Скачать или смотреть চলেগেলেন আল্লামা বাবুনগরী/জুনায়েদ বাবুনগরীর ইন্তেকাল/Allama Junayed Babunagari/বাবুনগরীর শেষ মুহুর্ত

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম আনার পর ইন্তেকাল করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না রাজিউন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ইন্তেকাল করেন তিনি
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেইলাইহিন্সে করে তাকে চিকিৎসার জন্য হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছিলো বলে জানা গেছে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর খাদেম এইচএম জুনায়েদ ও তার নাতি বরকতুল্লাহ বাবুনগরী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এইচএম জুনায়েদ জানান, চট্টগ্রাম নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স হাটহাজারী মাদরাসায় নেয়া হয়।
জুনায়েদ বাবুনগরীর মরদেহ রাখা হয়েছে হাটহাজারী মাদরাসায়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আল্লামা বাবুনাগরী ছিলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, ইসলামি বক্তা ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব ও শায়খুল হাদিস, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লী, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টা সহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অনুসারীরা তাকে ‘মজলুম জননেতা’, ‘কায়েদে মিল্লাত’, ‘আপোষহীন সিপাহসালার’ ইত্যাদি উপাধিতে ডেকে থাকে। তিনি পাকিস্তানের বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ইউসুফ বিন্নুরীর শিষ্য। মুসলিম নেতা হিসেবে তিনি দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি ২০১৩ সালের হেফাজত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন।
ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি ৫ মেয়ে, ১ ছেলে রেখেগিয়েছেন।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন দ্বীনের এই মহান খাদেমকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুক আমীন।