Скачать или смотреть উম্মতে মুহাম্মদিকে আল্লাহ কতটুকু সম্মান দিয়েছেন শুনুন।ড.আহমদ শাহান চৌধুরি ফুলতলি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

উম্মতে মুহাম্মদিকে আল্লাহ কতটুকু সম্মান দিয়েছেন? শুনুন।ড.আহমদ শাহান চৌধুরি ফুলতলি,সহকারী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আমার নবী(স.) এর উম্মত হওয়ার জন্য আগের অনেক নবীরা পাগল ছিলেন।জলিলুল কদর নবী মুসা(আ.) আমার নবী(স.) এর উম্মত হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছিলেন।আল্লাহ ও আমাদের নবী(স.) জন্য আমাদেরকে সকল নবীর উম্মত থেকে আলাদা বিশেষ ৫টি গুন দিয়েছেন। এজন্য আমরা কবিতা আকারে যা বলি
নবী না হয়ে দুনিয়ার, ফেরেশতা না হয়ে খোদার উম্মত হয়েছি আপনার, সেই তরে শুকুর লাখো বার।কথাটা ঠিক আছে।গুনগুলো হল

১. মুসা(আ.) তার তাওরাতের মধ্যে দেখলেন একটা কওমের কথা যাদের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য।যারা দুয়া করলেই আপনি কবুল করেন(সুবহানআল্লাহ)। আমার উম্মতকে সেই উম্মত বানাইয়া দেন।আল্লাহ বললেন এটা উম্মতে মুহাম্মদির বৈশিষ্ট্য।

২.মুসা (আ.) বললেন আল্লাহ এমন একটা উম্মত দেখলাম যারা যখন কোন নেকির কাজের নিয়ত করে সাথে সাথে তার আমল নামায় ১টি নেকি লিখে দেওয়া হয় আর যদি নেকি করে তাহলে ১০টি নেকি দেওয়া হয়(সুবহানআল্লাহ)। আল্লাহ বললেন এটাও তো উম্মতে মুহাম্মদির।

৩. মুসা (আ.) বললেন আল্লাহ তাওরাতে দেখলাম আমি একটা উম্মতের কথা যারা দুনিয়ার যেকোন জায়গায় ইবাদতের জন্য নামাজের জন্য দাঁড়াইয়া যেতে পারে আমার উম্মতকে সেই উম্মত বানাইয়া দেন। আল্লাহ বললেন এটা ও তো উম্মতে মুহাম্মদির জন্য। এ উম্মতের জন্য দুনিয়ার সকল জায়গাকে আল্লাহ পবিত্র করে দিয়েছেন ইবাদতের জন্য।অন্য নবীর উম্মতরা প্রথম সেজদা যেখানে দিতো সেখানেই সব সময় ইবাদত করতে হতো।অর্থাৎ মসজিদ /প্যাগোডা যাই বলেন তারা এখানে না আসলে এর বাহিরে ইবাদত হতো না। কিন্তু আমরা মসজিদে, জমিনে,গাড়িতে বাড়িতে, রাস্তায় হাটে,গাটে যেখানেই বলেন সব জায়গাটাই আমাদের জন্য ইবাদতখানা।

৪. মুসা (আ.) বলেন আল্লাহ তাওরাতে দেখলাম এমন একটা উম্মতের কথা যারা গনিমতের মাল খেতে পারে। আগের যুগে কোরবানির গোশত মানুষ খেতে পারত না এটা এক জায়গায় এনে রেখে দেওয়া হতো আল্লাহর পক্ষ থেকে আগুন এসে এটাকে জালিয়ে
দিত।যার কোরবানি উপর থেকে আগুন এসে জালিয়ে দিয়েছে তার কোরবানিটা কবুল হয়েছে বলে ধরা হতো।কিন্তু আমরা কোরবানি দেই আল্লাহর নামে এবং এর গোশতও আমরা খেতে পারি।তিনি অনেক আবদার করলেন আল্লাহ আমার উম্মতকে এই উম্মত বানিয়ে দেন।তিনি দেখলেন সকল বৈশিষ্ট্য উম্মতে মুহাম্মদির মুসা(আ.) এর মতো জলিলুল কদর নবী বললেন আল্লাহ তাইলে আমাকে উম্মতে মুহাম্মদি বানাইয়া দাও(সুবহানআল্লাহ)।তখন আল্লাহ বললেন ইয়া মুসা আমি তোমাকে যেটা দিয়েছি আমি তোমাকে রিসালাত দিয়েছি,তোমার সাথে কথা বলেছি আমি যেটা দিয়েছি এটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো।শুকরিয়া আদায় করো।মুসা(আ.) রাজি হলেন।
আমরা নবীর উম্মত হয়ে সব চেয়ে বেশি সম্মানিত হয়েছি। যেমন আমরা এসেছি সবার পরে কিন্তু জান্নাতে যাবো সবার আগে।কেনো এই উম্মতকে আল্লাহ সম্মান দিয়েছেন এর যুক্তি হচ্ছে সকল নবীর কলিমা হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।তাদের উম্মতের কলিমা হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদম সুফিউল্লাহ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুসা কালিমুল্ললাহ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ঈসা রুহুল্লাহ।আর অন্যান্য নবীদের কালিমা হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ আপনার আমার কলিমাটাও হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ(স.)।কালিমার বিবেচনায় ইমানের বিবেচনায় আমরা সকল উম্মত থেকে দামি উম্মত।এজন্য আমরা সবার আগে জান্নাতে যাবো।আল্লাহ আমাদের উনার হাবীবের উম্মত বানিয়েছেন এজন্য শুকরিয়া জানাই আলহামদুলিল্লাহ।আল্লাহ তালা আমাদেরকে উনার হাবিবের উম্মত বানিয়ে আমরা কি পেয়েছি কি বৈশিষ্ট্য দিয়েছেন? কি মর্যাদা দিয়েছেন?

৫. আমরা গুনাহ করলে তওবার বিধান কেউ যদি পাপ করে তওবা করে লজ্জিত হয়ে যায় এটি হচ্ছে তওবা।একজন যদি গুনাহের কাজ করে মনের গভীর থেকে লজ্জিত হয়ে যায় তাহলে এটা তার জন্য তওবা ।তওবা হচ্ছে লজ্জিত হওয়া।আর বনী ঈসরাইলের তওবা ছিলো তোমরা একে অপরকে হত্যা করো কিংবা নিজে নিজেকে হত্যা করে তওবা করতে হয়েছে তাদেরকে। তাহলে আপনার জন্য তওবাটা সহজ করা হয়েছে কিনা? তওবা ইস্তেগফার যেটা এটার মধ্যে আল্লাহ সবকিছু রেখে দিয়েছেন।


আমাদের সাথে থাকুন
Fb group:-   / 600416530502954  

Fb page:- https://m.facebook.com/story.php?stor...