড়ে। শেষ কবে টিনেজ বেলার মত শুধুই একে অন্যের দিকে তাকিয়ে, সিনেমার গল্পের মত কথা বলেছিলাম মনে নেই।সরাসরি তাকানোর সুযোগটাই আমাদের বড় কম, ঐ ভিডিও করে কখোনোসখোনো।আজকাল আদুরে গলায় "ঘুম আসছে না", "সকাল হয়ে গেছে ওঠো" এসব আর বলা হয়না। তার জায়গায় "আজ ফিরতে লেট হবে, মাঝে ফোন কোরোনা।", "ভাবছি একটা ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখবো", "জ্বরটা বাড়লে ডাক্তার দেখিও", এসবই চলে।
দেখনদারি কম, তবে চিন্তাটা বেড়েছে। এই তো সেইদিন অফিস থেকে আমার ফিরতি পথে ফোনটা গেল সুইচঅফ হয়ে। মেট্রোতে কি একটা সমস্যা, বাড়ি ফিরতে দেরী তো হলোই,সাথে জানাতেও পারিনি। বাবা আর মায়ের সাথে বহুদূরে এসি রুমে বসে একটা ছেলের ঘাম গড়িয়েছে চিবুক থেকে বুকে টেনশনে, চিৎকার শুনেই বুঝতে পেরেছি। ঠিক যেমন আমি আজকাল মায়ের মত হয়ে যাচ্ছি, রাতের বেলায় সেই দূরের রাজ্যে বসে থাকা একটা ছেলের সাথে তুমুল গন্ডগোলের পরেও ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে খেতে কষ্ট হয়, সে বোধহয় ম্যাগি খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। কতবার মনে হয়েছে "ধুর, আর নয়। এইবার শেষ হোক। " ভাবাই সার, ভাঙা হয়নি।
আজকাল ঝগড়া হলে সম্পর্ক ভাঙার কথা আর ভাবি না, জানি আর এ ভাঙবেনা।রোদজলঝড় বৃষ্টিতেও যে সম্পর্ক ভাঙেনি তা ভাঙার সাধ্যি আমাদেরও নেই।বন্ধুরা বলে "তুই এত নিশ্চিন্তে কি করে থাকিস বলতো? বিয়ে তো হয়নি। তোর ঐ বয়ফ্রেন্ড যদি অন্য মেয়ের সাথে ঘুরে বেড়ায়,জানতে পারবি? "
না তা পারবনা অবশ্য। তবে এই নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকি, কেন জানিনা সেই আগের মত আর ইনসিকিউরিটিতে ভুগিনা।কারণটা আমি নিজেও জানিনা, তবে এইটা জানি আমি যেমন বিশ্বাসঘাতকতা করিনি, সেও করবেনা।প্রেম তো বাচ্চারা করে, আমরা তো আনঅফিসিয়ালি সংসারী।ভ্যালেন্টাইনস ডে কবে সেই ছেলে তো ভুলেই যায়,জন্মদিনে বারোটায় উইশ কোনোক্রমে করেই ওপার থেকে আওয়াজ আসে নাক ডাকার। জানি নাক সিঁটকোবেন। how unromantic!আমাদের সম্পর্কটা মায়ের হাতের পায়েসের মত, রোজকার , ছিমছাম, আটপৌরে, গা সওয়া। শেষ যেদিন ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম সাথে একদঙ্গল বন্ধুর দল,রাগ করেনি সে, খারাপ লাগেনি আমারও। ভীড়ের মাঝেও লেপটে থাকা শিখে গিয়েছি এত বছরে। ওর চাইতে ভালো লাইফপার্টনার পেতাম তো! কিন্তু, বেটার খুঁজতে হবে এইটাই মনে হয়নি কোনোদিন।
আমি দেখেছি বহু পুরোনো মানুষটার হাত ছেড়ে দিতে, সেই আমিই দেখেছি কম পরিচয়ে আপন হয়ে যেতে। আমি দেখেছি দূরে থেকেও লয়ালটি বজায় রাখতে, আমি এও দেখেছি কাছে থেকেও বিশ্বাস ভাঙতে। আমি দেখেছি বিবাহিত হয়েও অন্যের সাথে, আমি এও দেখেছি প্রেমিকার সাথে কথা বন্ধ থাকলেও অন্যের দিকে না তাকাতে।
নতুন, পুরোনো, কাছে, দূরে বলে সম্পর্কে কিছু হয়না। দূরে থাকি তো, মনখারাপটা আজকাল বেড়েছে। একাকিত্ব গ্রাস করে মাঝেমধ্যে, খারাপ লাগে রাস্তা দিয়ে যাওয়া একছাতার তলায় দুইজনকে দেখে। তবে অন্য কারোর সাথে নিজেকে ভাবা তো দূরে মনেই আসেনা,মায়ের জায়গায় কোনোদিন অন্য কাউকে কল্পনা করেছেন? আজকাল আমার বন্ধুদের ঘাড়ে হাত দিয়ে ছবিটা ওকে পাঠাতে আটকায় না।ওর বান্ধবীরা আমার চাইতে ঢের ঢের রূপসী, সত্যি বলছি আমি ভয় পাইনা।
ও বলা হয়নি, সেই সামনের কলেজের ছেলেটা বকুল গাছের তলায় গতমাস থেকে আসে অন্য মেয়ের সাথে। ওর আগের প্রেমিকাটিকে দেখেছি চৌরঙ্গীর বাঁকে অন্যের বক্ষলগ্না হয়ে।
বাংলার কি মাস এখন? শ্রাবণ, না না বোধহয় ভাদ্র। ময়লা মেঘের ছায়া আমার সাদা সালোয়ারের গায়ে, আমার উনির আজ মস্ত সেমিনার। সাতদিন তেমন কথাই হয়নি!দেখা না হলেই যে সম্পর্কটেকে নি, তা দেখা হলেও হয়তো টিকতো না। ফোনের ওপার থেকেও খেয়াল রাখা যায়, হাত না দিয়ে কপালে হাত রাখা যায়। কাছে না থেকেও পাশে থাকা যায়। হোটেল, ফাঁকা বাড়ি ছাড়াও দূর থেকেও ভালবেসে ছোঁয়া যায়।
জল জমেছে রাস্তায়, ট্যাক্সি ইচ্ছে করেই নিলাম না আজ। ভিজি না হয় সেই মেঘের বৃষ্টিতে যে মেঘ হয়তো জমেছে বহুদূরের একটা সেমিনার রুমের উপরের আকাশে। ভালো আছি, কাছে এত মানুষ থাকলেও অতটা ভরসা পাইনা যতটা হাজার মাইল দূরেও একটা মানুষ থাকলে পাই। দেখা হবে আবার কোনোদিন,ভীড়ের সেলের বাজারে হাতের উপর হালকা ঠেকে হাত। পড়ে যাব, ইস্ আহা না করলেও নীরবে জানি চলে আসবে ওষুধ, যেখান থেকেই হোক। কিছু কিছু মানুষ মানুষ নয় পৃথিবী হয়।

#দেবারতি গোস্বামী
  / debarati.goswami.12  


Please follow me on below:
Facebook page:   / paromitarkobita  

Facebook profile:   / paromita.pramanick  

youtube channel:    / @paromitapramanick  

Instagram: https://www.instagram.com/paromitar_k...

for promotions and other information or business related enquiry
mail me at
[email protected]

Комментарии

Информация по комментариям в разработке