পুরাতন দলিল খুজে পাওয়ার সহজ উপায়। #দলিল #তল্লাশি বা বের করার উপায় কি?
মনে করুন, ৩০ বছর আগের কেন দলিল আপনার সংগ্রহে ছিলো কিন্তু কেনা দূর্ঘটনার কারনে সেই দলিলটি হারিয়ে ফেলেছেন। এমন কি দলিলের নম্বার বা পুরাতন দলিলটির অন্যকোন তথ্য ও আপনার কাছে নেই। এইক্ষেত্রে, আইনি জটিলতার কারনে কিংবা মামলা মোকাদ্দমার কারণে আপনার পুরাতন দলিলটির জরুরী প্রয়োজন হতে পারে।তখন কিন্তু তল্লাশি ছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতে দলিলের নকল তুলতে পারবেন না। অর্থাৎ কাঙ্খিত দলিল খুঁজে পেতে হলে আপনাকে দলিলটি তল্লাশি করতে হবে ।প্রশ্ন হলো দলিল তল্লাশি কোথায় কিভাবে করবেন? এই বিষয়টি জানার আগে চলুন এই সংক্রান্ত কিছু আইনি বিষয় জেনে নেই । দলিল তল্লাশি সম্পর্কে আইনে কি আছে? রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ এর ৫৭( ১) ধারা অনুযায়ী, যে কোন ব্যাক্তি প্রয়োজনীয় ফিস পরিশোধ সাপেক্ষে ১ নং( স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত দলিলের) ও ২ নং( রেজিস্ট্রি করতে অস্বীকার করা দলিলের) রেজিস্টার বহি ও ১ নং রেজিস্টার বহি সম্পর্কিত সূচিবহি পরিদর্শন পারেন । উক্ত আইনের ৬২ ধারার বিধানাবলি সাপেক্ষে উক্ত বহিসমূহের লিপিবদ্ধ বিষয়ের নকল( অর্থাৎ দলিলের সার্টিফাইড কপি) গ্রহণ করতে পারেন । একই আইনের ৫৭( ২) ধারা অনুযায়ী ফি আগে পরিশোধ সাপেক্ষে, দলিল সম্পাদনকারী বা তার এজেন্ট এবং সম্পাদনকারীর মৃত্যুর পর( পূর্বে প্রযোজ্য নয়) যে কোন আবেদন কারী ৩ নং বহি( নিবন্ধিত উইলের রেজিস্টার বহি) তে লিপিবদ্ধ বিষয়ের( অর্থাৎ উইল বা অছিয়ত দলিলের নকল বা সার্টিফাইড কপি) এবং ৩ নং বহি সম্পর্কিত সূচিপত্রের নকল গ্রহণ করতে পারেন । এই আইনের ৫২( ৩) ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ফি আগে পরিশোধ সাপেক্ষে, দলিলের সম্পাদনকারী বা দাবীদার ব্যক্তি বা তার এজেন্ট কিংবা প্রতিনিধি ৪ নং বহিতে লিপিবদ্ধ বিষয়ের নকল গ্রহণ করতে পারেন । এছাড়াও এই আইনের ৫৭( ৪) ধারা অনুযায়ী, ৩ নং ও ৪ নং বহিতে লিখিত বিষয়ের তল্লাশি, সাব- রেজিস্ট্রার এর মাধ্যমে করতে পারেন । সুতরাং দলিল তল্লাশি করার আইনি বিধিবিধান রয়েছে । তাই আপনি যে কোন বছরের দলিল তা যত পুরাতন হোক না কেন তল্লাশি করে খুঁজে পেতে পারেন ।
সূচিপত্র তল্লাশি ও রেজিস্ট্রার বহি পরিদর্শন ফিসের হার দলিল তল্লাশির ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে আইনি বিধি রয়েছ । অর্থাৎ দলিল তল্লাশির জন্য আপনাকে আগে ফি পরিশোধ করতে হবে । এরপর আপনি নিজে অনেক পুরাতন দলিলও তল্লাশি করতে পারবেন । দলিল তল্লাশি ফিসঃ কোন নির্দিষ্ট কার্যালয়ের প্রতি দলিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম বা অন্তভুর্ক্ত সম্পত্তির বিবরণ সংক্রান্ত প্রতিটি ভুক্তির জন্য সূচি তল্লাশির ক্ষেত্রে নিম্ন হারে ফি পরিশোধ করতে হবে । ১) এক বছরের জন্য ২০ টাকা ২) একাধিক বছরের ক্ষেত্রে, প্রথম বছরের ক্ষেত্রে ২০ টাকা এবং অতিরিক্ত প্রতি বৎসরের জন্য ১৫ টাকা হলে ফি দিতে হবে । রেজিস্টার বহি পরিদর্শন ফি রেজিস্টার অফিসের রেজিস্টার বহি পরিদর্শন করার ক্ষেত্রে নিম্ন হারে আপনাকে ফি পরিশোধ করতে হবে । পরিদর্শন ফিসঃ ১ নং, ৩ নং ও ৪ নং বহিতে অন্তভুর্ক্ত প্রতিটি নকল অথবা অন্যান্য রেজিস্টার বা বহি বা কোন সুনির্দিষ্ট দলিল বা নথির কোন পৃষ্টা পরিধর্শনের জন্য ১০ টা ফি দিতে হবে । তবে নিম্নোক্ত শর্ত প্রযোজ্য