সাঁওতাল বিদ্রোহ | সাঁতাল হুল | কেমন আছেন দিনাজপুরের সাঁওতালরা | সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ | উত্তরবঙ্গ

Описание к видео সাঁওতাল বিদ্রোহ | সাঁতাল হুল | কেমন আছেন দিনাজপুরের সাঁওতালরা | সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ | উত্তরবঙ্গ

দিনাজপুর শহর থেকে কান্তজিউ মন্দিরের দিকে যেতে চোখে পড়বে সাঁওতাল বিদ্রোহ'র স্মারক ভাস্কর্য।
সড়কদ্বীপে তীর ও ধনুক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন সিধু ও কানু। এরা দুই ভাই। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের।
সাঁওতালরা পরিশ্রমি জাতি। জঙ্গল পরিষ্কার করে আবাদ করতেন তারা। যিনি যতটুকু জমি পরিষ্কার করতেন, ততটুকু জমি তার হতো। কিন্তু ১৭৯৩ সালে চীরস্থায়ী বন্দোবস্ত হওয়ায় জমিগুলো চলে যায় জমিদারদের দখলে। এরপর তাদের ওপর নেমে আসতে থাকে নীপিড়ন।
সাঁওতালদের মধ্যে দানা বাঁধতে থাকে ক্ষোভ।
সিধু, কানু, চাঁদ আর ভৈরবরা ছিলেন চারভাই। এরা সাঁওতালদের অধিকার নিয়ে সরব হন। জমিদার ও মহাজনেরা এই পরিবারটিকে বিপদে ফেলতে চায়। লুটের শিকার হন সিধু আর কানুরা।
সর্বশান্ত হয়ে তীর ও ধনুক নিয়ে বিপ্লব গড়ে তুলেন তারা। এতে দলে দলে যোগ দিতে থাকেন সাঁওতালরা। তারা বিশ্বাস করতে থাকেন সিধু ও কানুর ওপর দেবতা 'মারাং বুরু'র আশীর্বাদ রয়েছে।
১৮৫৫ সালের ৩০শে জুন। ইংরেজ শাসন, জমিদার ও নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠে আগুন। তীর ও ধনুক নিয়ে আধুনিক বন্দুক-কামানের মুখোমুখি হয় সাঁওতালরা। কেঁপে উঠে বৃটিশ শাসন।
তবে ইংরেজ বাহিনীর সাথে পেরে না উঠে দলে দলে সাঁওতাল মারা যেতে থাকে। এই আন্দোলনে মৃত্যু হয় সিধু ও কানুদের। এর বিনিময়ে সাঁওতালরা ফিরে পায় হারানো অধিকার।

প্রতিবেদন
কাদের বাবু

চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনা
আনন্দ সরকার

আমাদের ফেসবুক পেজ
https://www.facebook.com/profile.php?...

যোগাযোগ
২/২ সি, পুরানা পল্টন
ঢাকা
01715331098

Комментарии

Информация по комментариям в разработке