Скачать или смотреть যেভাবে এক হলেন রাজ-পরীমনি | How Raj-Porimoni Settled the Quarrel | Pori Moni | নায়িকা পরীমনি

যেভাবে এক হলেন রাজ-পরীমনি

সব অভিমান ভুলে আবার শরীফুল রাজের সঙ্গে মিলে গেলেন নায়িকা পরীমনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো কতদিন আবার তারা এক ছাদের নিচে থাকতে পারবেন? রাজ এবং পরীমনিকে কীভাবে মিলিয়ে দিলেন গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস-সেই ঘটনা জানার আগে রাজ কী বলছেন সেটি জানাবো আপনাদের।

গত ২০ মে পরীমনিকে রেখে নিজের সব জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ। এরপর ২৯ মে দিবাগত রাতে রাজের ফেসবুক আইডি থেকে রাজ ও তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে দুজনের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। এর পর থেকে দুজন আলাদা থাকছিলেন। পরীমনি তো একপ্রকার বিচ্ছেদের ঘোষণাই দিয়ে দেন। কিন্তু কাগজে-কলমে এতদিন ডিভোর্স হয়নি তাদের।

তখন পরীমনি বলেছিলেন, রাজ এখন শুধু তার প্রাক্তনই না, ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সম্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলবেন না।
তবে রাজকে সাবধান করে জানিয়ে দেন, তার ওপর কোনো অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে তিনি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন।
রাজের আচরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানালেও রাজ ছিলেন চুপ। স্ত্রীর সম্মান নষ্ট হয় এমন কোনো কথা কোথাও তিনি বলেননি।

এই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৭ আগস্ট রাজের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো। ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমটিকে রাজ বলেন, কেন যাননি, কী কারণে যাননি, সেটি বাইরের অন্য কেউ বুঝবে না। তাই সেটি নিয়ে কথা বলতে চান না। বললেও হয়তো তার কথা মানুষ বিশ্বাস করতে চাইবে না। সবার অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু কলকাতা থেকে ফিরে একজন বাবা হিসেবে অনুষ্ঠানের আগের রাতে ছেলেকে দেখতে যান। গিয়ে উপহার দিয়ে আসেন।
রাজ এখন সব ভুল শুধরে নিতে চান। তাই বলেছেন, ‘এ জীবনে অনেক ঝামেলা ফেস করেছি। আর করতে চাই না। জীবনটা স্বাভাবিক চাই, শান্তি চাই। আর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না।’

রাজের বিরুদ্ধে পরীমনির অনেক অভিযোগ ছিল। ছেলের আরও কম বয়স থাকতে রাজ ঠিকমতো খেয়াল রাখতেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। নানার প্রতি পরীমনির ভিষণ দুর্বলতা। সেই নানাকেও নাকি নিজেদের বাসায় মানতে পারছিলেন না রাজ! পরী অবশ্য বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন বলেছিলেন, নানার সঙ্গে রাজের সম্পর্ক মধুর।

পরীমনি কখনোই রাজের ফ্ল্যাটে ওঠেননি। নিজের কেনা ফ্লাটেই থেকেছেন তিনি। আর একারণে একটু ঝগড়া হলেই রাজ বাসা থেকে বের হয়ে যেতেন। রাজের পরিবারের সঙ্গেও পরীমনির সম্পর্ক ভালো না। রাজ অনেক চেষ্টা করেও সেই সম্পর্ক ভালো করতে পারেননি।

পরীমনিকে নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় বরাবরই অনেক আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু মানবিক আচরণ দিয়ে নিজের আলাদা ভাবমূর্তি দাড় করাতে চেয়েছেন তিনি। সহশিল্পীদের বিপদে-আপদে সবসময় আর্থিক সাহায্য যেমন করেছেন, মানসিকভাবেও থেকেছেন পাশে। কিন্তু তার প্রেম-বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনা কখনোই পিছু ছাড়েনি। তবে বিয়ের পর এক অন্য পরীমনির দেখা মেলে। উচ্ছ্বল সেই জীবন পেছনে ফেলে শতভাগ মা বনে যান। হয়ে যান একজন স্ত্রী।

বদলে যাওয়া পরীমনি সংসারে সুখের মুক্তা খুঁজতে গিয়ে বারবার ডুবে গেছেন দুঃখের সাগরে। রাজের সঙ্গে তার প্রথম ঝামেলা হয় আরেক নায়িকা মিমকে নিয়ে। মিমের সঙ্গে রাজের যোগাযোগ একদমই সহ্য করেননি তিনি। একপর্যায়ে মিমের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেন রাজ।

মিমপ্রসঙ্গ পেরিয়ে আরও তিন নায়িকার সঙ্গে রাজের বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পরীমনি। রাজ বারবারই সেসব অস্বীকার করে পরীমনিকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি।

অবশেষে এই বৃহস্পতিবার ( অর্থাৎ ১৭ আগস্ট) কৌশিক হোসেন তাপস ও তার স্ত্রী টিএম ফিল্মসের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নির কল্যাণে আরেকবার মিলে গেলেন তারা। পরীমনির একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যর প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে একটি পার্টির আয়োজন করেন তাপস এবং তার স্ত্রী। তাদের সঙ্গে রাজের একটি কাজের আলাপ চলছে। সেই সুবাদে এই পার্টি। পার্টিতে আসার জন্য পরীমনিকে রাজি করান তাপসের স্ত্রী। তারপর রাজের সঙ্গে গানে-গানে সব অভিযান ভুলে যান। কিন্তু প্রশ্ন ওই একটাই এই ভুলে যাওয়া স্থায়ী হবে তো?
#newshuntbangladesh


----------------------------------------------------------
Subscribe us - https://bit.ly/3hD96AE

Facebook Page   / newshuntbangladesh