প্রচণ্ড গরমে আল্লাহর নৈকট্য পাবেন যেভাবে ||
আসসালামু আলাইকুম। ইসলাম শিক্ষা`` ইসলামি চ্যানেলে আপনাকে 🌹অভিনন্দন🌹
আমরা চেষ্টা করছি ইসলামের পত্যেকটা বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। আমরা এই চ্যানেলের মাধ্যমে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত এবং ইসলামি সকল নিয়ম কানুন সহী শুদ্ধভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে ফরজ, সুন্নত, নফল সহ সমস্ত আমল যা মুসলমানদের উপর আরোপ করা হয়েছে সেইগুলো আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করব ইইনশাআল্লাহ।
এবং যদি ভবিষ্যৎ এ এই চ্যানেলের মাধ্যমে কোন অর্থ উপার্জন করা যায় তাহলে এর একটি অংশ এতিম ও অসহায়দের জন্য ব্যায় করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং আপনার একটি সাব্সক্রাইব, লাইক, কমেন্ট, এবং শেয়ার এতিম ও অসহায়দের সহায়তার একটি মাধ্যম হতে পারে। আশা করি আপনি আমাদের সাথেই থাকবন।
সবশেষে আপনার শারীরিক সুস্ততা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আল্লাহ আফেজ।
প্রচণ্ড গরমে আল্লাহর নৈকট্য পাবেন যেভাবে। মুমিনদের জন্য প্রচন্ড গরম এবং তীব্র শীতেও রয়েছে সওয়াব অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ। কী সেই সওয়াব অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ? কোনো কোনো ক্ষেত্রে গরমকে আল্লাহর ক্রোধ বলা হয়েছে,
আর ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া শিখিয়ে গেছেন, তেমনি একটি দোয়া হলো-
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে। গরমে দেরিতে জোহর নামাজ পড়া সুন্নত
শীত ও গ্রীষ্মের ব্যাপারে হাদিসের ব্যাখ্যা হলো, শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিশ্বাস থেকে। আরবের মরু এলাকায় উত্তপ্ত বালু ও মরুঝড়ের কারণে সেখানে ভীষণ গরম দেখা দিত।
তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের নামাজ কিছুটা বিলম্বে আদায় করতেন। এ জন্য গরম বেশি পড়লে জোহরের নামাজ দেরিতে পড়া সুন্নত। হজরত আবু জার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। একসময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবিজি সাল্লাল্লাগু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, গরম কমতে দাও।
কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুনরায় বলেন, গরম কমতে দাও। এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। এরপর নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় করো। গরমে অল্প আমলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। একজন মুমিন সে আমল করে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। অল্প আমলে বেশি সওয়াব পাওয়ার বেশ কিছু আমল রয়েছে। তাহলো-
নফল রোজা: গরমের রোজা শীতের থেকে বেশি কষ্টকর। সে কষ্ট উপেক্ষা করে যদি নফল রোজা রাখা যায়, তাহলে আল্লাহ তাআলা বেশি নেকি দেবেন। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন বেশি সওয়াবের আশায় গরমকালে রোজা রাখতেন।
পিপাসার্তকে পানি পান করানো: পিপাসার্তকে পানি পান করানো একটি উত্তম কাজ। আর যদি প্রচন্ড গরমে কাউকে ঠাণ্ডা পানি পান করানো হয়, তাহলে তো কাজটি আরো উত্তম হবে। এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করলেন,
কোন দান উত্তম? তিনি বললেন, ‘পানি পান করানো
ইমাম কুরতুবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ সর্বোত্তম মহৎ কাজের একটি।’
হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সদকা বা দান জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সাদকা।
নফল নামাজ: অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিঃশ্বাস, তাই জাহান্নামের ভয়ে বেশি করে এবং লম্বা লম্বা সুরা দিয়ে নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। হাদিসে পাকে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় করো। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিশ্বাস।
গরম থেকে শিক্ষা: গরমের তীব্রতা থেকে মুমিনের জন্য রয়েছে শিক্ষা। কেননা জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ পৃথিবীর আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি। তাই এ গরম থেকে জাহান্নমের তীব্রতা অনুমান করে গুনাহ থেকে মুক্ত থাকা। হাদিসে পাকে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জাহান্নাম তার প্রতিপালকের কাছে এ বলে নালিশ করেছিল, হে আমার প্রতিপালক! (দহনের প্রচণ্ডতায়) আমার এক অংশ আরেক অংশকে গ্রাস করে ফেলছে।
ফলে আল্লাহ তাকে দুইটি শ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি শীতকালে অপরটি গ্রীষ্মকালে। আর তাই তোমরা গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড উত্তাপ এবং শীতকালে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভব করো। আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার আরও মাধ্যম হচ্ছে, গরিব-দুঃখীর মাঝে সুমিষ্ট ফল বিতরণ করা।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা। ঘামে ভেজা শরীরে জনসমাগমে গমন না করা। গরমের সময় প্রবাহিত ঘামের গন্ধ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা। গ্রীষ্মকালকে গালমন্দ না করা বিষয়টিও খেয়াল রাখার নির্দেশ দেয় ইসলাম।
#ইসলামশিক্ষাপ্রতিদিন #ইসলাম #শিক্ষা
Информация по комментариям в разработке