বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ পদ্ধতি সঠিক পদ্ধতিতে বল সুন্দরী ও আপেল কুল চাষে বিস্ময়কর সাফল্য।

Описание к видео বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ পদ্ধতি সঠিক পদ্ধতিতে বল সুন্দরী ও আপেল কুল চাষে বিস্ময়কর সাফল্য।

বল সুন্দরী কুল ও কাশ্মীরি আপেল কুলঃ
কাশ্মিরী আপেল কুল ও বল সুন্দরী কুল বর্তমানে একটি অতি লাভজনক ফসল, অতীতে দেশে অনেক ধরনের কুল চাষ হলেও কাশ্মীরী আপেলকুল ও বল সুন্দরী কুল বর্তমানে বাংলাদেশে নতুন। প্রচলিত আপেল ও বাউ কুল এর থেকে আকারে ও সৌন্দয্যে বেশ সুন্দর সাইজ এই কুল। যারা বিভিন্ন ফল ফসল চাষ করে বারবার লসের মুখ ই দেখছেন তারা এই কুল চাষ করে লাভবান হতে পারেন। কুল খুবই লাভজনক ও কম ঝুঁকিপূর্ন ফসল।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে অনেক জাত ও স্বাদের কুল চোখে পড়ে,তবে সচরাচর যে কুলগুলো চাষ হয়ে থাকে সে গুলো হলো নারিকেলি কুল, আপেল কুল, (ইপসা কুল-১),নতুন জাত সীড লেস কুল, বারি কুল-১ ও২, তাইয়ান কুল, থাই কুল, বাউকুল-১।
তবে বর্তমানে আলোড়ন সৃষ্টিকারী জাত হলো – কাশ্মিরি আপেল কুল, বল সুন্দরী কুল ও সিডলেস কুল
জাতটির প্রধান বৈশিস্ট্য হলোঃ
ফলের গড় ওজন প্রায়, ১০০ গ্রাম
বীজ ছোট। গড় ওজন ৩-৫ গ্রামের এবং ভক্ষণযোগ্য অংশেরপরিমান ৯৫- ৯৭ ভাগ
ফল ডিম্বাকার, দৈর্ঘ্যে ৫-৭ সেমিঃ এবং ব্যাস ৫-৬ সেমিঃ পর্যন্তহয়ে থাকে।
প্রতি থোকায় ২-৭ টি পর্যন্ত ফল ধরে,
পাকা ফলের মিষ্টতাঅনান্য সকল কুল অপেক্ষা বেশী।
এসব কুল একটি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং বাগানে , বাড়ির ছাদেমাটির টব / অর্ধ ড্রামে সহজেই চাষ করা যায়।
এই কুল টেবিল ফ্রুট (Table Fruit) হিসেবে আপেলের পরিবর্তে খাওয়া যায়।
দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রং আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল।
দেখতে অনেক আর্কষনীয় হয় এবং পাকা কুল অনেকদিন সংরক্ষণকরা যায়।
জলবায়ু মাটি ও রোপণ পদ্ধতিঃ
কুল গাছ অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু। শুস্ক ও উষ্ণজলবাযূ কুল চাষের জন্য উত্তম । অতিরিক্ত আাদ্রতা কুল চাষের জন্যেভাল নয়। গভীর দে-আঁশ বা উর্বর মাটি কুল চাষের জন্যে উপযোগী।সাধারণত: জমি ভালভাবে চাষ দিয়ে আগাছা পরিস্কার করে বেড তৈরী করেনিতে হবে।
সাধারনত ৫ হাত দুরত্বে, ৬০-৮০ সে.মি. গর্ততৈরী করে কুলের চারা রোপন করতে হবে। সাধারণত: বাণিজ্যিক আকারে বাগানের জন্য জানুয়ারী থেকে মার্চ এর মধ্যে চারা রোপনের উপযুক্ত সময়, টবে সারাবছর ই লাগানো যায়।
সার ও পানি ব্যবস্থাপনা
সাধারণত: মাদাতে চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পূর্বে মাদা প্রতি ২০-২৫কেজি পঁচা গোবর, ২০০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম পটাশ, ৩০০ গ্রামইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ ও নিকাশঃ
প্রতিবার সার প্রয়োগের পর প্রয়োজনীয় রস সরবরাহের জন্য সেচ দিতে হবে। এছাড়াও বর্ষাকালে পানি নিকাশ ও খরা মৌসুমে নিয়ামিত সেচ প্রদান করতে হবে। তবে ফল ধরার পর সেচের অভাব হলে ফল ঝরে যাওয়ার প্রবনতা বেড়ে যায় তাই এ সময় সেচের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে।
পোকা ও রোগঃ কুলে রোগাক্রান্তের পরিমান খুবই কম তবে মাঝে মাঝে ছত্রাকের আক্রমন হয় সঠিক ছত্রাক নাশক স্প্রে করলে ছত্রাক ও রোগ কমে যায়।
সাধারনত গাছে পাতা খেকো পোকা ,মাকড়, জাব,ফলের মাছি পোকা ইত্যাদি পোকার আক্রমন হয়।
এই পোকা দমনে সঠিক সময়ে অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করলে পোকার আক্রমন কম হয় ।
ফল সংগ্রহঃ গাছের ফল পেকে গেলে বা মিষ্ট ভাব আসলে ফল পেড়ে ফলতে হবে। পরিপূর্ন বা পরিপুষ্ঠ না হলে ফল পাড়া যাবেনা ।।
এই কুল চাষ করে বেকারত্ব দুর করা সম্ভব।
ধন্যবাদ🥀

Комментарии

Информация по комментариям в разработке