গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে স্প্রিং সেমিস্টারে ভর্তি চলছে
ভর্তির লিংক:
e-Admission: https://applyonline.green.edu.bd/
একবিংশ শতাব্দীর চালেঞ্জ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন। নতুন সহস্রাব্দের সূচনালগ্নে বৈশ্বিক চাহিদার সঙ্গে অনেকেই নিজের অর্জিত জ্ঞানকে খাপ খাওয়াতে পারছে না। কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাচ্ছে না উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার পরও। আর এ কারণেই এখন উন্নত জাতির দর্পণ বলতে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সমৃদ্ধ ও উন্নত আগামী গড়তে বর্তমানে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা নয়, বরং এর মানোন্নয়ন এবং আধুনিকায়নও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এসব বিষয়কে সামনে রেখেই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
✅ অভিজ্ঞ, দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকমণ্ডলী
যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে অধ্যাপক ১৩জন, সহযোগী অধ্যাপক ১২জন, সহকারী অধ্যাপক ৪৪ জন এবং প্রায় ১৬০ জনের অধিক লেকচারারসহ বেশ কিছু খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট ৩৮জন পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষক রয়েছেন
মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের পর তাদের শিক্ষাদান দক্ষতা বাড়াতে আছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ। এই ধারা গ্রিন ইউনিভার্সিটি ছাড়া দেশের মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে। প্রশিক্ষণ জগতের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এর সাবেক অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান। এছাড়া সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, আইন অনুষদের ডিন হিসেবে অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব ও বিজনেস স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ কর্মরত আছেন।
টেক্সটাইলের ওপর দেশের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘বুটেক্স’-এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য (সাবেক) অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে গ্রিনের টেক্সটাইল বিভাগ। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের অভিজ্ঞ কিছু অধ্যাপকসহ উত্তর আমেরিকা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্জন করা অর্ধ-শতাধিক পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষক এখানে পাঠদান করছেন।
✅ ‘ক্যারিয়ার’ গড়তে সহায়তা
গ্রিনই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়- যারা প্রত্যক্ষভাবে তাদের গ্রাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণে সহায়তা করছে। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চশিক্ষা শেষে প্রতিবছর যত শিক্ষার্থী চাকরির প্রতিযোগিতায় নামছে, সে তুলনায় দেশে শূন্যপদের সংখ্যা অনেক কম। মূলত এ চিন্তা থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। ইউএস-বাংলা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সিজিপিএ (৩.৫০) ও ইংরেজিতে দক্ষ হলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসহ গ্রুপটির ১০টি প্রতিষ্ঠানে নিশ্চিতভিত্তিতে চাকরি পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাজুয়েটরা।
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে গ্রিনের আরও একটি বড় উদ্যোগ হলো- প্রফেশনাল লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট (পিএলএসডি) কোর্স। যার মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করা। পাশাপাশি ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ ক্লাসের মাধ্যমে গ্রাজুয়েটদের চাকরি পাওয়ার হতাশাও দূর হয় এই কোর্সের মাধ্যমে।
✅ নান্দনিক স্থায়ী ক্যাম্পাস
ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। যার শিক্ষা কার্যক্রম দু’বছর আগেই শুরু হয়েছে। চলছে ভর্তি কার্যক্রম, নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড। ক্যাম্পাসে রয়েছে ইনডোর এবং আউটডোরে খেলাধুলার সব আয়োজন। এজন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বিশাল খেলার মাঠ। ক্যাম্পাসটিতে যেতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রেখেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
✅ সমৃদ্ধ লাইব্রেরি
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও গবেষণাকর্মে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ লাইবেরি যাতে রয়েছে দেশি বিদেশি রেফারেন্স বই, ই-বুক, প্রোজেক্ট রিপোর্ট, ই-জার্নাল, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ম্যাগাজিন। রয়েছে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা যাতে করে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লাইব্রেরি ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে এবং নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারে।
✅ আছে ১৭টি ক্লাব
শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম বেগবান রাখতে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ১৭টি ক্লাব। এগুলো হলো ডিবেটিং ক্লাব, গ্রিন বিজনেস ক্লাব, মার্কেটিং ক্লাব, ইংরেজি ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, ল’ ক্লাব, সোশ্যাল বন্ডিং ক্লাব, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ক্লাব, টেক্সটাইল ক্লাব, কম্পিউটার ক্লাব, জেএমসি ক্লাব, গ্রিন ওয়ারিয়র ক্লাব, রিডিং সোসাইটি, ফটোগ্রাফি ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, থিয়েটার ক্লাব, ব্লাড ক্লাব।
✅ ১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপ সুবিধা
গ্রিন ইউনিভার্সিটি সব সময়ই গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সচেতন। এসব শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হলো- এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ ভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপ সুবিধা দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, মুক্তিযোদ্ধা ও অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য ১০০ ভাগ পর্যন্ত টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা। এছাড়া , ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ছাত্রী, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী কোটায় আংশিক এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের (ক্রিকেট) সম্পূর্ণ বিনা টিউশন ফিতে লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি।
Информация по комментариям в разработке