খালেদা জিয়ার রায়ের পর্যবেক্ষণের অধিকাংশ অসত্য : জয়নুল । খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ঐক্যের ডাক ফখরুলের।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়ে উল্লিখিত পর্যবেক্ষণের অধিকাংশ অসত্য।
আজ মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে সিনিয়র আইনজীবীদের বৈঠকের এক পর্যায়ে জয়নুল এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আরো বলেন, ‘আমরা পুরো রায়টি পড়ে দেখেছি। এখন আপিলের প্রস্তুতির গ্রাউন্ড তৈরি করা হচ্ছে। আশা করছি, আজকের মধ্যেই আপিল দায়ে করতে পারব।’
জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পাওয়ায় আমরা গতকাল রাতে বৈঠক করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে বৈঠক করেছি। দুপুর সাড়ে ১২টায় পুনরায় বৈঠকে মিলিত হবো। এরপর আপিল দায়ের বিষয়টি আপনাদের জানিয়ে দেবো।’
গতকাল সোমবার খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং জামিন আবেদনের কথা জানান তাঁর আইনজীবীরা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত।
এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এরপর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে রাখা হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে বাধ্য করতে ঐক্যের ডাক দিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে ফখরুল এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আমাদের সবার ঐক্য দরকার মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে যে আন্দোলন চলছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসে তাঁকে মুক্ত করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য খালেদা জিয়া, বিএনপি ও ২০ দলকে বাদ দিয়ে একটি পাতানো নির্বাচন করা। তারা চায়, বিএনপির চেয়ারপারসনকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে। যাতে তাদের ক্ষমতা দখলের পথ সহজ হয়। তাই সরকারের চক্রান্ত রুখে দিতে সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকার আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করতে চায়। সে জন্য মিথ্যা সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমরা বারবার স্পষ্ট করে বলেছি, খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করব।’
সংগঠনের সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আকতার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (ড্যাব) মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেন।
Please Subscribe our channel for more video... Thanks for watching these videos , hit like , subscribe our channel and yes don't forget to share with you friends
Facebook : / news247bangla
Youtube : https://www.youtube.com/channel/UCi82...
Twitter : / newsbd24hours
Fair Use Disclaimer: This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use
Информация по комментариям в разработке