Скачать или смотреть দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ — এই দুই গোষ্ঠীর সম্পর্ক, ইতিহাস 🇿🇦

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রসঙ্গে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ — এই দুই গোষ্ঠীর সম্পর্ক, ইতিহাস ও সামাজিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল।

১. ঐতিহাসিক পটভূমি:

শ্বেতাঙ্গদের আগমন:

১৭শ শতকে ডাচ উপনিবেশবাদীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় আসে এবং সেখানে বসতি স্থাপন করে। পরবর্তীতে ব্রিটিশরাও আসে।

এদের থেকেই মূলত "আফ্রিকানার" (Dutch descent) ও ইউরোপীয় দক্ষিণ আফ্রিকান সম্প্রদায়ের উৎপত্তি।


কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী:

মূলত বিভিন্ন স্থানীয় জাতিগোষ্ঠী, যেমন: জুলু, খোসা, সোথো, ইত্যাদি।

এরা প্রাচীনকাল থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে আসছে।



২. আপারথেইড (Apartheid) শাসন (1948–1994):

এটি ছিল একটি সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত জাতিগত বৈষম্যনীতি, যেখানে শ্বেতাঙ্গরা সমস্ত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল।

কৃষ্ণাঙ্গ, রঙিন ও এশীয় জনগণকে আলাদা এলাকায় থাকতে বাধ্য করা হতো, ভোটাধিকার দেওয়া হতো না, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা ছিল অসম।

নেলসন ম্যান্ডেলা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন চালান এবং ১৯৯৪ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি হন।



৩. বর্তমান অবস্থা:

দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্তমানে গণতন্ত্র ও সমানাধিকার চালু আছে।

তবে বহু বছরের বৈষম্যের কারণে এখনও অর্থনৈতিক ও সামাজিক অসাম্য রয়ে গেছে।

অনেক কৃষ্ণাঙ্গ পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে আছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গরা এখনও তুলনামূলকভাবে ধনী ও প্রভাবশালী অনেক ক্ষেত্রে।



৪. জনসংখ্যা ও গোষ্ঠীভিত্তিক বণ্টন (আনুমানিক):

কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান: প্রায় ৮০%

শ্বেতাঙ্গ: প্রায় ৮-৯%

রঙিন (mixed race): প্রায় ৯%

এশীয়/ভারতীয় বংশোদ্ভূত: প্রায় ২-৩%