জয় মা ভবতারিনী মা 🙏🙏🙏🔱🔱🔱

Описание к видео জয় মা ভবতারিনী মা 🙏🙏🙏🔱🔱🔱

কথিত আছে, ১৮৪৭ সালে রানী রাসমণি অন্নপূর্ণা পূজোর জন্যে কাশীতে তীর্থযাত্রার আয়োজন কালে দেবী মা কালীর স্বপ্নাদেশ পান। এরপর ১৮৪৭ সালে গঙ্গার তীরে সমস্ত জমি বিক্রি করে রাণীমা মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন এবং ১৮৫৫ সালে হুগলি নদীর তীরে এই দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন।

যদিও এই কাজে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায় রানীকে সাহায্য করেছিলেন। কারণ তিনি ছিলেন এই পুরোহিতের প্রথম এবং প্রধান পুরোহিত। পরবর্তীতে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এই মন্দিরে কালী সাধনা শুরু করেন। মন্দির স্থাপনের জন্য জন হেস্টি নামের একজন ইংরেজদের কাছ থেকে প্রায় ২০ একর জমি কেনা হয় যা বর্তমানে সাহেবান বাগিচা নামে পরিচিত। ১৮৫৫ সালে ৩১শে মে স্নানযাত্রা দিন মন্দিরের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

স্থাপত্যশৈলী ও গঠনরীতি-দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে প্রায় আট বছরে ৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। পূর্ব দিকের মন্দিরে অবস্থিত বিগ্রহটি মাতা ভবতারিণী কালীকা নামে পরিচিত। বঙ্গীয় স্থাপত্য-শৈলীর নবরত্ন স্থাপত্য ধারা অনুযায়ী তিন তলা দক্ষিণমুখী এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়, যার উপরের দুটি তলে নয়টি চূড়া দেখতে পাওয়া যায়। উত্তোলিত দালানের ওপর মন্দিরের গর্ভগৃহেটি স্থাপিত হয়েছে।

মন্দিরে দালানটির উচ্চতা ১০০ ফুট এবং ৪৬ বর্গফুট প্রসারিত। মন্দিরের গর্ভগৃহে রুপোর সহস্রদল পদ্মের উপরে মা ভবতারিণী শিবের বক্ষের উপর অবস্থান করছে। এছাড়াও রানী রাসমনির গৃহদেবতা দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে রয়েছেন। মূল মন্দিরের আটচালা পূর্বমুখী দ্বাদশ শিব মন্দির রয়েছে। দক্ষিণে রয়েছে নাটমন্দির। উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে রুপোর সিংহাসনের সাড়ে ২১ ইঞ্চির কৃষ্ণ ও ১৬ ইঞ্চির রাধার বিগ্রহ নিয়ে গড়ে উঠেছে রাধাকান্ত মন্দির। উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাসগৃহ।

দক্ষিণেশ্বর মন্দির কলকাতার দক্ষিণেশ্বরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত। কালীর (ভবতারিণী) উদ্দেশে নিবেদিত এ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রামকৃষ্ণ পরমহংসের নাম। ঐতিহ্যগত নবরত্ন রীতিতে নির্মিত এ বর্গাকার মন্দিরটির প্রতিবাহুর দৈর্ঘ্য ১৪.২ মি এবং এর উচ্চতা প্রায় ৩০.৪৮ মি। এটি কলকাতার অন্যতম বৃহৎ মন্দির। অবয়বগত দিক থেকে পঞ্চরত্ন বা পাচঁটি শিখরবিশিষ্ট মন্দিরের তুলনায় নবরত্ন বা নয়টি শিখরবিশিষ্ট মন্দিরই বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
মন্দিরটি একটি বিশাল বিস্তৃত ইমারত। সিঁড়িযুক্ত একটি উঁচু বেদির উপর এটি অবস্থিত। দক্ষিণমুখী তিনতলাবিশিষ্ট এ মন্দিরের নয়টি মোচাকৃতি চূড়া আছে। এগুলিই উপরের দুটি তলা জুড়ে স্থাপিত। চূড়াগুলির ছাদ চমৎকার শিরাল পিড়ার মতো। মন্দির কক্ষের সংলগ্ন একটি অপ্রশস্ত আচ্ছাদিত বারান্দা দর্শকের কক্ষ হিসেবে ব্যবহূত হয়। মূল প্রার্থনা কক্ষে দেবী দক্ষিণা কালীর মূর্তি শিবের বুকের উপর দন্ডায়মান। মন্দিরের সামনে একটি দীর্ঘ ও প্রশস্ত নাটমন্দির (নাচঘর) আছে। এছাড়া এ মন্দির এলাকায় আরও কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির রয়েছে। এ কালী মন্দিরের উত্তরে রাধাকৃষ্ণের দালান। কালী মন্দিরের পশ্চিমে হুগলি নদীর তীরে চাঁদনী স্নানঘাটের উভয় পার্শ্বে ছয়টি করে মোট বারোটি সারিবদ্ধ শিব মন্দির বাংলার আটচালা রীতিতে নির্মিত।

মন্দির এলাকার উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক ঘিরে আছে অতিথি কক্ষ এবং অফিস কক্ষসমূহের সারি। মূল কালী মন্দির এবং সংলগ্ন অন্যান্য মন্দিরে কোনো শিলালিপি নেই। পোড়ামাটির ফলক এ নির্মিত কয়েকটি ফুলেল নকশা আর মূল মন্দির ও নাটমন্দিরের গায়ে প্লাস্টার দিয়ে করা কিছু অলংকরণ ছাড়া এতে তেমন কোনো অলংকরণের চিহ্ন দেখা যায় না। কলকাতার জানবাজারের বিখ্যাত রাণী রাসমনি ১৮৫৫ সালে এ মন্দির কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করেন।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке