Скачать или смотреть শবেবরাতে হালুয়া-রুটির প্রচলন বাংলাদেশে যেভাবে হয়েছিল | শবে বরাত | islam |

‪@banglarnews10‬ ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ হচ্ছে ‘সৌভাগ্যের রাত’। মুসলমানরা রাতটিকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করে ইবাদত করে থাকেন। তবে বাংলাদেশে শবে বরাত পালনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে হালুয়া-রুটির সংস্কৃতি। এ সম্পর্কে ইসলাম ধর্মে কোনো নির্দেশনা নেই। তারপরও বাংলাদেশে প্রচলিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে গেছে, বাড়িতে বাড়িতে হালুয়া-রুটি বানানো এবং তা প্রতিবেশীর মাঝে বিতরণ করা।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হালুয়া-রুটি তৈরির এ সংস্কৃতি বাংলাদেশ কিভাবে চালু হলো?

ইতিহাসবিদদের মতে ১৯শ শতকের শেষের দিকে ঢাকার নবাবরা বেশ ঘটা করেই শবেবরাত পালন করতেন, সে সময়ে ঢাকার নবাবরা শবেবরাতে আলোকসজ্জা করতেন।পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণ করতেন। সে সময়ে যেহেতু মিষ্টির দোকান খুব একটা প্রচলিত ছিল না, সেজন্য মিষ্টি জাতীয় খাদ্য বানানোর উপাদান দিয়ে বাড়িতে হালুয়া তৈরির প্রচলন শুরু হয়। মূলত সে সময়ে হিন্দুদের আধিপত্য থাকার কারণে সেটিকে মোকাবিলার জন্য ঢাকার মুসলিম নবাবরা শবেবরাত খুব ঘটা করে আয়োজন করতেন। পাকিস্তান আমলে এর সাথে সরকারি ছুটি যুক্ত হওয়ায় সেটি পালনের ব্যাপকতা আরও বেড়ে যায়। আস্তে আস্তে এর বিস্তার ঘটতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে শবে বরাত পালনে হালুয়া-রুটি সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।

শবে বরাতের সময় হালুয়া-রুটি বানানো এবং প্রতিবেশীদের মাঝে বিতরণ করার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেবার একটি সম্পর্ক আছে এর জন্যই বিতরণ করার রেওয়াজটা হয়েছে। এর সাথে ধর্মীয় অনুভূতি এবং সামাজিকতা রক্ষা দুটো বিষয় জড়িত আছে বলেও মনে করেন ইতিহাসবিদরা।

আলেমদের মতে নবীজি কিংবা সাহাবিদের যুগে শবে বরাতকে কেন্দ্র করে হালুয়া রুটি খাওয়া বা প্রতিবেশিদের মাঝে বিলানোর কোনও প্রচলন ছিলো বলে হাদিসে পাওয়া যায় না। শবে বরাতে হালুয়া-রুটি খাওয়া ইবাদত এমনটাও কোনো হাদিসে নেই।


-মারুফ হাসান বিশাল

#শবে_বরাত #হালুয়া_রুটি #ইসলামিক_ভিডিও #ইসলাম #islamicvideo #islam #vairalvideo #banglar১০ #news #শবে_বরাতের_আমল