⚠️কে এই ত্বহা আদনান?কি তার উদ্দেশ্য?
যে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, এ ধরনের ভাইটাল বিষয় সম্পর্কে বিশেষ করে দ/জ্জা/ল,জি/হা/দ,মাহাদী এ ধরনের বড় ইস্যুগুলোতে বক্তব্য দেয়ার মতো জ্ঞান ও প্রজ্ঞা আছে কিনা সন্দেহজনক।এ বিষয় গুলো অত্যন্ত তাহকিকি বিষয়। ইলমের গভীর পর্যন্ত যদি না পৌঁছে, তাহলে তাহকিক সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে না।
যারা দ/জ্জা/ল সম্পর্কে অতি মাত্রায় গবেষণা করেছে,তারা অনেকেই পথভ্রষ্ট হয়েছে। মাহাদি সম্পর্কে যারা বেশি পর্যালোচনা করতে গিয়েছে, তারা সবাই মাহাদিকে অস্বীকারই করেছে।মাহাদির হাদিস গুলো অস্বীকার করেছে।
সুতরাং এ বিষয় গুলো সম্পর্কে সত্যিকারের জ্ঞান এর অভাব থাকে,তাহলে কোন ব্যক্তির উচিত নয় এ বিষয় গুলো নিয়ে বক্তব্য দেয়া।
দ/জ্জা/ল সম্পর্কে যে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে সেগুলো তার ব্যক্তিগত বক্তব্য নয়,একটা হিডেন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন।
এ সম্পর্কে আপনাদের যাদের জ্ঞান আছে,যারা ইউটিউব, বিশ্বের আন্তর্জাতিক যে চ্যানেলগুলো আছে,এগুলো সম্পর্কে যারা জ্ঞান রাখেন তাদের জানার কথা,
একটা গোপন সংগঠন রয়েছে,যাদের এজেন্ডাই হচ্ছে দ/জ্জা/লের ব্যাপারে রসূল সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বক্তব্য গুলো দিয়েছেন,সেগুলোকে অস্বীকার করে দা/জ্জা/লের নতুন একটা ব্যাখ্যা তৈরি করা।আর সেটাই প্রচার করছে আমাদের এই সমাজের কিছু সংখ্যক So called আলেম,যাদেরকে লোকেরা স্কলার মনে করে থাকে।আসলে স্কলারের কিছুই না।ভালো করে হয়তো ২/৩টা হাদিসের তাহকিকের জ্ঞান নেই।
এ ধরনের লোকেরাই বিভ্রান্তিকর বক্তব্য সমাজের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এখন।
দ/জ্জা/লের হাদিসগুলোর প্রকৃত তাহকিক যাদের কাছে নেই,(এগুলোর তাহকিক আলোচনা আমাদের কাছে আছে,ইউটিউবে পেয়ে যাবেন), তারাই এ ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।
তাদের এ বক্তব্যগুলো সব গুলোই ই/হু/দিদের একটা চ্যানেল রয়েছে,ঐ চ্যানেল থেকে প্রকাশিত।
ভালো করে আপনারা ঘাটাঘাটি করলে দেখবেন যে,কোন চ্যানেল থেকে এ কথাগুলো আসছে,এগুলো হিডেন এজেন্ডা বিভিন্ন গ্রুপের। এ এজেন্ডাগুলো দিয়ে তারা স্টাবলিশ করতে চায় যে দা/জ্জা/ল খুব তাড়াতাড়ি এসে যাবে।
ই/হু/দিদের কিতাবে এ কথা লিখা আছে,যে ই/হু/দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে,মা/সিহাহ আসবে এবং মা/সি/হাহ তাদের কাছে দা/জ্জা/ল।তাদের কাছে দা/জ্জা/ল ঐ জায়গাতেই আসবে।এটার নাম হচ্ছে হাররেমা জি দ্দুন,তাদের কিতাবের মধ্যে আছে।ঐ হাররেমা জিদ্দুন সেটা হচ্ছে বর্তমান ই*স/রা/য়েল এর মধ্যে পড়েছে।
★ফলে ই/হু/দী/রা এটাকে প্রচার করছে এবং ই/হু/দি/দের এ এজেন্ডা এ ব্যক্তিরা বাস্তবায়ন করছে।
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিসের সাথে এদের সামান্যতম কোন সম্পর্ক নেই।
এদের প্রজ্ঞাও নেই যে তারা,কোনটা ইহুদিদের বক্তব্য,কোনটা ইসলামের বক্তব্য বুঝতে পারবে।আপনি ওয়েবসাইটে গেলে কি বুঝতে পারবেন,কোনটা ই/হু/দিদের ওয়েবসাইট কোনটা মুসলিমদের ওয়েবসাইট,কোনটা শি য়াদের ওয়েবসাইট, কোনটা কোরআনি ফিরকার ওয়েবসাইট,কোনটা
কা দিয়ানির ওয়েবসাইট কোনটা মু তাযিলা দের ওয়েবসাইট কোনটা মুসলিম নামে মূলত ই/হু/দিরা ওয়েবসাইট খুলে দিয়েছে সে ওয়েবসাইট, এটাকি পার্থক্য করতে পারবেন?
