Скачать или смотреть অদ্ভুত সিএনজি গাড়ির ভিতর বাড়ি ছাদে সবুজ বিশাল মন কারার মত বাগান

আজ আমার বন্ধুর মেয়ের আকিকার দাওয়াত খেতে গিয়ে রামপুরা টিভি সেন্টারের উল্টা দিকে আমার চোখে পড়লো অদ্ভুত সিএনজি দেখি লোক জনে পকেট থেকে মোবাইল বের করে ছবি তুলছে সেলফি তুলছে
আমিও আর দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না সিএনজির ভিডিও করতে শুরু করলাম।

সিএনজিতে উঠলে মনে হবে আমি ভূল করে কোন ড্রেসিং রুমে ঢুকে পড়িনিতো মুহূর্তের মধ্যেই মনে হবে না এটা হয়তো কোন ড্রয়িং রুম।
কিন্তু এতেও মনের খুঁতখঁত থামবে না। উপরের দিকে তাকালে মনে হবে কোন বাড়ির ছাদের বাগানে উঠে পড়েছি। ভালভাবে এদিক ওদিক তাকালে আপনার মন স্থতির করতে পারবেনা যে আমি কোথায় আছি।এর আগে যে সব বৃক্ষবেষ্টিত সিএনজির
কথা শুনেছি বা দেখেছি, সেগুলোর বেশির ভাগই জোর দেওয়া হয়েছে গাছ গাছালির উপর।কিন্তু এটা পুরোই আলাদা।কি নেই এই সিএনজিতে। ছাদের উপরে নজরকারা
বাহারি ফুলের গাছ, ভিতরে দামি কাপড়ে মোড়ানো সিট,পেছনে হেলানো কুশন, সেই সঙ্গে দুই পাশে আকর্ষণীয় পর্দা ঝুলানো। আরও আছে আয়না, চিরুনি,পানির ফিল্টার, অগ্নির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার ও মোবইল চার্জের ব্যবস্থা। সামনে তাকাতেই দেখা গেল ছোট একটি টেলিভিশন, ডিজিটাল ঘড়ি,সোলার ফ্যান এবং বৃষ্টির মধ্যে যাত্রীদের সুবিধার্থে
ছাতার ব্যবস্থাও আছে। এতেই ক্ষ্যান্ত হননি গাড়ির চালক।জরুরি মুহূর্তে কারও নাম ঠিকানা লিখে রাখতে কলম,প্যাড ওস্ট্যাপলারও দেখা গেল বক্সে।টিস্যু বক্স, ম্যাচলাইট এবং নেইল কাটার।এছাড়া গাড়িচালক যেখানে বসেনছেন তার পাশেই একটি পাতাবাহাড়ের টব এবং কিছু শো-পিস আছে। এতেই শেষ না
এতক্ষন ধরে যে সিএনজির বর্ণনা দেওয়া হলো তার চালকের কাছে জানতে চাইলাম, এতকিছুর রক্ষণাবেক্ষন করেন কি ভাবে? উত্তরে তিনি বলেন,অনেকটা সৌখিনতার বশে এসব করে যাচ্ছি।লাভ ক্ষতির হিসাব করিনা।মুখের কথা শেষ না হতেই প্রশ্ন করলাম, বেশ কিছুদিন আগে টেলিভিশনে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে যে সিএনজিকে দেখানো হয়েছিল এটাই কি সেইটা? কিছুক্ষন চুপ থেকেই আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, না ওই সিএনজিতে যা যা ছিল তার তিন গুন বেশি জিনিসপত্র আছে আমার গাড়িতে।
হয়তো আমারই দুর্ভাগ্য,সেই ম্যাগাজিনে আমি যেতে পারিনি।

আমার ভিডিওটি যদি আপনাদের ভলোলাগে তাহলে ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।