Скачать или смотреть ডেঙ্গু জ্বরের সাথে প্লেটলেট কমে যাওয়ার কি সম্পর্ক | Dengue Platelet Count | Platelet Kom Hole Hi Hoy

ডেঙ্গু জ্বরের সাথে প্লেটলেট কমে যাওয়ার কি সম্পর্ক

ডা. অখিল রঞ্জন বিশ্বাস
এএমবিবিএস, এফসিপিএস (হেমাটোলজি)
আইএইচটিসি ফেলো (সিএমসি, ভেলোর)
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
হেমাটোলজি বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

চেম্বার :
বিআরবি হসপিটাল লিমিটেড
৭৭/এ, পান্থপথ, ঢাকা ১২১৫
সিরিয়ালের জন্য: 10647

সৌজন্যে - Renata PLC

ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাল রোগ যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রোগীদের মধ্যে একটি সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো রক্তের প্লেটলেট (অণুচক্রিকা) কমে যাওয়া। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা ১.৫০ লাখ থেকে ৪.৫০ লাখ পর্যন্ত থাকে। ডেঙ্গু সংক্রমণের ফলে এই সংখ্যা দ্রুত কমতে পারে, যা থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া নামে পরিচিত।

*প্লেটলেট কমার কারণ:*

ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর প্রধানত তিনটি কারণে প্লেটলেট কমে যায়:

*অস্থিমজ্জার ক্ষতি:* ডেঙ্গু ভাইরাস অস্থিমজ্জাকে (যেখানে প্লেটলেট তৈরি হয়) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, ফলে প্লেটলেট উৎপাদন কমে যায়।
*প্লেটলেটের ধ্বংস:* ভাইরাস সরাসরি রক্তে থাকা প্লেটলেটগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় করে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।
*ইমিউন প্রতিক্রিয়া:* ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উত্তেজিত করে, যার ফলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডিগুলো ভুলবশত সুস্থ প্লেটলেটগুলোকেও আক্রমণ করে ধ্বংস করে।

*জটিলতা:*

প্লেটলেট কমে যাওয়ার প্রধান ঝুঁকি হলো রক্তক্ষরণ। প্লেটলেট রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে, তাই এর সংখ্যা কমে গেলে ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ (ছোট ছোট লাল বা বেগুনি ছোপ), নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত, প্রস্রাব বা মলের সাথে রক্ত, এবং গুরুতর ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ (যেমন মস্তিষ্কে বা পেটে) হতে পারে।

তবে, এটা মনে রাখা জরুরি যে, শুধু প্লেটলেট কমে যাওয়া মানেই ডেঙ্গু শক সিনড্রোম নয়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে প্লেটলেট কমার পাশাপাশি রক্তনালী থেকে প্লাজমা লিক করে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়, যা অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দেয় এবং এটিই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর প্রধান কারণ।

ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণত তৃতীয় থেকে সপ্তম দিনের মধ্যে প্লেটলেট কমতে শুরু করে এবং অষ্টম বা নবম দিনের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হতে থাকে। প্লেটলেট খুব বেশি কমে গেলে (বিশেষ করে ২০,০০০ এর নিচে নামলে অথবা রক্তক্ষরণের লক্ষণ দেখা দিলে) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্ষেত্রবিশেষে প্লেটলেট ট্রান্সফিউশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে প্লাটিলেট ট্রান্সফিউশন ছাড়াই প্লেটলেট স্বাভাবিক হয়ে আসে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Disclaimer
This channel is for informational purposes only. It is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, or treatment. Always seek the advice of your doctor with any questions you may have regarding a medical condition or health problems. Reliance on any information provided on this channel is solely at your own risk.