আসসালামু আলাইকুম
Nusrat Agro bd youtube canal Plasse subscribe -my channel like my video thanks my all.friends
লেয়ার মুরগি হলো ডিম উৎপাদনের জন্য বিশেষ ধরনের মুরগি। যাদেরকে একদিন বয়স থেকে পালন করা হয়, যারা ১৮ থেকে ১৯ সপ্তাহ বয়সে ডিম দিতে শুরু করে এবং উৎপাদনকাল ৭২ থেকে ৭৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ডিম উৎপাদনকালীন সময়ে এরা গড়ে প্রায় সোয়া দু’কেজি খাবার খেয়ে এক কেজি ডিম উৎপাদন করে।
হাইব্রিড লেয়ার ডিম উৎপাদনের উদ্দেশ্যে কাঙিখত বশিষ্ট্য বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ধরনের মোরগ-মুরগির মিলন ঘটিয়ে ক্রমাগত যাচায় -বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ গবেষণার পর সৃষ্ট অধিক ডিম পাড়া মুরগিকে হাইব্রিড লেয়ার বলে।
লেয়ার জাতের নাম ঃ
ডিমের প্রকৃতি বা রং অনুসারে লেয়ার মুরগি দুই ধরনের:
(ক) সাদা ডিম উৎপাদনকারী:
এরা তুলনামূলক ভাবে আকারে ছোট। তুলনামূলকভাবে কম খাদ্য খায়, ডিমের খোসার রং সাদা। যেমন: ইসা হোয়াইট, লোহম্যান হোয়াইট, নিকচিক, ব্যবকক-বিভি-৩০০, হাবার্ড হোয়াইট, হাই সেক্স হোয়াইট, শেভার হোয়াইট, হাইলাইন হোয়াইট, বোভান্স হোয়াইট।
(খ) বাদামী ডিম উৎপাদনকারী:
তুলনামূলকভাবে আকারে বড়, খাদ্য বেশি খায়, ডিমের আকার বড়, ডিমের খোসার রং বাদামী। যেমন: ইসা ব্রাউন, হাই সেক্স ব্রাউন, শেভার ৫৭৯, লোহম্যান ব্রাউন, হাই লাইন ব্রাউন, ব্যবকক-বিভি-৩৮০, গোল্ড লাইন, ব্যবলোনা টেট্রা, ব্যবালোনা হারকো, হাবার্ড ব্রাউন।
লেয়ার মুরগি নির্বাচনঃ
১. লেয়ারের জন্য সঠিকভাবে ভাল উৎপাদনশীল স্ট্রেইন নির্বাচন করতে হবে। কারণ সব মুরগি সমান ডিম দেয় না;
২. গুণগতমানের লেয়ার বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে;
৩. কাঙিখত বৈশিষ্ট্যের সুনাম রয়েছে এমন বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে;
৪. সুনাম রয়েছে এমন হ্যাচারী থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে।
বাচ্চা খামারে আসার পরের কাজ
জন্মের প্রথম সপ্তাহে পরিবহনজনিত কারণে বাচ্চা পানি শূন্যতায় ক্লান্ত হয়। তাই এদের জন্য ব্রুডার ঘরে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দ্রুত পানি পান করা শেখাতে হবে। পানির সাথে শতকরা ৫ ভাগ হারে গ্লকোজ মিশিয়ে দিলে সহজে এরা সেখান থেকে শক্তি পেতে পারে। একইসাথে যে কোন উন্নমানের মাল্টিভিটামিন ও ইলেক্ট্রোলাইট প্রস্তুতকারী কোম্পানীর নির্দেশ মতো পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। দূরের হ্যাচারী বা বিক্রয়কেন্দ্র থেকে বাচ্চা পরিবহন করে খামারে আনলে মাল্টিভিটামিন ও ইলেক্ট্রোলাইট ব্যবহার করা হলে পরিবহনজনিত ক্লান্তি ও পানি শূণ্যতা দূর করে বাচ্চাকে দ্রুত স্বাভাবিক করে তোলে।
টিকা প্রদান ও তার গুরুত্ব
টিকা প্রদান কর্মসূচি অনুসারে বিভিন্ন রোগের টিকা প্রদান করলে
১. শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি সৃষ্টি হয় এবং
২. সংক্রামক রোগ হতে মুরগিকে রক্ষা করা যায়। টিকাদান ফলপ্রসূ হলে রোগের প্রাদুর্ভাব খুব কম হবে এবং মৃত্যুর হার সহনীয় পর্যায় রাখা যাবে।
লেয়ার মুরগির টিকা
মারেক্স, রাণীক্ষেত, গামবোরো, ব্রংকাইটিস, বসন্ত, সালমোনেলা, করাইজা
ব্রয়লার মুরগির টিকা
