Скачать или смотреть অপরের গৃহে প্রবেশে অনুমতি প্রার্থনা | ফারহান তাসনিম | নিউ ইয়র্ক গার্ডেন সিটি মসজিদ

তারিখ: ২৬/১১/২০২৪
আলোচনার ট্রান্সক্রিপ্ট ⤵️


অনুমতি প্রার্থনা সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا -

"হে ইমানদারগণ! তোমরা নিজেদের ঘর ব্যতীত অন্যান্য ঘরগুলোতে প্রবেশ করো না যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি না নাও এবং তার অধিবাসীদেরকে সালাম না দাও। (আননূর-২৭)

قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اسْتَاذَنَ أَحَدُكُم ثَلْاثا فَلَمْ يُؤْذَنُ لَهُ فَلْيَرْجِعُ

হজরত রসুলুল্লাহ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ তিনবার অনুমতি প্রার্থনা করে, আর তাকে অনুমতি দেয়া না হয়, তখন সে যেন ফিরে আসে। (বুখারি ও মুসলিম।)

ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ:
রসুল হলেন-বিশ্ব মানবের পরম বন্ধু। পরস্পর সৌহাদ্যপূর্ণ সম্ভাব রক্ষা করা প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব। তাই কারো ঘরে প্রবেশের পূর্বে তিনবার সালাম দেয়ার মাধ্যমে অনুমতি প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন।

বর্তমানে অধিকাংশ বাসা বাড়িতে কলিং বেল থাকে। এই কারণে আধুনিক যুগের আলেমরা কলিংবেলকে অনুমতি নেওয়ার স্থলাভিষিক্ত বলেছেন। সুতরাং কলিংবেল দিলে আলাদা করে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অতএব তিনবার কলিং বেল দেয়ার পরও দরজা খোলা না হলে ফিরে যেতে হবে।


عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَيْنٍ كَانَ عَلَى أَبِي فَدَقَقْتُ الْبَابَ فَقَالَ مَنْ ذا فَقُلْتُ أَنَا فَقَالَ أَنَا أَنَا كَأَنَّهُ كَرِهَهَا (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

হজরত জাবের (র) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতার কিছু ঋণের ব্যাপারে আমি হজরত নবি করিম এর খিদমতে আসলাম। অতঃপর দরজায় করাঘাত করলাম। হজরত রসুলুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, কে? আমি বললাম, আমি। তখন তিনি বললেন, আমি। আমি! সম্ভবত তিনি এরূপ বলাকে অপছন্দ করলেন। (বুখারি ও মুসলিম)

আমাদের ছাত্রাবাসের প্রতিটি রুম এক একটি ঘরের মত। তাই অন্যের রুমে প্রবেশ করতে হলে অনুমতির উদ্দেশ্যে দরজায় নক করা উচিত। কিন্তু কেউ যদি পূর্ব থেকে অনুমতি দিয়ে রাখে অথবা তার রুমে অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করলে সে তাতে কিছু মনে না করে তাহলে সে ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর দলিল -
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْنُكَ عَلَي انْ تَرْفَعَ الْحِجَابَ وَأَنْ تَسْمَعَ سِوَادِي حَتَّى أَنْهَاكَ (رَوَاهُ مُسْلِمٌ)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ হতে বর্ণিত, হজরত নবি করিম আমাকে বলেছেন, আমার নিকট তোমাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হল। তুমি পর্দা উঠিয়ে ভেতরে চলে আসবে এবং তুমি আমার গোপন কথা গুনতে থাকবে, যে পর্যন্ত না আমি তোমাকে নিষেধ করি। (ইমাম মুসলিম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেন।)

عَنْ عَلي رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ كَانَ لِي مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَدْخَلُ بِاللَّيْلِ وَمَدْخَلْ بِالنَّهَارِ فَكُنْتُ إِذَا دَخَلْتُ بِاللَّيْلِ تَنَحْنَحَ في (رَوَاهُ النَّسَائِي)

হজরত আলি হতে বর্ণিত, আমার জন্য হজরত রসূলুল্লাহ এর তরফ হতে তাঁর নিকট রাত্রিকালে এবং দিনের বেলায় (সর্বদা) প্রবেশের অনুমতি ছিল। অতঃপর যখন আমি রাতে প্রবেশ করতাম তখন তিনি আমাকে অনুমতি দানের নিমিত্তে গলা ঝাড় দিতেন। (ইমাম নাসায়ি রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন)।