কেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মদ (সা.) । অমুসলিমদের কাছে কি ভাবে প্রমাণ করব মুহাম্মদ সা: সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী ।
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। মানব ইতিহাসে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিন এমন এক মহামানবের আবির্ভাবের দিন, যে কোনো বিচারেই যাঁর চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কারোর আবির্ভাব ঘটেনি এই পৃথিবীগ্রহে। যাঁর প্রভাব তাঁর কর্মকালে, জীবদ্দশায় যেমন তৎকালীন দুনিয়া অনুভব করেছে তেমনি ১৪শ’ বছর পরেও বিশ্বব্যাপী অনুভূত হচ্ছে। প্রলয়দিন পর্যন্ত সম গুরুত্বের সঙ্গে তা অনুভূত হতে থাকবে। যুগের পরিবর্তন হয়, কালের বিবর্তন ঘটে, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক চাহিদার ধরন বদলায়, নব নব সমস্যার উদ্ভব হয়, তা সমাধানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, কাল যা অপরিহার্য ছিল আজ তার উপযোগিতা নিঃশেষ হয়ে যায় কিন্তু এমন এক মহামানব যিনি কখনো পুরাতন হন না, যাঁর আবেদন কখনো নিঃশেষ হয় না, যাঁর প্রয়োজন কখনো ফুরায় না, যিনি স্থান-কাল-পাত্রের ঊর্ধ্বে; চিন্তায়, কর্মে, অনুভবে, বিশ্বাসে, সর্বত্র-সর্বব্যাপী সকল ক্ষেত্রে যাঁর উপস্থিতি, প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়; অপরিহার্য, অনিবার্য হয়ে যিনি সতত বিরাজ করেন; কী দর্শনে, কী বিজ্ঞানে, কী সাহিত্যে, কী কলায়, কী ইবাদত-বন্দেগীতে, ব্যষ্টি থেকে সমষ্টিতে, ব্যক্তি পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে, সেখানে থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পর্যন্ত যাঁর উপস্থিতি চেতনে-অচেতনে সমভাবে অনুভূত, প্রত্যাশিত, কাক্সিক্ষত- তিনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম, সুন্দরতম, মহোত্তম, মাহবুবে খোদা, রাহমাতুল্লিল আলামীন, হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এমন যুগ-বিজয়ী, কাল-বিজয়ী, মহাবিজয়ী, বিশ্ববিজয়ী, এমন পরিপূর্ণ, এমন সর্বগুণের আকর এই পৃথিবীগ্রহে আর কেউ আসেননি, তাঁর সমকক্ষ আর কেউ হননি, ভবিষ্যতেও কেউ হবেন না। তিনি অতুলনীয়, তিনি অনুপম, তিনি বে-মিসাল।
মহাকবি ইমাম বুসীরীর ভাষায়:
‘মুনাজ্জাহুন আন শারীকিন ফি মুহাসিনিহী
ফা জাওহারুল হুসনি ফি হি গায়রু মুনকাসিমী।’
সকল গুণের মৌল আদিম
উৎসধারা রূপ-সুষমার
শরীক বিহীন ভাজ্য বিহীন
অদ্বিতীয় সত্তা যে তাঁর।
আল্লাহ রূপ-সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছেন, গুণ সৃষ্টি করেছেন, যোগ্যতা সৃষ্টি করেছেন- সেই রূপ-সৌন্দর্যের সার নির্যাস, সেই গুণাবলীর একই ক্ষেত্রে বিকাশ, সেই যোগ্যতার একই পাত্রে সমাহার, আর এসবের একীভূত সমন্বিত উদ্ভাস একই সত্তায় ঘটিয়ে যাকে এই গ্রহে প্রেরণ করেছেন তিনি শামসুদ্দোহা, বদরুদ্দোজা, নূরুল হুদা, খায়রুল ওয়ারা, হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
মহাকবি শেখ সাদীর ভাষায়:
‘বালাগাল উলা বি কামালিহি
কাশাফাত দুজা বি জামালিহি
হাসুনাত জামিউ খিসালিহি
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি’
সবার ঊর্ধ্বে সবার শীর্ষে পূর্ণতায়
তিমির আঁধার বিদূরিত যার জ্যোতি-আভায়
পূত অনুপম মধুময় চারু স্বভাব যার
সালাম সালাম সে নবী এবং স্বজনে তাঁর।
কবির কল্পনা যে সীমা অতিক্রম করতে অক্ষম, দার্শনিকের চিন্তার গতি যেখানে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে যায়, সাহিত্যিকের লেখনি যেখানে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়, সুরকারের সুর যে মঞ্জিল অতিক্রমে অসমর্থ, তারও উপরে যাঁর অবস্থান; সকল ভাষায় সকল শ্রেষ্ঠ শব্দসম্ভার একত্রিত করে, সকল মনিমুক্তা আহরণ করে, সে সবের শ্রেষ্ঠতমের সমাহার ঘটিয়েও যার রূপ-সৌন্দর্য, যোগ্যতা-দক্ষতা, গুণাবলীর যথার্থ প্রকাশ ঘটানো যায় না, তিনি মহাশিল্পীর শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম, মহান স্রষ্টার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মধু পূর্ণিমারি সে কী আন্দোলিত চাঁদ? সে কী নব উষার কোলে রাঙ্গা রবি? সে কী কুল মাখলুকাতের গুলবাগে একটি ফোটা ফুল? কী-সে? কোন উপমা দিয়ে তাঁর রূপ ফুটিয়ে তোলা যায়? কোন তুলির আঁচড় দিয়ে সেরূপ উপস্থাপন করা যায়? না- কোন কল্পনাই সে সীমায় পৌঁছতে পারে না। এ ব্যাপারে সবাই অসমর্থ, অক্ষম, অপারগ। ‘লা ইমকিনু সানাউহু কামা কানা হাক্কুহু/ বাদ আয খোদা বুজুর্গ তুই কেসসা মুখতাসার- ‘খোদার পরেই ওগো হাবীব খোদার, তোমার উচ্চ মাকাম।’
আল্লাহ যার মধ্য দিয়ে নিজের সৃজন ব্যগ্রতার প্রথম স্ফুরণ ঘটিয়েছেন, নিজ নামের সাথে যার নাম সংযোজন করেছেন; নিজ প্রেমাস্পদের মহিমায় যাকে মহিমান্বিত করেছেন; আকাশে-বাতাসে যার গুণ-গান ছড়িয়ে দিয়েছেন; যার স্মরণকে সমুন্নত করেছেন; নিজ বাণী আল-কোরআন দিয়ে যাকে নন্দিত করেছেন;
======================== Needs and Advice ==================== ✔Email:- [email protected] ✔Phone:- +8801706-917791 ☺ ===========FOLLOW US=============☺ SUBSCRIBE►LIKE►COMMENT►SHARE► ►► / peacewazbd ►► / shantitv ►► / peacewazbd ►► / mkhalilurr ►► / khalilurrahma. . ◉ প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও দেখতে চ্যানেলটি Subscribe করুন !! ▶ ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন, শেয়ার করুন আর অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করুন!! ▶ Copyright Disclaimer : Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use. If you like the video, please like, comment and share it with your friends. Don't forget to subscribe. I have two more channels to visit. Hope you see something better. Thanks. @peace waz bd @শান্তি টিভি - shanti tv #peacewazbd #সর্বশ্রেষ্ঠ #অমুসলিমদের
Информация по комментариям в разработке