Скачать или смотреть নবীজির রওজা সালাম পৌঁছানোর আইডিয়া মিজানুর রহমান আজহারী

নবী করীম (সা.)-এর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয় নবীকে স্মরণ করি এবং তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি। আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, অর্থাৎ "বিশ্ব নবীর রোজায় দোয়া পৌঁছানোর কৌশল", তার সরাসরি কোনো হাদিস বা ইসলামিক বিধান নেই। কারণ, দোয়া আল্লাহর কাছে করা হয় এবং তিনিই তা কবুল করেন। নবীজির কাছে সরাসরি দোয়া পৌঁছানোর এমন কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই, যা রোজার সাথে সম্পর্কিত।
​তবে, এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো:
​দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়: রোজাদার ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ১. রোজাদার যখন ইফতার করে; ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া; এবং ৩. মজলুমের দোয়া।" (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)। এই হাদিসের আলোকে, আপনি রোজার সময় ইফতারের আগে আল্লাহর কাছে আপনার সব দোয়া পেশ করতে পারেন, যার মধ্যে প্রিয় নবীজির জন্য দরূদ পাঠের কথাও থাকতে পারে।
​নবীজির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ: রোজার সময় আমরা যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পানাহার ত্যাগ করি, তেমনি এই সময়ে আমরা নবীজির প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য বেশি বেশি দরূদ পাঠ করতে পারি। এটি ইবাদতের একটি অংশ।
​দরূদ পাঠের ফজিলত: আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীজির ওপর দরূদ পাঠ করেন। তাই মুমিনদেরও দরূদ পাঠ করা উচিত। আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর উপর দরূদ পাঠ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর উপর দরূদ পাঠ কর এবং তাঁকে সালাম জানাও।" (সূরা আহযাব: ৫৬)। এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, দরূদ পাঠ করা আমাদের জন্য আবশ্যক।
​কীভাবে দোয়া করবেন: রোজার সময় আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করতে পারেন যে, তিনি যেন আপনার দরূদ ও সালাম প্রিয় নবীজি (সা.)-এর কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। এটি মূলত আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা।
​অতএব, রোজার সঙ্গে যুক্ত করে নবীজির কাছে দোয়া পৌঁছানোর কোনো বিশেষ কৌশল নেই। বরং, রোজার বরকতময় সময়ে আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন, বেশি বেশি দরূদ পাঠ করুন এবং ইফতারের আগে বিশেষভাবে নিজের ও নবীজি (সা.)-এর জন্য দোয়া করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই আমল করার তৌফিক দান করুন, আমিন।