হবে, যেমন- ক) কোন নির্দিষ্ট অফিসের সূচিবহিতে অন্তর্ভুক্ত কোন একটি নাম বা সম্পত্তির বিবরন তল্লাশির ক্ষেত্রে ফি'র পরিমান ১৫০ টাকার অধিক হবে না । খ) কোন আবেদনকারী যদি কোন নির্দিষ্ট বৎসরের নির্দিষ্ট কোন ভুক্তি তল্লাশির জন্য আবেদন দাখিলক্রমে আবেদনে নিরুপিত প্রাপ্যতার অধিক ভুক্তি সম্পর্কে টোকা গ্রহণ করে, তাহলে তাকে আবেদনকালীন সময় জমাকৃত ফি বাদ দিয়ে মোট ১৫০ টাকা পরিশোধ করিতে হইবে । গ) যদি কোন দলিলের নকল সংগ্রহের জন্য আবেদনের সহিত নিবন্ধিত মূল দলিল বা উহার সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করা হয়, তবে কোন তল্লাশি ফি পরিশোধ করিতে হইবে না । ঘ) ধারা ৭২, ধারা ৭৩ ও ধারা ৭৪ অনুসারে কোন মামলা সংক্রান্ত একটি নথি অথবা কতিপয় নথিপত্র পরিদর্শনের জন্য আবেদন দাখিল করা হইলে দফা এফ( ২) অনুসারে কেবলমাত্র একটি ফি পরিদর্শন করিতে হইবে ।
কিভাবে জমিরদলিল তল্লাশি করবেন? এই ক্ষেত্রে দুটি অবস্থা হতে পারে । ১)যদি মূল দলিল থাকে এবং দুই যদি মূল দলিল না থাকে । দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তল্লাশি অপরিহার্য কেননা সূচিপত্র তল্লাশি করে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, কাঙ্খিত দলিলটি আপনার প্রয়োজন । যদি মূল দলিল থাকে কিংবা তার অনুলিপি থাকে সেই ক্ষেত্রে- রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ হলে মূল দলিলের শেষ পৃষ্ঠার উল্টো দিকে " দলিলটি কত সালের, কত নম্বার বালাম বইয়ের কত পৃষ্ঠা থেকে কত পৃষ্ঠায় নকল করা হয়েছে " তা লিখে সাব- রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষর করা হয় । দলিলে এই তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সহজেই নকল উঠানো যায় । এই ক্ষেত্রে তল্লাশির প্রয়োজন হয় না । মূল দলিল না থাকলেঃ একটি দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে সম্পাদন হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে সূচিবহি তৈরি করা হয় । একটি সূচিবহি তৈরি হয় দলিলে উল্লেখিত জমির দাতা/ বিক্রেতা, গ্রহিতা/ ক্রেতা বা অন্য কোন পক্ষের নাম দিয়ে, আর একটি সূচি তৈরি হয় জমির মৌজার নাম দিয়ে । আপনার কাছে দলিলের কোন তথ্য না থাকলে নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ সাপেক্ষে রেজিস্ট্রি অফিসে এই সূচিবহি তল্লাশি করে খুঁজে বের করতে পারেন আপনার কাঙ্খিত দলিলটি । দলিল তল্লাশির নিয়ম।
ভূমি সংক্রন্ত কাগজপত্র যেমন জমির দলিল, বায়া দলিল, খাজনা, অনলাইন খাজনা, ই-নামজারি, খারিজ, জমি খারিজ, মিউটেশন ও নানাবিধ দলিল, পর্চা, খতিয়ান, নক্সা, মৌজা ম্যাপ ইত্যাদি সহ ভূমি সংক্রান্ত নানাবিধ কাগজপত্র ও তথ্য সম্পর্কে জানতে ও জানাতে আমি #সাইফুদ্দিন শেখ (#ফাহিম) আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে ''ভূমি তথ্য-land information'' চ্যানেল এর মাধ্যমে সম্পত্তির / জমির মালিকনা স্বত্ব রক্ষা ও সম্পত্তির / জমির / ভূমির মালিকানা সত্ত্ব নিয়ে উদ্ভুত সমস্যা এবং সমস্যা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর, জমি / ভূমি / সম্পত্তি বিষয়ক রাষ্ট্রীয় আইন, মালিকানা হস্তান্তর, ফরায়েজ আপনাদের জানাতে ও আমার অজানা সকল প্রশ্নের উত্তর আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চেষ্টা করবো। #ভূমিতথ্য
                         
                    
Информация по комментариям в разработке