বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে ভাতের পাতে নিম বেগুন বহু মানুষের একটা প্রিয় আইটেম, তাছাড়া লক্ষ কোটি মানুষ ঔষধী গুণে ভরপুর নিম পাতা নিয়মিত রূপে খেয়ে থাকেন কিন্তু অসাধারণ ভেষজ ঔষধি গুণে ভরপুর এই নিম পাতার কয়েকটি ভয়ানক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে, কিভাবে নিম পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে সক্ষম এবং ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিম পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি? এইসব সম্পর্কে জানার জন্য ভিডিওটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত দেখুন, ভিডিওটিতে একটি লাইক করতে ভুলবেন না এবং আমার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি প্রেস করে দিন।
SUBSCRIBE
↓
#সমস্যাওসমাধানেরবৈজ্ঞানিকউপায়
ভুল নিয়মে নিম পাতা খাওয়ার ভয়ানক পরিণতি:- 👇
নিম একটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী ভেষজ গুণে ভরপুর ঔষধি, যা সঠিক নিয়মে না খেলে উপকারের বদলে ভয়ঙ্কর ক্ষতি ঘটাতে সক্ষম।
১:- পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের কখনোই নিম পাতা দেওয়া উচিত নয়। এই বয়সের শিশুরা নিম পাতা খেলে বমি ভাব, শারীরিক দুর্বলতা, মস্তিষ্কের ব্যাধি এবং স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
২:- পিরিয়ড চলাকালীন নিমপাতা খাওয়া কখনই উচিত নয়, কারণ নিমপাতা একটি ব্লাড থিনিং এজেন্ট রূপে কাজ করে, পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিং ঘটাতে পারে।
৩:- সন্তান নিতে ইচ্ছুক নারী এবং পুরুষদের অতিরিক্ত নিমপাতা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ নিম পাতা একটি নন প্রেগনেন্সি ট্যাবলেটের মতো জন্মনিরোধক উপাদান রূপে কাজ করে, পুরুষ দেহে টেস্টোস্টেরন এবং নারীদেহে প্রোজেস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়, যার ফলে পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা স্থায়ীভাবে কমে যেতে পারে এবং নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতা চিরকালের মতো লোপ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে নারী-পুরুষ উভয়েই স্থায়ী বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারে।
৪:- যে সব ব্যক্তিরা অটোইমিউন ডিজিজের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়। কারণ নিম পাতা ইমিউনিটি সিস্টেমকে অতিরিক্ত সক্রিয় করে, সমস্যা গুলোকে আরো বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম।
৫:- গর্ভবতী মহিলাদের কখনোই নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় নিম পাতা খেলে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি ঘটতে পারে, অসময়ে হঠাৎ প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার ফলে অতিরিক্ত ব্লিডিং হতে পারে এবং গর্ভপাত ঘটতে পারে।
৬:- নিমপাতা অত্যন্ত দ্রুত হারে রক্তচাপ কমাতে সক্ষম, তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিরা নিমপাতা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৭:- অতিরিক্ত নিমপাতা খাওয়ার অভ্যাস, কিডনির গঠনগত এবং কার্যগত একক নেফ্রনের চরম ক্ষতি সাধন করে কিডনি ফেইলিওর ঘটাতে পারে।
৮:- অতিরিক্ত নিম পাতা খেলে লিভারে অরনিথন চক্র এবং রেচনের কাজ ব্যাহত হয়, যার ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন গুলো বের হতে পারে না।
৯:- বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ এবং ব্লাড থিনিং ট্যাবলেট খাওয়া কালীন নিমপাতার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে।
১০:- কারো কারো ক্ষেত্রে নিম বেগুন একত্রে খেলে শরীরে ভয়ঙ্কর অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
১১:- নিমপাতা অত্যন্ত দ্রুত রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে সক্ষম। তাই নিয়মিত নিম পাতা খেলে, রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা ভয়ানক ভাবে কমে যেতে পারে, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
১২:- প্রসূতি এবং দুগ্ধবতী মায়েদের কখনোই নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়, কারণ শিশুর জন্মের পর মায়েদের বেশ কয়েকটা সপ্তাহ বা কয়েকটা মাস পিরিয়ড হওয়া বন্ধ থাকে কিন্তু নিম পাতা খেলে, হঠাৎ করে পিরিয়ড শুরু হয়ে যেতে পারে, যার ফলে প্রসূতি মা স্থায়ী শারীরিক দুর্বলতায় ভুগতে পারেন এবং নিমের প্রভাব স্তন দুগ্ধের মাধ্যমে শিশুর দেহে প্রবেশ করে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও ঘটাতে পারে।
১৩:- অর্গান ট্রানস্প্লান্ট, যেমন কিডনি বা লিভার প্রতিস্থাপন হলে, নিমপাতা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
তাই বন্ধুগণ প্রতি সপ্তাহে তিন দিনের বেশি এবং ২ টোর বেশি নিমপাতা কখনোই খাবেন না।
ভিডিওটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন, ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং এই ধরনের আরও টিপস্ পাওয়ার জন্য আমার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন। ধন্যবাদ 😊🙏
#নিমপাতারঅপকারিতা #নিমপাতারক্ষতিকরদিক #নিমপাতাখেলেকিহয় #নিমপাতারপার্শ্বপ্রতিক্রিয়া #নিমপাতাখাওয়ারভয়ানকপরিণতি
Music Credit:- Music Info: Long Calming Piano Background by DS Productions Music Link: • Long Calming Piano Background - Music...
PICS & VIDEO CREDITS:- @PIXABAY @সমস্যাওসমাধানেরবৈজ্ঞানিকউপায়
Please Note:- "No Copyright Infringement Is Intended."
Disclaimer:- "Always Consult Your Doctor Before Applying Any Remedies Or Using Any Medicine Or Starting Any Special Diet."
Disclaimer:- "Copyright Disclaimer under Section 107 of the copyright act 1976, allowance is made for fair use for purposes such as criticism, comment, news reporting, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favour of fair use."
Информация по комментариям в разработке