Скачать или смотреть Abu Saeed - আবু সাঈদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল, যা বিশেষত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আন্দোলনটি সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে ব্যাপকভাবে শুরু হয়।"আবু সাঈদ" নামে বাংলাদেশের ইতিহাস, সাহিত্য, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আছেন। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন আবু সাঈদ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে দয়া করে তার পেশা বা ক্ষেত্র উল্লেখ করে বলবেন। তবে, নিচে কয়েকজন উল্লেখযোগ্য আবু সাঈদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:

১. **আবু সাঈদ (ব্র্যাক)**:
আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন।

২. **আবু সাঈদ চৌধুরী (রাষ্ট্রপতি)**:
আবু সাঈদ চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং কূটনীতিক ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৩. **আবু সাঈদ (চলচ্চিত্র পরিচালক)**:
আবু সাঈদ একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক। তার নির্দেশনায় নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো বেশ প্রশংসিত হয়েছে এবং তিনি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে "নিরন্তর," "বাঁশি," এবং "বিপ্রতীপ" উল্লেখযোগ্য।

৪. **আবু সাঈদ আয়ুব**:
আবু সাঈদ আয়ুব একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, এবং দার্শনিক ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অত্যন্ত মূল্যবান। তিনি বিভিন্ন দার্শনিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন এবং তার রচনায় একটি স্বতন্ত্র দার্শনিক চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে।

আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিত্বের সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে দয়া করে তার নাম বা ক্ষেত্রের বিষয়ে আরও নির্দিষ্ট করে বলবেন।

*আবু বকর সিদ্দিক আবু সাইদ* ছিলেন সেই আন্দোলনের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় তিনি গুরুতর আহত হন। ঢাকায় পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় আহত হওয়ার পর, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আবু সাইদের মৃত্যু কোটা সংস্কার আন্দোলনকে আরও প্রজ্বলিত করে এবং দেশব্যাপী এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

আবু সাইদের মৃত্যু দেশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং তার এই আত্মত্যাগ আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে। পরবর্তীতে, বাংলাদেশের সরকার কোটা পদ্ধতি সংস্কারের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।