Скачать или смотреть গল্প দাদুর গল্পের আসর ("বিত্তের উত্তাপ" ০৩ এবং শেষ পর্ব)

🌹আকছির খান🎋
~~~~~~~~~~~~
পরদিন রাজা মন্ত্রী ও রাজ পন্ডিতকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললেন , এবার তিন জনেই ভাবনায় পড়লেন ! অনেক ক্ষণ চিন্তা ভাবনা করেও কোন কারণ কেউ খুঁজে পেলেন না । বরং সবাই অবাক যে একজন নাপিতের ছেলের এ-তো স্পর্ধা হয় কি করে ? রাজা বললেন যখন সে বিয়ের কথা বলে তখন স্পষ্ট ও দৃঢ়তার সাথে বলে। কোন ভয় বা জড়োতা তার চেহারা বা কন্ঠে থাকেনা। রাজা মন্ত্রী ও পন্ডিত কে নির্দেশ দিলেন আপনারা তদন্ত করে দেখুন ওর কোন মানসিক সমস্যা আছে কি না ? কিন্তু আলাদা ভাবে যাঁর যাঁর মতো , যেনো তৃতীয় কোনো ব্যক্তি কিছুই বুঝতে না পারে । মন্ত্রী ও পন্তিত তদন্তে নামলেন , নাপিতের মহল্লায় প্রজাদের কুশলাদির খোঁজ খবর নেন, কিছুটা খোশ গল্প করতে করতে নাপিতের পরিবারের খোঁজ জানতে চান, তারা কেমন আছে, ছেলেটা মায়ের সাথে বা প্রতিবেশীর সাথে কেমন আচরণ করে ? শতভাগ লোকজন নাপিত পূত্রে বিষয়ে প্রশংসা করলো। কখনো কোন অসদাচরণ বা অসংগতি তার মধ্যে নেই । শৈশব থেকেই খুবই ভালো ছেলে । দক্ষ গোয়েন্দাদের মতো চেষ্টা করেও নেতিবাচক কিছুই পেলেন না । রাজাকে এসে দুজনেই একই রিপোর্ট দিলেন । আবারও সবাই চিন্তা করতে লাগলেন কি হেতু ?
রাজ পন্ডিত রাজাকে পরামর্শ দিলেন আপনি আপনার সেলুন অন্য ঘরে নিন দেখা যাক কি হয় ? তাই করা হলো, পরদিন রাজা অন্য ঘরে কাজ করালেন কিন্তু নাপিত পূত্র আজ বিয়ের কথা বলল না । সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল পুরো সময় টা। শুনে মন্ত্রী ও পন্ডিত বললেন এখানেই কয়েক দিন সেলুন থাক। প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেলো কিন্তু নাপিত পূত্র আর কোন দিন বিয়ের কথা তোলেনি । পন্ডিতের পরামর্শে আসন আবার পুরনো ঘরে নেওয়া হলো । আজ আবার নাপিত পূত্র আগের মতোই বলে উঠলো রাজা মশাই আপনার মেয়েকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিবেন ? আরও কয়েক দিন পুরনো ঘরেই সেলুনের আসন থাকলো আর নাপিত পূত্র ও বিয়ের কথা বলতে থাকলো । পন্ডিত বললেন আগামীকাল সকালে আমি ও মন্ত্রী মশাই ঘরের পিছে লুকিয়ে লক্ষ করতে চাই তার প্রতিক্রিয়া । তাই করা হলো, স্বাভাবিক নাপিত পূত্র কাজ করে চলেছে কিন্তু ধীরে ধীরে তার চেহারার পরিবর্তন হচ্ছে, দৃঢ়তা ও সাহসী ভাব। নাপিত পূত্র যথারীতি রাজাকে তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দিলো রাজাও পূর্বের ন্যায় বললেন কাজ শেষ করো পরে কথা হবে , মজার ব্যাপার হলো ঐ ঘরের বাইরে আসলে সে ঠিকই বিনয়ী। নাপিত পূত্রকে বিদায় দিয়ে তিন জনে পরামর্শ করছেন । পন্ডিত বললেন রাজা মশাই আপনার সেলুন ঘরের নীচে লুকানো আপনার পূর্ব পুরুষের অঢেল ধন সম্পদ আছে । হয় আপনি সেলুন ঘর পাল্টান না হয় ঐ সম্পদ উত্তলন করুন । রাজা খুড়তে লোক লাগালেন। খুড়ার পর দেখেন অঢেল হীরা, জহরত মনি মুক্ত ও সোনার ভান্ডার বড়ো বড়ো সিন্দুক ভর্তি ।
তখন পন্ডিত বললেন ক্ষমতা ও বিত্তের উত্তাপে নাপিত পূত্র বেশামাল হওয়াই স্বাভাবিক ! যার পায়ের নীচে এতো দৌলত কোনো রাজ রক্ত ছাড়া হজম করতে পারেনা। আরও তরুণ বয়স। ও নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং রাজ শক্তি জেগে উঠে দেহ মনে !
কথায় আছেনা অপাত্রে ~~~
আঘাট ঘাট হলে ~~~
প্রিয় দর্শক আপনাদের বিজ্ঞ চিত মতামতের অপেক্ষায় !!!
#story #social #educational