Скачать или смотреть ঢোল কলমি ফুল (ইংরেজি: pink morning glory), (বৈজ্ঞানিক নাম: Ipomoea carnea) 

ঢোল কলমি (ইংরেজি: pink morning glory), (বৈজ্ঞানিক নাম: Ipomoea carnea) ।

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস:

জগৎ:Plantae
শ্রেণীবিহীন:Angiosperms
শ্রেণীবিহীন:Eudicots
শ্রেণীবিহীন:Asterids
বর্গ:Solanales
পরিবার:Convolvulaceae
গণ:Ipomoeaপ্রজাতি:I. carnea
দ্বিপদী নামIpomoea carnea Jace.

ঢোল কলমি হচ্ছে কনভলভালাসি পরিবারের এক প্রজাতির গুল্ম। এর কাণ্ড দিয়ে কাগজ তৈরি হয়।এই উদ্ভিদের ঔষধিগুণ বিরাজমান।এটি বিষাক্ত।

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই গাছ দিয়ে খেতের বেড়া তৈরি করার প্রচলন আছে।। এই উদ্ভিদের ভেষজগুণ আছে।মূলত ঢোল কলমি গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ। এর কান্ড দিয়ে কাগজ তৈরি করা যায়। সবুজ পাতার গাছটি ছয় থেকে দশ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

তবে অযত্নে অবহেলায় জন্ম নেয়া ঢোলকলমি গাছের ফুল যেকোন বয়সি প্রকৃতি প্রেমিকের দৃষ্টি কাড়বে। পাঁচটি হালকা বেগুনি পাপড়ির কিছুটা মাইক আকৃতির ফুলটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। সারা বছরই ঢোল কলমির ফুল ফোটে। একটি মঞ্জরিতে ৪-৮টি ফুল থাকে। ফানেলাকার আকৃতির ফুল।
ফুলে মধুর জন্য কালো ভোমরা আসে।
তবে বর্ষার শেষে শরৎ থেকে শীতে ঢোলকলমি ফুল বেশি দেখা যায়। আর একটি মঞ্জরিতে চার থেকে আটটি ফুল থাকে। মধুর জন্য ফুলে আবার কালো ভোমরাও আসে।

অযত্নে অবহেলায় জন্ম নেয়া ঢোল কলমি গাছ অল্পদিনের মধ্যেই ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়ে জমির ক্ষয়রোধ করে ও সুন্দর ফুল দেয়।নদীর তীরে কিংবা বিশাল ফসলের মাঠে ঢোল কলমি জন্মে পাখির বসার জায়গা করে দেয়। এ গাছে বসে পাখি পোকামাকড় খায়। এমনকি এর ফুলের মধু সংগ্রহ করতে ভোমরার আনাগোনাও চোখে পড়ে। গ্রামের শিশুরা ঢোলকলমির ফুল দিয়ে খেলা করে।

ঢোল কলমি খুবই উপকারী গাছ। নদীতীর, খালপাড়ের মাটিকে শক্ত করে ধরে রাখা, ভূমিক্ষয় রোধ, ভাঙনরোধে ঢোলকলমি গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঢোলকলমি ফুল সারা বছরই ফোটে।

এই ঢোল কলমির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো গরু ছাগলে না খাওয়ায় এটা বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নদীতীর ভাঙন রক্ষা করে। এমনকি রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক বেড়া হিসেবে বেশি পরিচিত এই ঢোল কলমি গাছ। তবে নানা কারণে এখন আর তেমন কলমি গাছ চোখে পড়ে না।

ঢোল কলমি গাছ বিলুপ্তির কারণ?

গত ৯০ এর দশকে দেশজুড়ে ঢোল কলমি গাছ নিয়ে ভয়ংকর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই সময় গুজব রটে যে, ঢোলকলমি গাছে থাকা পোক এতটাই ভয়ংকর যে, এটা যেকোন মানুষকে কামড় দিলে মৃত্যু অবধারিত, এমন কি স্পর্শ লাগলেও জীবন বিপন্ন হতে পারে।

এর ফলে সারাদেশে সাধারণ মানুষ গণহারে, এমন কি স্থানীয় প্রশাসনও ঢোলকলমি গাছ কেটে নিধনের উদ্যোগ নিয়েছিল।এই বিদঘুটে পোকাটি আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলো তার জুড়ি মেলা ভার।

এ পোকার ভয়ে এ গাছ ধ্বংস করার একটা হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে পোকাভীতি চলে গেছে।কারণ পরবর্তীতে এটি মিথ্যা প্রমানিত হয়।

কীটপতঙ্গভুক পাখি ঢোলকলমির ডালে বসে পোকা ধরে খায়।দেশের পথের ধারে, জলার কাছে, হাওর, বাঁওড়ে, পাহাড়ের ঢালে সর্বত্রই ঢোলকলমির দেখা মেলে। হাওরে কিংবা বিশাল ফসলের মাঠে জন্মে পাখির বসার জায়গা দেয়।

কলমি পরিবারের (Convolvulaceae) উদ্ভিদ হলেও এটি লতা নয়। ফাঁপা কাণ্ড নিয়ে ঢোলকলমি বেড়ে ওঠে। অল্পদিনের মধ্যেই ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়। জমির ধানখেতের পাশে, পতিত জমিতে, নিচু বিলের ধারে সর্বত্রই এর ব্যাপক উপস্থিতি।

সুন্দর ফুলের শোভার পাশাপাশি এটি ভূমিক্ষয় রোধ করে। আমাদের দেশের গবাদিপশু এ কলমির পাতা খায় না। কারণ পাতায় তেতো স্বাদের সাদা কষ থাকে। এটির বীজ ও পাতায় বিষাক্ত উপাদানও রয়েছে।

প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র সুরক্ষায় মূল্যবান এ উদ্ভিদকে সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে সকলেরই উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।


#ঢোলকলমি
#ঢোলকলমিফুল
#pinkmorningglory
#pink_morning_glory
#Ipomoeacarnea
#গোলাপিফুল

#copyrightfreevideo