অনেক কঠিন, এতো সহজ নয়।
কোরআন হাদিস দিয়ে সবাই বক্তব্য দিবে,কিন্তু এ পথভ্রষ্ট বক্তব্য একটা হিডেন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
একই বক্তব্য মাহাদি সম্পর্কেও।মাহাদি বলতে ইমাম মাহাদি এটা শিয়াদের আক্বিদা, ইসলামি আক্বিদা নয়।ইমাম মাহাদি শি য়াদের আক্বিদা।
তিনি হচ্ছেন একজন আমির হবেন।তিনি একজন শাসক হবেন।মাহাদি হচ্ছে তার সিফাত।তিনি হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবেন।মাহাদি মানে মুক্তাদি।তিনি হিদায়াত লাভ করবেন।আর তার সুনির্দিষ্ট পরিচয় মানুষের কাছে রসূল সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে দিয়েছেন।তিনি হাসান ইবনে আলি রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর হবেন।তার নাম হবে মুহাম্মদ, তার বাপের নাম হবে আবদুল্লাহ।আর কি জানতে চান।
সুতরাং এ ধরনের বক্তব্য গুলো এখন যারা দিচ্ছে এদের কারো জানা নেই যে, মাহাদি এবং দা/জ্জা/ল বের করা আমাদের দায়িত্ব না। এটা বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব, এটা নিয়ে গবেষণা করার দায়িত্ব এ কাজ আমাদের নয়।
সুতরাং এ মাস'আলা একেবারেই ভুল,বিভ্রান্তি।
★সালাফি আলেমদের যারা গালিগালাজ করে থাকে,ইমাম বারবাহারী রহিমাহুল্লাহ শারহুস সুন্নাহ'র মধ্যে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন,সে হচ্ছে প্রকৃত পথভ্রষ্ট। যদি এ পৃথিবীর মধ্যে কোন পথভ্রষ্ট ব্যক্তি দেখা না যায়, ঐ ব্যক্তিই যথেষ্ট যে সালাফি আলেমদের গালিগালাজ করে।
কারণ সালাফদের একমাত্র মুকতাদা হচ্ছে, একমাত্র অনুসরনীয় হচ্ছে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আর কেউ নেই।মাঝখানে কোন ইমাম নেই।
আপনি যে গোষ্ঠীর অনুসরণ করেন,তাদের একজন ইমাম পেয়ে যাবেন।কিন্তু সালাফ,সালাফে সালেহিন অনুসরণ করে থাকে,তাদের ইমাম হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সুতরাং সালাফদের যারা গালিগালাজ করে,সালাফদের সম্পর্কে কটুক্তি করে থাকে,তারা যে পথভ্রষ্ট এর আর কোন দলিলের প্রয়োজন নেই।এটাি দলিল।ভিন্ন কোন দলিলের প্রয়োজন নেই।
সুতরাং সালাফে সালেহিনদের, সালাফি আলেমদের যারা সত্যিকার সহিহ মানহাজের অনুসারী এ যুগে তারা সালাফদের মানহাজ অনুসরণ করেন,এরা একেবারে পরিচিত।
এ ব্যক্তি যদি তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে আর বাকি নেই,এর চেয়ে পথভ্রষ্ট, এর চেয়ে নর্দমার কীট আর পৃথিবীতে কেউ নেই।কারণ এ হচ্ছে সবচেয়ে হিদায়াত থেকে মাহরুম ব্যক্তি।
🎤শাইখ ড.সাইফুল্লাহ মাদানি হাফিযাহুল্লাহ।
Информация по комментариям в разработке