Скачать или смотреть ওয়ার্লপুল এয়ারো কার বা স্প্যানিশ এয়ারো কার নামক ক্যাবল কার # ০৫

প্রাণবন্ত নায়াগ্রা নদীর পানির উপর দিয়ে অবিস্মরণীয় যাত্রার জন্য ঐতিহাসিক ক্যাবল কারে চড়ে (যার নাম দেওয়া হয়েছে ওয়ার্লপুল এয়ারো কার বা স্প্যানিশ এয়ারো কার) ৩,৫০০ ফুট উপরে দিয়ে নায়াগ্রা নদীর গিরিখাত পার হবার সময় অপূর্ব দৃশ্যের চাক্ষুষ সাক্ষী হওয়া সম্ভব। এটি কানাডিয়ান সীমানার দুই তীরে দুটি পয়েন্টের মধ্যে ভ্রমণ করলেও পুরো ট্রিপে চারবার কানাডিয়ান এবং আমেরিকান সীমান্ত অতিক্রম করে। গাড়িটি শুরুর স্থান থেকে ৫০০ ফুট বা ১৫০ মিটারের বেশি অতিক্রম করে এবং প্রায় ২০০ ফুট বা ৬১ মিটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঞ্চল দিয়ে চলে কিন্তু আরোহীদের কোন ভিসা এবং পাসপোর্ট বা আভিবাসন ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয় নয়া।

হর্সশু জলপ্রপাতের উপর দিয়ে ছুটে চলা পানির বিশাল আয়তন সরু নায়াগ্রা সগর্বে গর্জে উঠে ঘূর্ণি র‌্যাপিডস তৈরি করে। নায়াগ্রা ঘূর্ণিটি র‍্যাপিডের শেষেভাগে গঠিত হয় যেখানে নদীটি হঠাৎ ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে মোড় নিয়েছে। নদীর আকস্মিক এই দিক পরিবর্তন বিশ্বের সবচেয়ে মুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলোর অন্যতম। নায়াগ্রা ওয়ার্লপুল এবং এর ঘূর্ণায়মান পানি ১৮০০ এর দশকের শেষের দিকে একটি জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ ছিল। এই সময়ে, জনৈক স্যামুয়েল কোল্ট ২৫০ ডলারে সাত একর জমি ক্রয় করেন এবং নায়াগ্রা গিরিখাতের শীর্ষ থেকে নীচের ঘূর্ণি র‌্যাপিডের তীরে দর্শকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ঝোঁক রেলপথ নির্মাণ করেন।

এরপর ১৯১৩ সালে নায়াগ্রা পার্ক অথরিটির সাথে স্প্যানিশ ব্যবসায়ীদের একটি দল যোগাযোগ করে একটি নতুন কেবল কার তৈরি করতে আগ্রহ দেখায় যা দর্শকদের নায়াগ্রা ঘূর্ণির উপর দিয়ে নিয়ে যাবে এবং নীচের প্রাকৃতিক বিশ্বয়টি আরও ভালভাবে অবলোকন করার তথা সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে। বিখ্যাত স্প্যানিশ প্রকৌশলী, লিওনার্দো টরেস কুয়েভেডো হুর্লপুল অ্যারো কারটি ডিজাইন করেন এবং ১৯১৫ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে দ্রুততার কারনে ১৯১৬ সালেই চালু করা সম্ভব হয়। নির্মাণ কাজের যন্ত্রপাতি রাখার জন্য নদীর উভয় তীরে উল্লেখযোগ্য খননের প্রয়োজন দেখাদিলে বিশেষ একটি নকশার মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে নদীর দৃশ্যে হস্তক্ষেপ এড়ানো সম্ভব হয়েছিল। এছাড়া ক্যাবল কারটি অন্যদেশ থেকে তৈরি করে উক্ত স্থানে পাঠানো হয়েছিল।