Скачать или смотреть Part 2 || কেচুনিয়া গ্রামের চৈত্র মাসের গাজন উৎসব || শ্রী শ্রী কাঞ্চনেশ্বর || the RJ creation

গাজন উৎসব:
গাজন উৎসব ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশে উদযাপিত একটি হিন্দুধর্মীয় লোকউৎসব। এই উৎসব শিব, নীল, মনসা ও ধর্মঠাকুরের পূজাকেন্দ্রিক উৎসব। মালদহে গাজনের নাম গম্ভীরা এবং জলপাইগুড়িতে গমীরা। চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে সন্ন্যাসী বা ভক্তদের মাধ্যমে শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজার সঙ্গে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। ধর্মের গাজন সাধারণত বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে পালিত হয়। চৈত্রমাস ছাড়া বছরের অন্যসময় শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হলে তাকে হুজুগে গাজন বলা হয়। গাজন সাধারণত তিনদিন ধরে চলে। এই উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মেলা।

সোনারুন্দি বনওয়ারীবাদ রাজবাড়ি:
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার একদম দক্ষিণ প্রান্তের একটি গ্রাম হলো সোনারুন্দি। কাটোয়া.. আজিমগঞ্জ লাইনে সালার স্টেশন এ নেমে ১০ কিমি পশ্চিমে গেলেই চোখে পড়বে সোনারুন্দি রাজবাড়ি চত্বর।
প্রাচীন বঙ্গদেশে দন্ডী ছিল বণিক ও কায়স্থদের উপাধি। দন্ডী উপাধিধারী বণিকরা এই এলাকায় বসবাস করত ও এক একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছিল। তামা, লোহা, ও সোনার বণিকরা নিজ উপাধি অনুসারে তিনটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছিল।স্বর্নবনিকরা এইভাবে সোনারুন্দি গ্রাম এর প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে মনে করা হয়।এই এলাকায় তাঁতীদের বাস এ বেশি এবং তাঁত বস্ত্রজাত কাপড়ের সুনাম ও খুব প্রাচীন। চৈতন্য পরবর্তী যুগে এই গ্রাম এর তাঁতীরা বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হয়।

উদ্ধারণপুরের ঘাট:
উদ্ধরণপুরে অনেক উৎসব হয়। উদ্ধরণপুরের বার্ষিক মেলা খুবই জনপ্রিয়। মেলায় যোগ দিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসছেন। মেলার মঠে উদ্ধরণপুর বাজারের পাশে জানুয়ারি মাসে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সাধক ঔপন্যাসিক কালীকানন্দ অবধুতা (১৯১০ - ১৯৭৮) ভাগীরথী নদীর ধারে উদ্ধরণপুরের জ্বলন্ত ঘাটে বাস করতেন। তিনি এই গ্রামের জীবন অবলম্বনে উদ্ধরনপুরের ঘাট নামে একটি উপন্যাস লিখেছেন।