জগদল রাজবাড়ি, রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও I Jagdol Rajbari, Ranishankail Thakurgaon

Описание к видео জগদল রাজবাড়ি, রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও I Jagdol Rajbari, Ranishankail Thakurgaon

বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের অন্যতম একটি অংশ প্রাচীন রাজবাড়ি! বাংলার প্রায় প্রতিটি জেলা শহরেই বিভিন্ন সময়ের রাজাদের নিদর্শন সম্বলিত রাজাবাড়ি গুলো এখন স্বগৌরবে দাড়িয়ে আছে! এদের মধ্য অন্যতম হলো জগদল রাজবাড়ি!

জগদল রাজবাড়ি, ঠাকুরগাঁও য়ের এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি
দেশের উত্তরবঙ্গস্থ জেলা ঠাকুরগাঁও-এর পরিত্যক্ত 'জগদল রাজবাড়ি' এখন প্রায় ধ্বংসাবশেষ। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা এখনও করে যাচ্ছে এই প্রাচীন রাজবাড়িটি। মূল শহর থেকে এটি বেশ ভেতরে অবস্থিত। রাজবাড়ি যেতে হলে পাকা ও কাঁচা দুই ধরনের রাস্তাই পাড়ি দিতে হবে। প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর থেকে নেকমরদ যেতে হবে। পাড়ি দিতে হবে ৯ কিলোমিটার রাস্তা। এরপর নেকমরদ থেকে বটতলী যেতে অতিক্রম করতে হবে ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা। পরবর্তীতে যেতে হবে বটতলী থেকে কাশিপুর। কাশিপুর থেকে কাঁচা রাস্তায় ৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলে দেখা মিলবে 'জগদল রাজবাড়ির'। এই রাজবাড়ির দুই দিকে বয়ে গেছে দুইটি নদী-নাগর ও তীরনই। জগদলের রাজকুমার ছিলেন শ্রী বীরেন্দ্র নাথ চৌধুরী। তিনি রাজবাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ধারণা করা হয়। রাজবাড়িটি প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো। পুরো বাড়িটি ইট, সুরকি ও রড দিয়ে বানানো। দালানের পলেস্তারা উঠে এখন ইটগুলো সব বেরিয়ে গেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত এই রাজবাড়ির মাত্র একটি দালান এখনও টিকে আছে কোনোমতে। বাকিগুলো পুরোপুরি ভেঙ্গে গিয়েছে টিকে থাকা একতলা দালানটি বেশ বড়। দালানের সামনে দাঁড়ালে চোখে পড়ে পাশাপাশি দাঁড়ানো বেশ কয়েকটি কলাম।কলামগুলো ছাদকে যেন টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে এখনও। ঘরের সামনে রয়েছে বারান্দা। বারান্দার ছাদের একদিকে ভেঙ্গে গেছে। দালানে খিলান আকৃতির কয়েকটি প্রবেশপথ রয়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথের দু-পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি কলাম। রাজবাড়ির ঘরের ভেতরের ছাদ বিম দিয়ে তৈরি। জগদল রাজবাড়ির চারপাশ নানারকম গাছ গাছালিতে ভরা। রাজবাড়ির বেশিরভাগ অংশই এখন ধ্বংসস্তূপ। অনেক দালানের ছাদ ভেঙ্গে শুধুমাত্র ইটগুলোদাঁড়িয়ে আছে। কোন কোন জায়গায় আবার ইটের দেয়ালের দেখাও মেলে না। বরং গাছ, লতাপাতায় ঢেকে এমন অবস্থা যে কাঠামো বোঝারও উপায় নেই।  এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রবেশদ্বারের মত দেয়াল এখনও দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এগুলোর ছাদ কিংবা অন্যান্য দেয়াল আর অবশিষ্ট নেই। রাজবাড়ির আনাচে-কানাচে বেশ লতাপাতা, গাছপালা রয়েছে। এখানে অনেক আম গাছ দেখতে পাওয়া যায়।

রাজবাড়িতে একসময় একটি পুকুর ছিল যা বর্তমানে শুকিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, রাজবাড়ি থেকে ১০০ মিটার পশ্চিমে একসময় একটি মন্দির ছিল। বর্তমানে মন্দিরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। রাজকুমার শ্রী বীরেন্দ্রনাথ বই ভালোবাসতেন। তিনি একটি পাঠাগার গড়ে তুলেছিলেন। । । । পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের বই দান করা হয় তখনকার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। এই কলেজ বর্তমান দিনাজপুর সরকারি কলেজ নামে পরিচত। পরিশেষে, একসময়ের রাজবাড়ি এখন জনমানবশূন্য। ভাঙ্গা দালানের অংশ, লতাপাতায় ভরা বাড়িটি এখন ধ্বংসস্তূপ। কিন্তু এই ধ্বংসস্তূপের সাথে জড়িয়ে আছে ১৫০ বছর আগের জানা-অজানা কত কাহিনী! কাহিনী না হোক দেড়শ বছর আগের স্থাপনার  সাক্ষী হতে ঘুরে আসতে পারেন জগদল রাজবাড়ি থেকে।

সতর্কতা : ১। বিচ্ছিন্ন, ভাঙ্গা দেয়ালের নিচে যাতায়াত না করাই ভাল। কারণ, এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এছাড়া কিছু দেয়াল আছে যেগুলোর ছাদ ভাঙ্গা। এসব দেয়ালের উপর উঠবেন না।

২। রাজবাড়ির চারপাশে অনেক লতাপাতা রয়েছে। চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন।   

Комментарии

Информация по комментариям в разработке