একজন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট এবং কুলাউড়া জনগোষ্ঠীর আগামীর কাণ্ডারি

Описание к видео একজন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট এবং কুলাউড়া জনগোষ্ঠীর আগামীর কাণ্ডারি

স্রষ্টার অপরূপ সৃষ্টি, আমাদের মানব জাতি। এই মানবজাতির হাজারো কীর্তিতে রঙিন হয়েছে আজকের পৃথিবী। আর এই গোলাকার পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র আমাদের প্রানের বাংলাদেশ (Bangladesh)। এই দেশে জন্মেছেন হাজারো কিংবদন্তিরা। তাদের মধ্যে কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবার কেউ ক্রীড়াবিদ অথবা অনেকে জড়িয়ে আছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশায় যারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে।

আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ হচ্ছে সিলেট (Sylhet)। এই সিলেটের সুনাম ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বব্যাপী। ইতিহাস, নিদর্শন ও কৃতিত্বের জন্য সিলেট বিভাগের সকল জেলা গুলোই এ দেশে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। সিলেট জন্ম দিয়েছে হাজারো কীর্তিমানদের। তেমনি এক কৃতি ব্যক্তিত্ব জন্ম নিয়েছিলেন সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ২ (Moulvibazar 2) আসনে কুলাউড়া (Kulaura) উপজেলায় রাউতগাঁও ইউনিয়নে। তিনি একাধারে একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষানুরাগী। আমরা এতক্ষণ কথা বলছিলাম কুলাউড়া তথা বৃহত্তর সিলেটবাসীর অত্যন্ত প্রিয় মুখ ও গণমানুষের নেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (Shafiul Alam Chowdhury Nadel) কে নিয়ে।

তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অত্যন্ত ডানপিটে স্বভাবের, কিন্তু মানুষের দুঃখ বোঝার ক্ষমতা ছিল অসীম। জনাব শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সাহেবের পিতা মরহুম শামসুল আলম চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ঠ সমাজসেবী এবং আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের অগ্রজ সৈনিক। সেই সাথে তিনি কুলাউড়া তথা উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বিশকুটি সাহেব কিবলার সুযোগ্য দৌহিত্র। তার দাদা ছিলেন কুলাউড়ার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম সিরাজ আলম চৌধুরী।

পূর্বপুরুষদের দেখানো পথেই তিনি মানবসেবায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কেমুসাস বা কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (Kendriya Muslim Sahitya Sangsad), বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতি (Sylhet Diabetic Association), জালালাবাদ অন্ধ কল্যান সমিতির (Jalalabad Blind Welfare Association) মতো অসংখ্য দাতব্য সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সংস্কৃতিমনা এই তরুণ নেতা সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমী এর আজীবন সদস্য, দৈনিক উত্তর-পূর্ব পত্রিকার সম্পাদক (Daily Uttorpurbo), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক (Bangladesh Cricket Board) এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মহিলা উইংস এর চেয়ারম্যান। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি সিলেট শহর স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন । আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি এবং তাঁর সহপাঠীগণের যৌথ প্রচেষ্টা়য় প্রকাশিত হয় লিটল ম্যাগাজিন "পাঁজর " যা হয়ে উঠে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখপাত্র । এর পর থেকে প্রতিবছরে একুশে ফেব্রয়ারির প্রথম প্রহরে এবং ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে - "বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই" শিরোনামে পাঁজর প্রকাশিত হতো।

স্কুল থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করে কালের পরিক্রমায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের (Chhatra League) সাধারণ সম্পাদক, পরে সভাপতি এবং মহানগর আওয়ামীলিগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (Bangladesh Awami League) সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দ্বিতীয়বারের মত মনোনীত হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে তৃণমূল থেকে একজন সফল রাজনীতিবিদ এবং সংগঠক হিসাবে দেশের বিভিন্ন মহলের প্রসংশা কুড়িয়ে যাচ্ছেন।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর পদযাত্রা শুরু হয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘর এর মাধ্যমে। নব্বই দশকের শুরুতে তিনি এবং তাঁর বন্ধু বান্ধবগণের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সিলেটে গতিশীলতা লাভ করে। তাদের যৌথ উদ্যেগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু (Bangabandhu) কে নিয়ে প্রথম গানের ক্যাসেট "হৃদয়ে আমার মুজিব" মুক্তি পায় যা উদ্বোধন করেন আজকের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সিলেট অঞ্চলে হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের (Muktijuddho) দুর্লভ ছবি উদ্ধার এবং প্রদর্শনের জন্য তিনি ও তাঁর সহযুদ্ধাগণ গড়ে তুলেন " স্মৃতি ৭১ " ।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল যে একজন পরিশ্রমী ও উদ্যমী ব্যক্তি তার জলন্ত প্রমাণ সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম (Sylhet International Cricket Stadium)। বছরের পর বছর অবহেলায় ফেলে রাখা এই স্টেডিয়ামটি এখন গোটা বাংলাদেশের গর্ব এবং পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যে একটি।

করোনা মহামারীতে (corona pandemic) গোটা পৃথিবী যখন আতঙ্কিত, তখন তিনি তার জন্মস্থান কুলাউড়া বাসীর কথা চিন্তা করে জীবন বাজি রেখে কড়া নেড়েছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। এছাড়াও তিনি কোভিড ১৯ এর প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালসহ বিভিন্ন মহলে প্রায় অর্ধলক্ষাধীক চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করেন। সেই সাথে তিনি কোভিডে (Covid) আক্রান্ত মানুষের সহায়তায় জন্য চালু করেন বাংলাদেশের প্রথম টেলিমেডিসিন সেবাদানকারী ওয়েব সাইট Corona Supports Center। এই মহামারীর সময়ে পুরো সিলেট বিভাগ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আব্দুল জলিল ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অক্সিজেন সেবা নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এছাড়াও ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাক্তিগত উদ্যেগে বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে দুই হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং তিন হাজার মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও উনি নিজের সামর্থের প্রমাণ করেছেন। তুর্কি তে ২০২৩ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্প (Turkey earthquakes) দুর্গত এলাকায় ক্যাপ ফাউন্ডেশন (Cap Foundations) এর হয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ সহ জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেন।

আমরা চাই এই গুণী মানুষের সঠিক স্থান, আমাদের প্রতিটি অপূর্ণতায় তিনি ছাপ রেখে যাবেন তার আদর্শের। উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নি:শেষে প্রান যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке