Music credit:↘ Ncs(NoCoyprightsound)
/ nocopyrightsounds
মানুষের মতো পিঁপড়াদেরও সমাজ, সংসার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা রয়েছে। নিজস্ব বাজার এবং উন্নত মানের যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে তাদের মধ্যে। তারা খাদ্য সঞ্চয় করে। পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে শীতের দিনে তা রোদে শুকাতে দেয়। তাদের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ ঘটে এবং মানুষের মতোই তারা চরম প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে থাকে।
সূরা নামলের ১৮নং আয়াতে বর্ণিত আছে, ‘যখন সোলায়মান (আঃ) এবং তাঁর বাহিনী পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছায়, তখন এক নারী পিঁপড়া বলল, হে পিঁপড়েরা, তোমাদের গর্তে প্রবেশ কর। এমন যেন না হয়, সোলায়মান এবং তাঁর সৈন্যরা তোমাদের পিষে ফেলবে, তোমরা তা টেরও পাবে না।’ সোলায়মান (আঃ) পিঁপড়ার কথায় মৃদু হাসলেন। কোরআন যে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক একটি মহামূল্যবান গ্রন্থ এবং কোনো রূপকথার গল্প নয়, সূরা নামলের ওই ১৮নং আয়াতই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
অাপনারা ইতিমধ্যে হয়তো পীপড়ার অনের মুভিও দেখেছেন এই মুভিগুলোতে ফুটিয়ে তোলা হয় পীপড়াদের জীবন কাহিনী।
পতঙ্গ বিজ্ঞানী ড. উইলসন পুরো পৃথিবী ঘুরে ৫০০ প্রজাতির পিঁপড়ার ওপর পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পিঁপড়া মানুষের মতোই তাদের মৃতদেহগুলো কবর দেয়। এরা দলবদ্ধভাবে বাস করে। একটি দলে তিন ধরনের পিঁপড়া থাকেÑ রানী পিঁপড়া, শ্রমিক পিঁপড়া এবং পুরুষ পিঁপড়া। এদের প্রত্যেকের কাজ ভিন্ন ভিন্ন। রানী পিঁপড়ার কাজ হলো ডিম পাড়া এবং বংশবৃদ্ধি করা।
পিঁপড়াকে সবসময় ব্যস্ত থাকতেই দেখা যায়। পিঁপড়া কখন ঘুমায় তা কেউ বলতে পারে না। কারণ এদের চোখের পাতা নেই। তাই এরা চোখ বন্ধ করতে পারে না। পিঁপড়ার ফুসফুস নেই, ক্ষুদ্র একটি গর্তের সাহায্যে এরা শ্বাস নেয়। শীতকালে এদের শ্বাস প্রশ্বাস ও কার্যক্রম কিছুটা ধীর গতিতে চলে। কোনো কোনো পিঁপড়া ১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে। তবে বেশির ভাগ পিঁপড়া কয়েক মাসের বেশি বাঁচে না।
পিঁপড়া একটি কলোনিতে বাস করে। একেকটি কলোনিতে কম করে হলেও ৪৩,০০০ পিঁপড়া থাকে। একেকটি কলোনিতে অনেক ঘর থাকে। এরা একেকটি ঘর একেক কাজে ব্যবহার করে। যেমন খাবার মজুদ, ডিম সংরক্ষণ করা, বাচ্চা পিঁপড়াদের যত্ন নেওয়ার আলাদা আলাদা ঘর। রানী পিঁপড়াদের জন্য থাকে আলাদা ঘর, এমনকি কোনো কোনো কলোনিতে কারখানাও থাকে। পিঁপড়ারা ময়লা আবর্জনার ঢিবির মধ্যে কলোনি নির্মাণ করে। এরকম একটি কলোনি নির্মাণ করতে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর সময় লাগে, আর মাটি লাগে প্রায় ৪০ টন।
গাছের পাতা, পচা কাঠ, কাদা ইত্যাদি সংগ্রহ করে মুখের লালার সঙ্গে মিশিয়ে ছোট ছোট টুকরো বানিয়ে তা দিয়ে বাড়ি তৈরি করে। পিঁপড়ারা ৪০-৫০তলা পর্যন্ত বাড়ি তৈরি করে থাকে। পিঁপড়াদের তৈরি বিশালাকার কলোনিকে সুপার কলোনি বলে। দক্ষিণ ইউরোপের ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর বরাবর ৬,০০০ কিলোমিটার লম্বা একটি সুপার কলোনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সুপার কলোনিতে ছিল জাপানের হোক্কাইডোর ইশিকারি উপকূল। এই সুপার কলোনিতে কর্মী পিঁপড়া ছিল ত্রিশ কোটি ষাট লাখ। রানী পিঁপড়া ছিল ১ লাখ। ২.৭ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই সুপার কলোনিতে পিঁপড়ার বাসার সংখ্যা ছিল ৪,৫০০০। পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত হলো সৈনিক পিঁপড়া। এরা দলবেঁধে চলে। এদের এক একটি দলে বিশ লাখ পিঁপড়াও থাকতে পারে।
