Скачать или смотреть মাইজভান্ডারি নুর নগরী বাবা মাওলা ধন | মাইজভাণ্ডারী গান | Maijvandari Nur Nogori Baba Mawla Dhon

হয়েছি বন্ধুরও ভাবে, মনো তাপে বন বাসী..., ‘তোমার আপন গলায় মওলা ডাকো, নিজের আমল ঠিক করি..., ‘তব দয়ার মায়ায় কৃপার আশায় ধরি দুচরণ, ‘তব গোলাম খাতায় দাসরূপে করিও বরণ..., ‘মাইজভান্ডারী নুর নগরী, বাবা মওলা ধন, প্রেমাগুনে জ্বালাই মারো সারাটি জীবন...’ সহ এমন নানান মাইজভান্ডারী আধ্যত্মিক গান বাঁজিয়ে গত ক’দিন ধরে দুর-দূরান্ত থেকে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ছুটে এসেছেন লাখ লাখ ভক্ত-আশেকানরা। গতকাল শুক্রবার  মহাসমারোহে অনুষ্টিত হয় মাইজভান্ডারী ত্বরিকার অন্যতম প্রাণপুরুষ, অলিয়ে কামেল হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারীর ১৮৩ তম ওরশ শরীফ।  ওরশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন থানা, উপজেলা, জেলা এবং দেশের বাইরে বিদেশ বিভুঁই থেকে লাখ লাখ ভক্তের অংশগ্রহনে মুখরিত ছিলো ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফ। ওরশ উপলক্ষে আজ ব্যাপক কর্মসূচী পালন  করে আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশন। কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, রওজা শরীফে গিলাফ চড়ানো, খতমে কোরআন, গতমে গাউছিয়া, সন্ধ্যায় হযরতের জীবন ও দর্শনের উপর আলোচনা সভা, রাতভর ছেমা ও মিলাদ মাহফিল, জিকির আসগার, তবারুক বিতরণ এবং রাতের শেষভাগে বিশ্ব শান্তির কল্যাণ কামনা করে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা  করেন মাইজভান্ডার গাউছিয়া রহমান মনজিলের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত শাহসূফী সৈয়দ মজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, যানবাহন পার্কিং এর জন্য দরবার শরীফের অদূরে বিশাল মাঠের ব্যবস্থা ছিলো। সেখানে ভক্ত-আশেকানদের যাতায়াতে ব্যবহৃত হাজার হাজার গাড়ী পার্কিং করা হয়েছে। দরবারের প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে আশ-পাশের কয়েক কি.মি এলাকাজুড়ে বসেছে মেলা। মেলায় বসা দোকানপাটে দেশী-বিদেশী নানান ধরনের পণ্যের পাশাপাশি দেশীয় মৃৎশিল্পের তৈরী নানা তৈজসপত্রের সমাহার ঘটেছে চোখে পড়ার মতো। অপরদিকে ওরশকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছিলো কয়েক স্তরের প্রশাসনিক নিরাপত্তা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব, গ্রাম পুলিশ ছাড়াও মনজিলের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক দল দায়িত্ব পালন করেন। ভক্তরা র্নিবিঘ্নে নানা আরাধনা নিয়ে এসেছেন দরবারে। মাইজভান্ডার গাউছিয়া রহমান মনজিলের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত শাহসূফী সৈয়দ মজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘মাইজভান্ডার আজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর মানচিত্রের বিভিন্ন দিগন্তে মহাপুরুষদের পূন্যপদরেনুর স্পর্শে ধন্য মাইজভান্ডারের পবিত্র পীঠস্থান জগতের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে সুন্দর ও প্রেমের সুষমায় মুগ্ধ করেছে এবং ভক্তি ও প্রেম দ্বারাই স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা সম্ভব।'

গভীর রাতে মাইজভান্ডার গাউছিয়া রহমান মনজিলের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত শাহসূফী সৈয়দ মজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর অাখেরী মোনাজাত পরিচালনার মধ্য দিয়ে ওরশের অানুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি ঘটে।