Скачать или смотреть দঃ বাংলার সুন্দরতম মসজিদ, মন ভরে যাবে দেখে, আসুন বরিশালে: Stunning beauty of a mosque, BARISAL

ওয়াজ শুনে আমিই হিন্দু প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢিল ছুঁড়েছিলাম।
---------------------------------------------------------------------------------
প্রিয় বন্ধুরা, আমি অবশ্যি একজন মুসলমান এবং আল্লাহ ও তার রসুলে (দঃ) বিশ্বাসী। তবুও দুঃখের সাথে বলতে হয় - আপ্রাণ চেষ্টা করে ভালো করার পরেও আমার ভিডিও পোস্টে যারা গালি দিয়ে মন্তব্য লিখবে আপনি চোখমুদে ধরে নেবেন তারা সকলেই 'বজ্জাত মুসলমান' এবং 'বিশ্ব-সন্ত্রাসী-মুসলমান', যদি আমার কথা মিথ্যা হয় তা প্রমান করুন। প্রমান দানকারীর জন্যে ৫০ ডলার মূল্যমানের বিশেষ অস্ট্রেলিয়ান পুরস্কার থাকবে। বর্বর ও অশিক্ষিত জানোয়ার-জঙ্গি মুসমানদের ধরুন, পুরস্কার দিবো, কথা দিলাম। (Winner must provide his/her address and contact detail.) আমি নিশ্চিত যে আমার ভিডিওতে গালি দানকারী গালিবাজ ব্যাক্তি একজন জিন্দা 'মুসলিম-কাফের', যাদের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা আজ দেশহারা। আর যে অসহায় অমুসলিমরা আজো দেশের ভেতরে আছে তারাও দিশেহারা। বাংলাদেশের সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা এই জঙ্গীদের কারণে।

Saddamhossain Khuka@না বন্ধু, আমি কখনো আর ওয়াজ শুনি না, আর জাকির নায়ককে শুনতেও চাইনা, শুনি না। তার চে বরং আমি গত কয়েকবছর ধরে ভারতের বর্তমানের একজন বিখ্যাত হিন্দু সাধক ও মনীষী 'ইসকন'এর শ্রী গৌর গোপাল প্রভুর 'ওয়াজ' শুনি, যিনি মানবতার কথা বলেন, যার কথাতে আমি শান্তির বাণী শুনতে পাই। আমাদের নবী মোহাম্মদ (সঃ) যদি জীবিত থাকতেন তাহলে তিনিও এই হিন্দু সাধককে ভালোবাসতেন, কারণ আমাদের নবী মানবতা ও শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। বর্তমানের হুজুরদের ওয়াজ শুনলে আমার রক্ত গরম হয়ে যায় এবং পৃথিবীর সকল অমুসলিমদেরকে ঘৃণা অথবা তাদের হত্যা করতে আমার মন চায়। আমি ওয়াজে তাবৎ বিশ্বের সকল অমুসলিমদেরকে অমানুষ হিসেবে ভাবতে শিখি, যা আমি চাই না। ১৯৮৩ সনে একবার কয়েকজন বন্ধু সহ আমাদের এলাকায় একজন হুজুরের ওয়াজ শুনে মধ্যরাতে বাড়ী ফেরার পথে আমার বন্ধুরা মিলে একটি প্রতিবেশী হিন্দু বাড়ীতে ঘেন্নায় ঢিল ছুঁড়ে ওদের সন্ত্রস্ত করেছিলাম। হুজুরের ওয়াজ আমাদেরকে প্রভাবিত করেছিলো হিন্দুদেরকে 'মানুষ' বলে গণ্য না করার জন্যে এবং তাদেরকে ঘেন্না করার জন্যে। ঘটনাটি আজো আমার মনে আছে তাই আমি নিজে এবং আমার পরবর্তী বংশ পরম্পরা কেউ যেন জীবনে কক্ষনো কোনো বাংলাদেশী অথবা কোনো সন্ত্রাসী মুসলিম হুজুরের ওয়াজ না শুনে সেটা ওদের ওসিয়ত করে গেছি। আমি মানুষ ও মানবতাকে ভালোবাসতে চাই, আমি নবী মোহাম্মদের (সঃ) শান্তির দর্শনে বিশ্বাসী। তাই আমি ওয়াজ শুনতে চাই না। লক্ষ্য করুন আমার এই মন্তব্যের পর কোন মুসলিমরা কি মন্তব্য করে। তাহলে বুঝবেন আজ ইসলাম কোথায়। ধন্যবাদ (আপনি আমাকে আর লিখবেন না,প্লীজ। ভালো থাকুন)

দুর্ভাগ্য আমরা আমাদের নষ্ট ও সন্ত্রাসী আচরণের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবী করিম (সঃ)কে আজ সারা বিশ্বের কাছে 'ঐতিহাসিক-সন্ত্রাসী' এবং 'শিশু-ধর্ষক' (নাউযুবিল্লাহ) হিসেবে অপ-পরিচিত করে ফেলছি। আমাদের ব্যাভিচারী ও সন্ত্রাসী আচরণ ও মধ্যযুগী কুসংস্কারকে পূঁজি করে আজ তথাকথিত আধুনিক বিশ্ব এবং নাস্তিকরা আমাদেরকে ঘৃণা করছে। মুসলমান বলে পরিচয় পেলে এখন কেউ পাশে বসতে চায় না, বিদেশে (অমুসলিম দেশে) সহজে বাসা ভাড়া পাওয়া যায় না। সর্বোপরী 'বাংলাদেশের মুসলিম' শুনলে বেশিরভাগ বিদেশী শিক্ষিত মানুষ এখন নাক সিটকায় এবং কথা বলতে চায় না। আমাদের এই ভোগান্তির জন্যে আজ কারা দায়ী? আমরা সাধারণ ও শান্তি প্রিয় মুসলিম হয়েও আজ কাদের পাপের কারণে, কাদের আচরণে, কাদের জঙ্গি-ভঙ্গির মূল্য পরিশোধ করছি? আমরা সাধারণ মুসলিমরা অর্থাৎ যারা সত্যিকারের উম্মতে মোহাম্মদ (সঃ) তারা কেন আজ বহির্বিশ্বে অবহেলিত হবো, নিগৃহীত হবো? সাধারণ মুসলমান হয়ে কি আমাদের মান সন্মান নিয়ে বাঁচার অধিকার নেই? সন্ত্রাসী ও গালিদেয়া (গালিবাজ) এবং 'বেজন্মা' মুসলমানদের জন্যে আমাদেরকে কি এইভাবে মাথানত হয়ে থাকতে হবে? বেজন্মা ও আধুনিক-জঙ্গি মুসলমানদের জন্যে আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ) আর কতকাল গালি এবং ব্যাভিচারীর (নাউযুবিল্লাহ) অপবাদ শুনবে? শান্তিপ্রিয় বিশ্ব-মুসলিম উম্মাহরা আজ একসারিতে আসুন এবং রুখে দাঁড়ান সেই সন্ত্রাসী ও (৭০%) মুসলিম নামের জঙ্গি, বর্বর ও 'জিন্দা কাফের'দেব বিরুদ্ধে। -আমীন।