গন্ধ অনুসরণ করে পিঁপড়া খাবারের সন্ধান করে। পিঁপড়াদের যোগাযোগের মাধ্যম খুবই চমৎকার। একে অপরের শরীর ছুঁয়ে যোগাযোগ রক্ষা করে এরা। এছাড়াও পরস্পরের শুঁড় স্পর্শ করেও নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। এরা অনেক দূর থেকে খাবারের গন্ধ পায়। স্বাদ, গন্ধ এবং স্পর্শ এই তিনভাবে পিঁপড়া বুঝতে পারে তার আশপাশে কি আছে। পিঁপড়াদের যে সারিবদ্ধভাবে চলতে দেখা যায়, তার মূল কারণ হলো গন্ধ ও দূরত্বের হিসাব। পিঁপড়া তার ওজনের ৫০ গুণ বেশি ওজনের বস্তু বহন করতে পারে। আকৃতিতে ক্ষুদ্র হলেও লাল পিঁপড়া বা বিষ পিঁপড়া নামে পরিচিত পিঁপড়াদের রয়েছে চরম একতা। পিঁপড়ার যথেষ্ট স্মরণশক্তি রয়েছে। ফরাসি জীববিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে, দুটি আলাদা প্রজাতির পিঁপড়া একসঙ্গে তিন মাস রাখার পর আলাদা করা হলে ১৮ মাস পরও তারা একে অন্যকে চিনতে পারে।
ডুইসবুর্গ এসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ শ্রাইবার বলেন, পিঁপড়ার মধ্যে যারা আগাম বিপদ সংকেত বলতে পারে শুধু তারাই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার আশপাশে বাস করে। কারণ এসব অঞ্চল এদের জন্য কমফোর্টেবল। এদের বেঁচে থাকার জন্য অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও উষ্ণতা প্রয়োজন, যা শুধু এসব এলাকাগুলোতেই পাওয়া যায়। জার্মানের পতঙ্গ বিজ্ঞানী ওলরিশ বলেন, পিঁপড়া আগাম বিপদসংকেত বুঝতে পারে এবং নিজেদের বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। তবে ওলরিশের দাবি শুধু লালচে বিশেষ শ্রেণির নারী পিঁপড়াই এমনটি করতে পারে। প্রযুক্তির রাজধানীখ্যাত জাপান এবং জার্মানি সব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েও যখন ভূমিকম্প রোধে সফল হলো না, তখন তারা প্রকৃতির দারস্থ হলো। জার্মান বিজ্ঞানীরা ২ বছর ধরে অনবরত ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে পিঁপড়ার গতিবিধি লক্ষ করেন। তারা দেখেন, ভূমিকম্পের ঠিক আগ মুহূর্তেই পিঁপড়াদের অস্থিরতা লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যায়। পাল্টে যায় তাদের গতিবিধিও।
ant,ant colony,ant nest,ant farm,survival,ant habitat,queen ant,ants,ant survive the night,ant keeping,ant problem,ant farm survival ep 1,ant farm survival,insects,minecraft ant farm survival ep 1,minecraft ant farm survival,nature,ant man,science,ant strategy game,minecraft ant farm survival - ep. 1 - trapped under glass,minecraft survival map,survival maps,ant bite,giant ant,minecraft survival,ant queen
পিঁপড়ার বাসা
পিঁপড়ার জীবন চক্র
পিঁপড়ার বৈজ্ঞানিক নাম
বিষ পিঁপড়া
পিঁপড়ার পা কয়টি
পিঁপড়া সম্পর্কে অজানা তথ্য
পিঁপড়া সম্পর্কে তথ্য
পিঁপড়ার জীবনকাল
📢📢 সেরা ৫টি ভয়ংকর সাপ 👉 • চোখ ধাঁধানো৫টি সাপ। দেখুন ভিডিওটি || Top ...
📢📢 পরমাণু বেমায় শীর্ষ ৯ দেশ 👉 • পরমণু বোমায় শীর্ষ ৯টি দেশ || Top 9 country...
📢📢তহলে কি কোন পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া পাশ HSC পরীক্ষার্থীরা? 👉 • তাহলে কি কোন পরীক্ষা ছাড়া পাশ HSC পরীক্ষা?...
Информация по комментариям в разработке