কার্ল মার্কস জীবনী : অসামান্য জীবন কাহিনী / Karl Marx Biography : Unbelievable Life Story

Описание к видео কার্ল মার্কস জীবনী : অসামান্য জীবন কাহিনী / Karl Marx Biography : Unbelievable Life Story

This Bengali video deals with the biography of Karl Marx ( কার্ল মার্কস জীবনী ). His life story ( জীবন কাহিনী ) is simply unbelievable. A video of 20/25 minutes' span can never describe his whole story. I have tried and failed.

জার্মানির রাইন প্রদেশের ট্রিয়ার নামে ছোট্ট একটি প্রাচীন শহরে ১৮১৮ সালের ৫ই মে কার্ল মার্কসের জন্ম। বাবা হেনরিখ মার্কস আর মা হলেন হেনরিয়েটা ফিলিপস।

ছোটবেলা থেকেই কার্ল মার্কস খুব কম কথা বলতেন। কারো কথা খুব একটা শুনতেনও না। তবে বাড়িতে তখন একমাত্র তার বাবা কোন কথা বলতেন, তখন তা মন দিয়ে শুনতেন। বাবা হেনরিখ সবসময় গভীর এক আবেগ দিয়ে কথা বলতেন। তিনি বলতেন, এই যে দেখছো সমাজ, এই সমাজে মানুষে মানুষে এত বৈষম্য, এত বিভেদ, তার মূলে রয়েছে মানুষের ধর্মীয় কুসংস্কারের পীঠস্থান ক্যাথলিক চার্চ আর প্রতিক্রিয়াশীল রাজশক্তি। কিন্তু ভয় নেই, সাধারণ মানুষের অগ্রগতির পথে এইসব বাধার অচলায়তন বেশিদিন থাকবে না।
এসব কথার মানে যে কাল মার্কস উপলব্ধি করতে পারতেন, তা কিন্তু মোটেও নয়। তবে তার শুনতে খুবই ভাল লাগত। মুগ্ধ বিস্ময়ে বাবার মুখের দিকে তিনি চেয়ে থাকতেন।

ফলে স্কুলের পাঠ শেষ করে ১৮৩৫ সালে মার্কস বন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা শুরু করলেও সাহিত্যপাঠে, সাহিত্য রচনাতে তিনি বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে উঠলেন। বন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিমাত্র বছর কাটিয়ে রেক্টরের সই করা অভিজ্ঞান পত্র নিয়ে তিনি চলে এলেন বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সময়টা ছিল ১৮৩৬ সাল।

আর এখানেই তিনি জড়িয়ে পড়লেন জার্মানির সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হেগেলের ভাবনার জগতের সাথে।
হেগেলের দ্বান্দ্বিক আলোচনা তিনি গ্রহণ করলেন বটে কিন্তু তাকে দর্শন হিসেবে গ্রহণ করলেন না। বললেন, হেগেলের দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি সর্বত্র ক্রিয়াশীল ঠিকই, কিন্তু চরম সত্তা কখনোই ভাব নয়, চরম সত্তা আসলে হল বস্তু। বলাবাহুল্য, হেগেলের ভাববাদী দর্শন থেকেই এভাবেই জন্ম নিল কার্ল মার্কসের ঐতিহাসিক বস্তুবাদ যা পরবর্তীকালে পাল্টে দিয়েছিল সমাজবিজ্ঞান আর দর্শনের জগতকে।

বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে কার্ল মার্কসের পড়াশোনা শেষ হলো। আইনের ডিগ্রি তিনি অর্জন করলেন। এবার দরকার দর্শনে ডক্টরেট ডিগ্রি। ১৮৪১ সালের ১৫ই এপ্রিলে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন।

এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, সেই সময় কিন্তু ফয়েরবাখ নামে একজন জার্মান দার্শনিকের চিন্তাচেতনার দ্বারা কার্ল মার্কস গভীর ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।

সেই সময়ের একটি বিখ্যাত পত্রিকা রাইন গেজেট ছিল। তিনি সেই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন।
কিন্তু ১৮৪৩ সালে সরকারের পক্ষ থেকে রাইন গেজেট কাগজটি চিরতরে বন্ধ করে দিল, আর সাথে সাথেই কার্ল মার্কসের চাকরিটি চলে গেল।