মারেক্স, রাণীক্ষেত, গামবোরো
টিকা প্রদানের পূর্বে সতর্কতা
১. মুরগি ধরার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে;২. মুরগির যে কোন ধরনের ধকল মুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে;
৩. অসুস্থ মুরগিকে টিকা দেয়া যাবে না;
৪. টিকা প্রদান উপকরণ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে;
৫. আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেসময়ে টিকা প্রদান করতে হবে।
টিকা ব্যবহারের সাধারণ নিয়মাবলী
প্রতিষেধক টিকা সবসময়ই সুস্থ পাখিকে প্রয়োগ করতে হয়:
বাড়ন্ত লেয়ার বাচ্চা পালন পদ্ধতি
৪ থেকে ৫ সপ্তাহ বয়স থেকে ডিম পাড়া শুরু করা পূর্ব পর্যন্ত বাড়ন্ত বাচ্চা হিসেবে ব্যবস্থাপনা করতে হয়;
ব্রুডিংয়ের পর খামারে মজুদের জন্য ভাল গুণাগুন সম্পন্ন পুলেট করা হয় যাতে ভবিষ্যতে বেশি ডিম পাওয়া যায়; ভাল ডিম উৎপাদনের জন্য পুলেট পালন ও নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাণিজ্যিক লেয়ার থেকে ডিম উৎপাদন
শতকরা ৫ ভাগ ডিম: বাণিজ্যিক পুলেট সাধারণত: ২০ সপ্তাহ বয়সের মধ্যে শতকরা ৫টি ডিম পাড়ে।
শতকরা ১০ ভাগ ডিম: ২১ সপ্তাহ বয়সে শতকরা ১০টি ডিম পাড়ে।
সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম উৎপাদন: ২৬ সপ্তাহ থেকে ৩০ সপ্তাহের সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম পাড়ে। অবশ্য বয়সের বিষয়টি ষ্ট্রেইন ভেদে তারতম্য হতে পারে। সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম পাড়তে শুরু করার পর কিছুদিন স্হিতিশীল থাকে এবং পরবর্তী সময়ে ডিম উৎপাদনের হার খুবই আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
ডিমের স্থিতিশীল পর্যায়: ডিম উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে ডিমের আকার বড় হতে থাকে এবং ৪০ সপ্তাহ বয়সের পর মুরগির ওজন বৃদ্ধি স্হিতিশীল হয় এবং ৫০ সপ্তাহ বয়সের পর ডিমের ওজন স্হিতিশী
বাড়ন্ত মুরগি পালন পদ্ধতি ও এগুলোর সুবিধা-অসুবিধা
অল-ইন অল-আউট পদ্ধতি:
খামারে এক ব্যাচ বাচ্চা পালন করে ডিম উৎপাদন শুরু পর্যন্ত আর কোন বয়সের বাচ্চা পালন করা হয় না। প্রতি ব্যাচ বাচ্চা পালনের পর পরবর্তী ব্যাচ বাচ্চা পালনের পূর্বে হাতে অনেক সময় থাকে।
সুবিধাঃ
ঘর পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও সংস্কার করা যায়;
খামারে একই সাথে বিভিন্ন বয়সের বাচ্চা না থাকায় পরষ্পরের মধ্যে রোগ বিস্তারের সম্ভাবনা থাকে না।
অসুবিধা ঃ
ডিম উৎপাদনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায় না;
স্হান অপচয় হয়।
মালটিপল রিয়ারিং পদ্ধতি
খামারে একই সাথে বিভিন্ন শেডে বিভিন্ন বয়সের মুরগি পালন করা হয়। যেমন-
১) ব্রুডার শেডে বাচ্চা
২) গ্রোয়ার শেডে বাড়ন্ত বাচ্চা ও পুলেট
৩) লেয়ার শেডে ডিম পাড়া মুরগি
সুবিধা
খামার সম্প্রসারণ ও ডিম উৎপাদনের ধারাবহিকতা বজায় থাকে:
বিভিন্ন বয়সের মুরগি পালন করা যায়।
অসুবিধাঃ
বিভিন্ন বয়সের মুরগি থাকায় রোগ বিস্তারের সম্ভাবনা বেশি থাকে;
প্রতি ব্যাচ মুরগি পালন শেষে শেড সম্পূর্ণরুপে জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব হয়,
#agriculture #farming #লেয়ার_মুরগি
Информация по комментариям в разработке