Скачать или смотреть আল্লাহর পথে ফিরে আসার উপায়

আরবি ভাষায় একটি প্রবাদ রয়েছে- ‘পৃথিবীর প্রথম মানুষ প্রথম ভুলকারী’। এ দ্বারা বোঝানো হয়- ভুল-ভ্রান্তি, গুনাহ-পাপ, মানুষের সহজাত বিষয়। মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষ কোনো গুনাহ করবে না এটা অস্বাভাবিক। আমরা যখন মানুষ, ভুল আমাদের হতেই পারে। তবে ভুল থেকে শিক্ষা না নেওয়া, তাওবা না করা এবং বারবার একই ভুল করা অবশ্যই দোষের।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ওই পবিত্র সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন। যদি তোমরা একেবারেই কোনো গুনাহ না করতে, তাহলে ভূপৃষ্ঠ থেকে আল্লাহ তোমাদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিতেন এবং নতুন এক জাতিকে সৃষ্টি করতেন; যারা গুনাহ করবে অতঃপর ইসতিগফার (তাওবা) করবে আর আল্লাহ তাদের গুনাহ ক্ষমা করবেন এবং তাওবা কবুল করবেন।’ (মুসলিম : ২৭৪৯)। এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় মানুষের দ্বারা গুনাহ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে ভুলকে অভ্যাসে পরিণত করা এবং তাওবা না করা দোষণীয়। জীবনে অনেক পাপ করেছি, এখন কীভাবে আমি রবের সামনে দাঁড়াব, আমি তো ক্ষমা পাব না! জীবন তো ধ্বংস হয়েই গেছে, এখন আর কোনো উপায় নাই! এভাবে শয়তানের সস্তা ধোঁকায় পড়ার কোনো সুযোগ নেই। বিড়ি-সিগারেট, মদ-গাঁজা ইয়াবা ইত্যাদিতে প্রশান্তি খোঁজার তো প্রশ্নই ওঠে না। গুনাহ করে ফেললে আমাদের করণীয় কী? আমরা তাওবা করব। যত গুনাহই করি না কেন! ইতোমধ্যেই তো আমরা গুনাহের পাহাড় গড়েছি, তাতে কী! পাহাড় কেনো, সমুদ্র কিংবা মহাসমুদ্র পরিমাণ গুনাহও যদি করে ফেলি, এমনকি আমাদের গুনাহ দ্বারা যদি আকাশ-পাতাল মধ্যবর্তী শূন্যও পূর্ণ হয়ে যায়, তবুও কি আমরা হতাশ হব? ডিপ্রেশনে ভুগব?
না, বরং মহামহিয়ান আল্লাহর প্রতি মনোনিবেশ করব। কেননা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সুরা যুমার : ৫৩)