সত্য দ্বীনের দাওয়াত দিলে মাতৃভূমি ছাড়তে হবে ! সকল নবীরা হিজরত করতে হয়েছে । মাজার পুজারী কাঠ মোল্লারা জাকির নায়েকের বিরোধীতা করে
হিজরত শব্দের আভিধানিক অর্থ ছেড়ে দেওয়া, বর্জন করা। পরিভাষায় হিজরত বলা হয়, কোনো কারণে নিজের দেশ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়া। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষকে নিজের মাতৃভূমি ত্যাগ করে অন্যত্র যেতে হয়। এটাই মানুষের চিরাচরিত রীতি। মক্কার জীবনে দীর্ঘ ১৩ বছর ধৈর্য ধারণ করার পর মহানবী (সা.) যখন দেখলেন, কাফিররা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে, তখন তিনি শান্তির আশায় হেফাজত করার লক্ষ্যে সাহাবাদের হাবশায় হিজরতের অনুমতি দিলেন। নবুয়তের পঞ্চম বছর রজব মাসে ১১ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। তাঁদের মধ্যে হজরত ওসমান (রা.)ও ছিলেন। এটাই ইসলামের প্রথম হিজরত। তাঁদের অনেকে মক্কায় পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার খবর শুনে ফেরত এসেছিলেন। পরে যখন দেখা গেল, খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, তখন নবুয়তের সপ্তম বছর জাফর (রা.)-এর নেতৃত্বে প্রায় ৮৬ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী সাহাবা দ্বিতীয়বার আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। এটি ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় হিজরত। পরে তাঁরা সপ্তম হিজরিতে সেখান থেকে মদিনায় হাজির হয়েছিলেন।
ইসলামের সবচেয়ে আলোচিত হিজরত হলো, মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত। এ হিজরতের পটভূমি তৈরি হয়েছিল ঐতিহাসিক আকাবা নামক স্থানের শপথের মাধ্যমে। নবুয়তের ১১তম বছর মদিনার ছয়জন ইমানদার আর ১২তম বছর ১২ জন আকাবা নামক স্থানে ইসলাম ও মহানবী (সা.)-কে সাহায্য করার শপথ নেন। আর ১৩তম বছরে ৭৩ জন পুরুষ ও দুজন নারী মহানবী (সা.)-এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। তাঁরা মক্কার মুসলমানদের আশ্রয় দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। মহানবী (সা.) সাহাবাদের মহররম মাস থেকে মদিনায় হিজরত করার অনুমতি দিলেন। মদিনায় সর্বপ্রথম হিজরত করেছেন মুসআব ইবনে উমাইর (রা.)। আবু বকর (রা.) রাসুল (সা.)-এর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। যাতে তিনি তাঁর সঙ্গে হিজরত করতে পারেন। সাহাবাদের হিজরতের দুই মাস পর মহানবী (সা.) রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার হিজরত করেন। হিজরতের সময় মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে আবু বকর ও তাঁর গোলাম আমের ইবনে ফুহাইরা ও পথনির্দেশক আবদুল্লাহ ইবনে আরিকত দুয়ালিও ছিলেন। তিনি বাইয়াতে আকাবার তিন মাস পর ২৭ সফর বৃহস্পতিবার রওনা দেন। তিন দিন ছুর নামক পর্বতে গোপন থাকার পর সোমবার পহেলা রবিউল আউয়াল আবার রওনা দেন। ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার তিনি কুবা নগরীতে পৌঁছেন। ১৪ দিন অবস্থান করার পর তিনি সেখানে মসজিদে কুবা প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর তিনি মদিনায় গমন করেন। (ইব্ন কাছির, আল বিদায়া, খণ্ড-৩, পৃ. ১৮৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় যাওয়ার পর দুর্বল ও অক্ষম ছাড়া মক্কার সব মুসলমানের ওপর হিজরত করা ফরজ ছিল। এটি ছিল তখন ইমানের শর্তস্বরূপ। এর কারণ ছিল প্রথমত, মুসলমানরা যেন ইসলামের নিদর্শন যেমন—জুমা, ঈদ, জামাতে নামাজ, আজান ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তাঁরা যেন দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করতে পারেন। তৃতীয়ত, তাঁরা যেন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও দ্বীনি দাওয়াত ব্যাপকভাবে বিশ্বে পৌঁছিয়ে দিতে পারেন। অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের পর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের বিধান রহিত হয়ে যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মক্কা বিজয়ের পর কোনো হিজরত নেই, তবে জিহাদ ও নিয়ত অবশিষ্ট রয়েছে। আর যখন তোমাদের সবাইকে (প্রতিরোধ সংগ্রামে) বের হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়, তখন তোমরা বের হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ২৭৮৩)
হিজরতের বিষয়ে ফুকাহায়ে কিরাম বলেন, কাফির রাষ্ট্র থেকে ইসলামের প্রাথমিক যুগে হিজরত করা মুস্তাহাব ছিল। সে নির্দেশ মোতাবেক সাহাবারা আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। পরে মহানবী (সা.) মদিনায় হিজরত করায় মুসলমানদের জন্য সেখানে হিজরত করা ফরজ ছিল, কিন্তু অষ্টম হিজরিতে সে বিধান রহিত হয়ে যায়। তাই এর পর থেকে হিজরত করা মুস্তাহাব।
অমুসলিম দেশ থেকে মুসলিম দেশে হিজরত : কোনো মুসলমান যদি এমন কোনো অমুসলিম দেশে বসবাস করে, যেখানে ইসলামের প্রকাশ সম্ভব নয়, তাহলে সামর্থ্য থাকলে নারী-পুরুষ সবার জন্য সেখান থেকে হিজরত করা ওয়াজিব। আর এ ধরনের রাষ্ট্রে কোনো মুসলমান নিজ দেশ ত্যাগ করে বসবাস বা চাকরির উদ্দেশ্যে যাওয়া হারাম। শুধু দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য যেতে পারবে।
======================== Needs and Advice ==================== ✔Email:- [email protected] ✔Phone:- +8801706-917791 ☺ ===========FOLLOW US=============☺ SUBSCRIBE►LIKE►COMMENT►SHARE► ►► / peacewazbd ►► / shantitv ►► / peacewazbd ►► / mkhalilurr ►► / khalilurrahma. . ◉ প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও দেখতে চ্যানেলটি Subscribe করুন !! ▶ ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন, শেয়ার করুন আর অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করুন!! ▶ Copyright Disclaimer : Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use. If you like the video, please like, comment and share it with your friends. Don't forget to subscribe. I have two more channels to visit. Hope you see something better. Thanks. @peace waz bd @শান্তি টিভি - shanti tv #peacewazbd #হিজরত #Zakir_Naik
Информация по комментариям в разработке