সেই অস্থির সময়ের মধ্যে ১৮৪৩ সালের ১৯শে জুন মার্কস বিয়ে করলেন তার প্রেমিকা জেনিকে।

১৮৪৩ সালের নভেম্বর মাসে জার্মানি ছেড়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পাড়ি দিলেন মার্ক্স। সেখানেই শুরু হলো নতুন করে পড়াশুনার কাজ। তিনি ঠিক করলেন এখান থেকেই একটি পত্রিকা প্রকাশ করবেন।


এই পত্রিকার কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল ফ্রেডারিক এঙ্গেলস এর সাথে। এই পরিচয় মার্কসের জীবনে অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ পরবর্তী জীবনে এঙ্গেলস হয়ে উঠেছিলেন তার প্রিয়তম বন্ধু সহকর্মী সহযোগী।

এবার ফরাসি সরকার মার্কসকে দেশ থেকে বহিস্কারের আদেশ দিল। ১৮৪৫ সালের জানুয়ারিতেই তিনি প্যারিস থেকে বিদায় নিলেন।

মাত্র ১৫ মাস ফ্রান্সে কাটিয়ে কার্ল মার্কস স্ত্রীকে নিয়ে উপস্থিত হলেন এবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস-এ।

কয়েক মাস পরে শুরু হলো পৃথিবীর অন্যান্য বিভিন্ন দেশের শ্রমিকসংঘগুলির সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ। গড়ে উঠলো আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট লীগ। সেই লীগের প্রথম অধিবেশন বসল লন্ডন শহরে, ১৮৪৭ সালে। রচনা করা হল লীগের নিয়মবিধি, স্থির করা হলো ভবিষ্যতের কর্মসূচি।


এখানেই পেশ করা হল মার্ক্স-এঙ্গেলস রচিত ঐতিহাসিক কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো। এই মেনিফেস্টোই হল আধুনিক সমাজতন্ত্রবাদের প্রথম ধাপ।

অচিরেই কার্ল মার্কস বিতাড়িত হলেন বেলজিয়াম থেকে।

অবশেষে ১৮৪৯ সালে মার্কস স্ত্রী জেনি ও তিনটি শিশুসন্তানসহ বেলজিয়াম থেকে ইংল্যান্ডে উঠলেন।
এখানেই তিনি লিখে ফেললেন তার জীবনের সবচেয়ে বিখ্যাত বই ডাস ক্যাপিটাল। পুঁজিবাদী সমাজের উৎপাদন বিনিময় বিকাশ ইত্যাদির নিপুন বিশ্লেষণে ভরা এক অবিশ্বাস্য অনন্যসাধারন বই।

১৮৫২ সালে কমিউনিস্ট লীগ ভেঙে যাওয়ার পর মার্কস পার্টি-ঘেঁষা রাজনীতির মধ্যে খুব একটা বেশি আর থাকতেন না। তিনি এবার লিখে ফেললেন আস্ত আরেকটি অবিশ্বাস্য অকল্পনীয় বই। নাম দিলেন ডাস ক্যাপিটাল দ্বিতীয় খন্ড। আবারো চিন্তার জগতে ঝড় উঠলো। মাক্স একাই যেন সভ্যতার অগ্রগতির পথকে একটু একটু করে বদলে দিলেন। বদলে দিলেন সর্বহারা মেহনতী শ্রমজীবী মানুষদের পক্ষে।

১৮৮৩ সালের ১৪ই মার্চ দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে লন্ডনের এক অন্ধকারময়, অপরিচ্ছন্ন ঘরে চিরতরে ঘুমিয়ে পড়লেন কার্ল মার্কস।

For making this video I am grateful to:
তথ্যঋণ
১) কার্ল মার্কস : জীবন ও চিন্তা
By সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ
২) মার্ক্স By সৌরীন ভট্টাচার্য
৩) জীবনীশতক By মনি বাগচি
৪) The Hundred
By Michele H. Heart
৫) উইকিপিডিয়া

The images are taken from internet only for the purpose of proper explanation and education. There are no similarities between the facts and the images.

Now please watch this video and express your views in the comment section below.

Thanks a lot.
Thanking you.
yours faithfully
The Galposalpo

#karlmarx #কার্লমার্কস #karlmarxbiography

Комментарии

Информация по комментариям в разработке